Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » (১৮৬৯ –১৯৪৩) মেহেরপুর গড়ের পুকুরে গড়বাড়ি প্রাসাদ ,উত্তরে কালীবাজার,ডাকঘর ,পশ্চিমে বৌ-বাজার (বর্তমান বড়বাজার)বালিকা স্কুল, মুসলিম বোডিং, দাতব্য চিকিৎসালয়.মিউনিসিপাল আফিস নির্ম্মাণ করিয়াছিলেন ( আটাত্তর পর্ব)




(১৮৬৯ –১৯৪৩) মেহেরপুর গড়ের পুকুরে গড়বাড়ি প্রাসাদ ,উত্তরে কালীবাজার,ডাকঘর ,পশ্চিমে বৌ-বাজার (বর্তমান বড়বাজার)বালিকা স্কুল, মুসলিম বোডিং, দাতব্য চিকিৎসালয়.মিউনিসিপাল আফিস নির্ম্মাণ করিয়াছিলেন ( আটাত্তর পর্ব) সতোরো শতাব্দিতে মুরশিদাবাদের নবাব আমলে নবাবের উত্তরাধিকারী মেহেরপুর গোয়ালা চৌধুরীদের (বর্তমান মেহেরপুর গড়ের পুকুর) মেহেরপুরের গড়ের পুকুরের ওপর প্রাসাদ ভবন গড়বাড়ী ও তার নীচে একটি 'পাতালঘর' নির্ম্মাণ করিয়াছিলেন ।আমাদের বাল্যকালে এই গড়ের কিয়দংশ খুড়িয়া দেখা হইয়াছিল । শুনিয়াছিলাম, সেই সময় মেহেরপুরের কোন ইংরাজ সিভিলিঘান ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে এই কার্যা আরম্ভ হইয়াছিল ।তখন ধ্বংসা প্রাসাদ ভবন গড়বাড়ীর ইট তুলে ফেলেছে সেই থেকে যে গর্ত সেই টা এখন মেহেরপুর গড়ের পুকুর বলে পরিচিতি লাভ করেছে। কিন্তু তিনি সেই কাজটি শেষ করিয়া যাইতে পারেন নাই । মেহেরপুরের মধ্যে সর্ব্বাপেক্ষা প্রকাশ্য স্থানে অবস্থিত ; তাহার উত্তরে কালীবাজার ( বর্তমান কাচাবাজারে যেটি পুড়া চাননি ছিল) এবং বৌ-বাজার ( বর্তমান বড়বাজার ) |মেহেরপুর সরকারী বালিকা স্কুল,মেহেরপুর প্রাথমিক শিক্ষা ভবন (মুসলিম বোডিং, (ভুতপৃর্বক মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল ) দাতব্য চিকিৎসালয় ও সুবৃহৎ হাসপাতাল, মেহেরপুর পৌরসভা ( মিউনিসিপাল আফিস), ডাকঘর বর্তমান কাচাবাজারে ভুতপৃর্বক তহসিল অফিস ছিল , কালীবাড়ী ইহার অদূরে সংস্থাপিত ; কিন্তু এই স্থানটি ফাঁকা পড়িয়া আছে, অথচ মেহেরপুরের অলিতে গলিতে নৃতন নৃতন বাড়ী নির্ম্মিত হইতেছে, জমীদার ভয়ানক বাড়িয়া গিয়াছে, কোথাও একটু জমী পড়িয়া থাকিবার যো নাই; আর এই গড়বাড়ীতে গৃহ নির্ম্মাণ করিয়া এরূপ প্রকাশ্য স্থানে কেহই বাস করে না-_দেখিয়া অনেক আগন্তক বিস্ময় প্রকাশ করেন ! শুনিতে পাওয়া যায়, গোয়ালা চৌধুরীরা এখানে নির্ববংশ হওয়ায় গ্রামবাসীদের ধারণা, যে গৃহস্থ পরিবার এই গড়ের সীমার মধ্যে গৃহনির্ন্মাণ করিয়া বাস করিবে, তাহাদের বংশলোপ হইবে । এই গড়ের সীমার মধ্যে এখন স্কুল-সংলগ্ন মুসলমান বোর্ডিং প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে বটে, কিন্ত কোন গৃহস্থের বাসভবন নাই বলিলেও অত্যুক্তি হইবে না । এই গড়ের সীমার মধ্যে কিছুকাল পূর্বে তিনজন গৃহস্থ প্রচলিত প্রবাদ অগ্রাহ্য করিয়া বাসগৃহ নির্ম্মাণ করাইয়াছিলেন ৷ একজনের মৃত্যু হইলে তাঁহার পুত্ররা বাড়ীঘর বিক্রয় করিয়া স্থানাস্তরে গমন করেন । ডাক-বিভাগের একজন পদস্থ কর্মচারী চাকরী হইতে অবসর-গ্রহণের পর এখানে বাস করিবার অভিপ্রায়ে একটি দ্বিতল অট্টালিকা