১৯৮৫ সালে সাফ গেমসে দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুততম মানব মেহেরপুরের অহংকার তিনি গাংনীর সাহেবনগরের সন্তান শাহ আলম এখন স্মৃতির পাতা থেকে বিদায় নিয়েছে( আটত্রিশ পর্ব)

উনিশ শত পঁচাশিসালে সাফ গেমসে দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুততম মানব মেহেরপুরের অহংকার তিনি গাংনীর সাহেবনগরের সন্তান শাহ আলম এখন স্মৃতির পাতা থেকে বিদায় নিয়েছে( আটত্রিশ পর্ব) একমাত্র স্প্রিন্টার হিসাবে তিনিই দু'দুবার দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুততম মানবের খেতাব অর্জন করেন উনিশ শত পঁচাশি এবং সাতাশি সালের সাফ গেমসে।তিনি টানা দু'বার সাফ গেমসে দ্রুততম মানব হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। শাহ আলমের জন্ম উনিশ শত আটান্ন সালের ৫ মে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের এক দরিদ্র কৃষক কবির হোসেনের পরিবারে। উনিশ শত চুরাশি সালের বাংলাদেশ গেমসে সেনাবাহিনীর হয়ে দুই শত মিটারে স্বর্ণ এবং এক শত মিটিারে ব্রোঞ্জ জিতলেও পরের বছর থেকে উনিশ শত আটাশি সাল পর্যন্ত টানা চার বছর দ্রুততম মানব হয়েছিলেন শাহ আলম। একমাত্র স্প্রিন্টার হিসাবে তিনিই দুইবার দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুততম মানবের খেতাব অর্জন করেন উনিশ শত পচাশি এবং উনিম শত সাতাশি সালের সাফ গেমসে। উনিশ শত আটাশি -এর সিউল অলিম্পিকে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন শাহ আলম। উনিশ শত উনব্বই সালে উনত্রিশ শে মে বেইজিং এশিয়াডের জন্য জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিতে মোটরসাইকেলে মেহেরপুর থেকে ঢাকায় ফেরার পথে পাবনার বেড়ার দাড়িয়াপুরে তেলবাহী ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়ে সাড়ে চার ঘণ্টা পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তথনকার দেশসেরা অ্যাথলেট মোহাম্মদ শাহ আলম। গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।