শিরোনাম

Sponsor



Slider

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » ১৮৬৬ সালে ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষ ক্ষিদার জ্বালায় পাদরীদের আশ্রয়ে মেহেরপুর ও কৃষ্ণনগর মহকুমার আট হাজার মুসলিম পরিবার স্বেচ্ছায় খৃষ্টধর্ম্মে দীক্ষিত হয়েছিল (ত্রিশ পর্ব )




১৮৬৬ সালে ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষ ক্ষিদার জ্বালায় পাদরীদের আশ্রয়ে মেহেরপুর ও কৃষ্ণনগর মহকুমার আট হাজার মুসলিম পরিবার স্বেচ্ছায় খৃষ্টধর্ম্মে দীক্ষিত হয়েছিল (ত্রিশ পর্ব ) আাটারো শত ছেষট্টি সালে ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষ ক্ষিদার জ্বালায় পাদরীদের আশ্রয়ে মেহেরপুর ও কৃষ্ণনগর মহকুমার আট হাজার মুসলিম পরিবার স্বেচ্ছায় খৃষ্টধর্ম্মে দীক্ষিত হয়েছিল (ত্রিশ পর্ব ) আঠারো শত চেওষট্টি সালে যগপৎ খরা ও সাইক্লোনের আঘাতে মেহেরপুর অঞ্চল বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আরো! জানা যায়:“আঞ্জমানে এত্তেফাক এসলামে'র এক প্রতিতবদনেও বলা হয়েছে: “আপনারা শুনিয়া অবাক হইবেন, মেহেরপুর ও কৃষ্ণনগর সদর মহকুমার এলাকায় আট হাজারের অধিক খৃষ্টান অধিবাসীর বাস, তাহাদের মধ্যে অধিকাংশই মুসলমান বংশোদ্ভব। তাহারা গত ভীষণ দূর্ভিক্ষের সময় পেটের জ্বালায় পাদরীদের আশ্রয় লয়। পাদরীরা সেই সুযোগে তাহাদিগকে স্বীয় ধর্মে দীক্ষিত করে। যদি মুসলমান-সমাজে অর্থ থাকিত বা শিক্ষিত হইয়া ইসলামের প্রকৃত মাহাত্ম্য অবগত হইতে পারিত, তাহ হইলে প্রাণ গেলেও পেটের জ্বালায় পাদরীদের আশ্রয়ে খৃষ্টধর্ম্মে দীক্ষিত হইতনা ।” বারো শত উনষাট বাংলা সনে জ্যৈষ্ঠ মাসের মহামারীতে অসম্ভব লোকক্ষয় হওয়ায় গ্রাম হতশ্রী হইরা পড়ে; পরে উনিশ শত আটান্ন খৃষ্টাব্দে এখানে মহকুমা স্থাপিত হইলে বিদেশী লোক লইয়া ইহার জনসংখ্যা কথঞ্চিত বৃদ্ধি পাইনেও পৃর্ব্বের সে শ্রী আর ফিরিয়া আসে নাই।”নদীয়ায় আাটারো শত একাত্তর সালে ভয়ঙ্কর বন্যা হয় এবং এ বন্যায় নদীয়া জেলার ‘Meherpur Subdivision were first to Suffer’. নদীয়া জেলায় মারাত্নক দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় আঠারো শত চেষট্টি ও তেয়াত্তর এবং চুয়াত্তর , আঠারো শত ছিয়ান্নবই ও সাতানব্বই সালে আবারও দুর্ভিক্ষ হয়, এর প্রভাব মেহেরপুরেও পড়ে। উনিশ শত আট সালে মালের দুর্ভিক্ষে নদীয়ার অন্যান্য অঞ্চলসহ মেহেরপুর মহকুমার সদর ও গাংনী থানাও আক্রান্ত হয়।মূলত মিশনারীদের প্রচার-কৌশল, সাহায্য-সহযোগিতা ও সেবামূলক কাজের জন্যই' এ অঞ্চলের পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীর একাংশ খ্রীস্টধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়। দারিদ্র্য আর অশিক্ষাই ছিলো এর প্রধান কারণ। মেহেরপুর অঞ্চলের অধিবাসীদের অধিকাংশই ছিলো দরিদ্র। ফসল- উৎপাদন কখনোই আশানুরূপ হতো, না, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধাও ছিলো সীমিত। আর তাছাড়া দরিদ্র বায়ত-প্রজার উপর নীলকর-জমিদারের শাষণ- পীড়ন-অত্যাচারও অব্যাহত ছিলো। এর উপরে ছিলো উপর্যুপরি খরা-বন্যা-সাইক্লোন-দূভিক্ষ মহামারীর আঘাত। এসব কারণে মেহেরপুরের অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ে, সাধারণ মান্ষের অবস্থা হয়ে ওঠে শোচনীয়। এ ধারাবাহিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের কলে মেহেরপুর অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক জীবনে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। কাজ নেই, অন্ন নেই, বাঁচার অবলম্বন নেই; -এ রকম পরিস্থিতির পুরো সুযোগ খ্রীস্টান মিশনারীরা গ্রহণ করেছিলেন। ফলে মূলত বাঁচার তাগিদেই মেহেরপুর অঞ্চলের অনেক নি:স্ব-দরিদ্র হিন্দু-মুসলমান ধর্মান্তরিত হয়, পারলৌকিক ত্রাণের চাইতে ইহালোকে অস্তিত্বরক্ষার গরজেই তারা পিতৃধর্ম ত্যাগ করে খ্রীস্টের শরণ নেয় । সয়কালীন সাক্ষ্যও মিলছে সেইরকম: “নদীয়া জেলায় আজি বেরাদরগণ। যত কেরেস্তান লোগ কর দরশন ।। বাপদাদা তাহাদের আকালের বারে। পেটের দায়েতে মজে যিশুর মন্তরে ॥। দেলজান হইতে তারা বিশু না ভজিল। আপসোসে আখের নবে পরাণ তেজিল।” লেখাটি আবুল আহসান চৌধুরী রচিত মুনশী শেখ জমিরুদ্দীন গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে।গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
গাংনীর লক্ষীনারায়নপুর ধলা গ্রামে বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন ও ৩ রাউন্ড তাজা গুলিসহ লাল্টু বিশ্বাস কে আটক করেছে যৌথ বাহিনী
»
Previous
Older Post
Pages 22123456 »

No comments:

Leave a Reply