নির্ম্মাণ করেন; কিন্তু গৃহপ্রবেশের পূর্ব্বেই হঠাৎ তাঁহার মৃত্যু হওয়ায় পতিপ্রাণা পত্নী ও একমাত্র পুত্র এই বাড়ীতে বাস করিবার সঙ্কল্প ত্যাগ করেন । তাঁহাদের ধারণা, এই নিষিদ্ধ ভূমিতে গৃহ নির্ম্মাণ করাতেই তাঁহাদের সুখের সংসারে আগুন লাগিয়া গেল। সেই বাড়ীতে এখন ডাকঘর হইয়াছে । ডাকঘরটি পূর্বে অন্য একটি একতলা বাড়ীতে ছিল । এই গড়ের বাড়ীতে ডাকঘরটি স্থানান্তরিত করিবার জন্য আমি আমার স্বর্গীয় সুহৃদ ডেপুটী-পোষ্ট-মাষ্টার-জেনারেল রমনীমোহন ঘোষ মহাশয়কে যথেষ্ট অনুরোধ করিয়াছিলাম ; ইহাতে আমারও একটু স্বার্থ ছিল, কারণ, উহা আমার বাড়ী হইতে প্রায় দুইশত গজ দুরে অবস্থিত । এই বাড়ীতে ডাকঘর প্রতিষ্ঠিত হইলে পোষ্ট-মাষ্টাররা ইহার দোতলায় বাস করিতে থাকেন, একতলায় ডাকঘর । কিন্তু ইতিপূর্বেব যে কয়েকজন পোষ্ট-মাষ্টার এই বাড়ীতে বাস করিয়াছেন, তাঁহাদের প্রায় সকলেরই পরিবারবর্গের কাহারও না কাহারও প্রাণহানি হইয়াছে; কাহারও পিতা, কাহারও পুত্র, কেহ স্বয়ং প্রাণত্যাগ করিয়াছেন। সৌভাগ্যক্রমে বর্তমান পোষ্ট-মাষ্টার এখনও নিরাপদ আছেন । তৃতীয় অট্টালিকার গৃহস্বামী, তাঁহার স্ত্রী ও পুত্র স্থানান্তরে বাস করিলেও অল্প দিনের মধোই প্রাণত্যাগ করায় তাঁহারা এই বাড়ীর সংস্পর্শ ত্যাগ করিয়া উহা কোন সরকারী কর্মচারীকে ভাড়া দিয়াছেন । কোন গৃহস্থ এই বাড়ী ক্রয় করিত চাহেন নাই । একজন নব্য উকীল এই রিল বালা রান সেখানে বাসগৃহ নির্ম্মাণ করিতে সাহস করেন নাই। আমার স্মরণ আছে, আমাদের বাল্যকালে এখানে গ্রামস্থ জমীদার স্বর্গীয় শ্রীকৃষ্ণ মল্লিক মহাশয়ের প্রমোদ-ভবন ছিল । তাঁহার জ্যেষ্ঠ পুত্র রায় বাহাদুর শ্রীযুক্ত ইন্দুভূষণ মল্লিক মহাশয় মল্লিক-বংশের অলঙ্কারত্বরূপ, গ্রামস্থ প্রতোক সদনুষ্ঠানেরই তিনি প্রাণম্বরূপ । কিন্তু তাঁহার স্বর্গীয় পিতৃদেব যেরূপ বিলাসী ছিলেন, যেরূপ আড়ম্বরের সহিত বাস করিতেন, একালে তাহা উপকথার বিষয়ীভূত হইয়াছে । মেহেরপুর অখণ্ড নদীরার একটি প্রাচীন জনপদ। মেহেরপুর এক গৌরবমর প্রচীন ইতিহাস ও নামকরণ সম্বন্ধে নানা মত প্রচলিত আছে। কেউ কেউ মনে করেন, মহারাজা বিক্রমাদিত্যের সময়ে মেহেরপুরের উৎপন্তি। কারো ধারণা, বচণকার মিহির-খণার আবাস ছিলো এ স্থান এবং মিহিরের নামানুসারে “মিহিরপুর', তার থেকে “মেহেরপুর' নামের উদ্ভব। বৃটিম আমলে মেহেরপুর, করিমপুর, গাংনী ও তেহট্ট--এ চারটি থানার সমন্বয়ে মেহেরপুর আঠারো শত আটান্ন সালে মহকুমার মর্যাদা লাভ করে। . মেহেরপুরে কৃতিত্বের সঙ্গে প্রশাসনিক দায়িত্ব আর যাঁর পালন করেছেন তীদের মধ্যে স্যার গ্যান্টনী ম্যাকডোনাল্ড (পরবর্তীকালে বাংলার লেফটে- ন্যান্ট-গভর্নর), এইচ. হলমউড় (পরবরতীীতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক) এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয়। আঠারো শত উনসত্তর সালে পৌরসতা গঠিত হয়।”বৃটিশ আমলের খ্যাতনামা লেখক, দীনেন্দ্রকুমার রায়: গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply