শিরোনাম

    10:21 AM

Sponsor



Slider

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » মেহেরপুরের চিত্র শিল্পী গোলাম মোস্তফা তাঁর কাজের মধ্যে ফুটিয়ে তোলেন মানুষের আবেগের সম্পর্কগুলোর অঙ্কন করে ছবি মেহেরপুরের নানা প্রদর্শনীতে সেই ছবি প্রশংসা অর্জন করেছেন( তেতাল্লিশ পর্ব )




মেহেরপুরের চিত্র শিল্পী গোলাম মোস্তফা মানুষের আবেগের সম্পর্কগুলোর অঙ্কনে ফুটিয়ে তোলেনে সেই ছবি মেহেরপুরের প্রশংসা অর্জন করেছেন( তেতাল্লিশ পর্ব ) গোলাম মোস্তফা: বীর মুক্তিযোদ্ধা মেহেরপুর শিল্পকলা একাডেমির সাবেক প্রশিক্ষক থেকে বিদায় করে দিয়েছিল ।কেননা তিনি শুধু মাত্র শেখ মুজিব কে জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতি দেন নাই। এর ফলে তার শত্রুরা তাকে ছাটাই করে দিয়েছিল। যার কারণে মেহেরপুর শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষক থেকে অব্যহতি দিয়েছিল। তখন থেকে তার বিষন্নতা ভর আবেগী মন। হৃদয়ের অব্যক্ত বাসনাগুলো কিছু বলতে চায় না। সমাজের বানানো শৃঙ্খল হয়তো কাঁটা হয়েছে মনের দুয়ারে। কিন্তু তা নিয়ে কিছু বলা মানে পাথরের সমাজে অন্যায়। তবে হারিয়ে যাওয়া সেই মন কিছু বলতে চায়। দম বন্ধ হয়ে থাকা কথাগুলো আবেগ-স্পর্শে বাইরে আসতে চায়। ঠিক তা যেনো রং আর তুলির আঁচড়ে বলে যায় হাজারো না বলা কথা। প্রকৃতির স্নিগ্ধতায় কিংবা কঠিন কোনো দমকা বাতাসের মতো আঁকা বা বলা হয়ে যায় সেই কথা। যা শুধু শিল্পী আর রংয়ের ছোঁয়াগুলোই বুঝে সেসব ভাষা।

যিনি তার কাজের মধ্যে ফুটিয়ে তোলেন মানুষের আবেগের সম্পর্কগুলোকে প্রকৃতির ছবিতে। সেসব ছবি মেহেরপুরের নানা প্রদর্শনীতে বেশ প্রশংসা অর্জনও করেছেন। তাঁর শিল্পকর্মে মানুষের আবেগ, সামাজিক সম্পর্ক এবং পরিবেশের প্রতিফলন দেখা যায়। তাঁর অনন্য শৈলী বাস্তবতাবাদ এবং বিমূর্ত অভিব্যক্তিবাদের উপাদানগুলোর এক ব্যতিক্রমী মিশ্রণ, যা শক্তিশালী ও চিন্তাকর্ষক চিত্ররচনার মাধ্যমে দর্শকদের আকর্ষণ করে‘আমি প্রকৃতি থেকেই কাজের অনুপ্রেরণা পাই। মানুষের মনের অনুভূতিগুলো প্রকৃতির মাধমে ফুটিয়ে তুলি। প্রকৃতি যেমন শান্ত-স্নিগ্ধ। আমি মনেকরি মানুষের মনটাও তাই। আবেগগুলোও তেমন। যা আমি আমার ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি। তাছাড়া লেখালেখি করা আমার একটা অন্যরকম ভালো লাগার জায়গা। তিনি যেহেতু একটু ইন্ট্রুভাট টাইপের মানুষ। মেহেরপুরের চিত্রশিল্পে স্বতঃস্ফূর্ত পদচারণা রয়েছে ।ভিন্ন চিন্তা ও সৃজনকর্মে অজন্ম তিনি সাধনা করে চলেছেন। যা শিল্প-সৃজনে নতুন এক মাত্রা প্রতিষ্ঠা করেছে। তাঁর হাত দিয়ে ক্যানভাসে যে তুলির আঁচড় পড়েছে, তাও হয়েছে প্রশংসিত।সে ঢাকা চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছে।একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা একটি অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক দেশ গড়ার স্বপ্নে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁরা এমন একটি দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে মানুষের মৌলিক চাহিদার নিশ্চয়তা থাকবে, সবার কর্মসংস্থান হবে, সমাজে শোষণ ও বৈষম্য থাকবে না। কিন্তু তেমন দেশ গড়ার স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের পর রাষ্ট্রগঠন ও জনগণের ভাগ্যবদলের কাজ মসৃণ পথে এগোয়নি। নানা বাধা ও প্রতিবন্ধকতা এসেছে। রাজনৈতিক দৃশ্যপটের পরিবর্তন এবং ক্ষমতার পালাবদলে নানা উত্থান-পতন ঘটেছে। আবার এর মধ্যে বিগত অর্ধশতাব্দী ধরে অনেক ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রগতিও ঘটছে। চরম দারিদ্র্য থেকে আমাদের উত্তরণ ঘটেছে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে অনেক বিকাশ হয়েছে। এসব উন্নতি আমাদের আশাবাদী করে। এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে। আমার বাবা শহীদ বুদ্ধিজীবী এমলাক হোসেন ছিলেন মেহেরপুরের গাংনীর সাহারবাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এলাকায় সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নেতৃত্ব দিতেন। স্থানীয় জনগণের কাছে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সম্মানীয়। বঙ্গবন্ধুর আহ্বান শোনার পর গ্রামের যুবকদের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি সংগঠিত করতে থাকেন। প্রশিক্ষণের জন্য তাঁদের ভারতের নদীয়া জেলার শান্তিপুর এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। আমাদের তিন ভাইকেও তিনি ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে পাঠান। বাবা গ্রামে থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন, সহযোগিতা করতেন। একাত্তরের পনোরো আগস্টের রাতে পাকিস্তানি সেনারা রাজাকারদের সহায়তা নিয়ে ট্রাকে করে এসে গাংনীর সাহারবাটি চারচারা মোড়ে আমাদের বাড়ি ঘিরে ফেলে। সদর দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে বাবাকে লাঠিপেটা করতে করতে ট্রাকে তুলে তাদের ভাটপাড়া ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে বাবা ও মেহেরপুরের আরেক বীর মুক্তিযোদ্ধা উজির মালিথাকে গুলি করে হত্যা করে লাশ ভাসিয়ে দেয় কাজলা নদীতে। তাঁদের লাশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমরা তিন ভাই ভারতে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে বাবাকে হত্যার খবর পাই। প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিই। আমি তখন দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার কারণে ওই সময়ের ছবিটা আমার বুকের মধ্যে গেঁথে রয়েছে। তখন পাকিস্তানি সেনারা একের পর এক ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে। সাধারণ মানুষকে সারিতে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করছে। তারা যখন যাকে ধরে নিয়ে যেত, তাদের আর খুঁজে পাওয়া যেত না। দেশের মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক। বাবা সব সময় বলতেন, একদিন এই দেশ আমাদের নিজের হাতে আসবে। জাতি হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে আমাদের দেশ। সুশাসন, ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন থাকবে—এমন একটি দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। আমরাও সেই লক্ষ্যেই অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছি। এখন অনেক বড় আকারে স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস পালিত হয়। কিন্তু যে আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য বুদ্ধিজীবীরা আত্মদান করেছিলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন জীবন বাজি রেখে, সে কর্তব্য তো অসম্পূর্ণ রয়ে গেল। গণতন্ত্র থেকে আমরা ছিটকে পড়েছি। মানুষের অধিকার পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য এখন পাহাড়প্রমাণ। দেশের টাকা হরদম বিদেশে পাচার হচ্ছে। ঘুষের দৌরাত্ম্যে মানুষ অস্থির। লাখো শহীদের রক্তের ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব বর্তেছে আমাদের ওপর। সে দায়িত্ব পালন করতে না পারলে তাঁদের আত্মত্যাগের ঋণ কোনোভাবেই শোধ করা যাবে না।গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post
Pages 22123456 »

No comments:

Leave a Reply