Sponsor



Slider

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » ১৯৭৮ সালে মেহেরপুরের পঞ্চাশ জন ছাত্র ছাত্রী মুজিবনগর বিশাল ঘন আম বাগানে ভ্রমণে হারিয়ে যাওয়ার স্মৃতি (একচল্লিশ পর্ব)




উনিশ শত আটাত্তর সালে মেহেরপুরের পঞ্চাশ জন ছাত্র ছাত্রী মুজিবনগর বিশাল ঘন আম বাগানে ভ্রমণে হারিয়ে যাওয়ার স্মৃতি (একচল্লিশ পর্ব) উনিশ শত আটাত্তর সালে মেহেরপুরের তৎকালীন একমাত্র সাহিত্য সাঙস্কৃতিক সঙ্গঠন মধুচক্র আমাদের ক্লাস থ্রি থেকে নবম শ্রণির পঞ্চাশ জন ছাত্র ছাত্রীর জন্য মুজিবনগর ভ্রমনের উদ্যোগ নেয়। তখন আমি অস্টম শ্রেণির ছাত্র। উনিশ শত একাত্তর সালে বাঙলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী মুজিবনগরে সেটিই ছিল আমাদের প্রথম ভ্রমন। সেই সময়ে মধুচক্র ছিল মেহেরপুরের জনপ্রিয় সঙগঠন। নাসির উদ্দিন মিরু ( নাসির ভাই) ছিলেন এর প্রধান সংগঠক। মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী গ্রাম বৈদ্যনাথ তলার বিশাল আম্রকাননে উনিশ শত একাত্তর সালের সতোরো এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করে। শপথ গ্রহণের সময় এখানকার নামকরন করা হয় 'মুজিবনগর'। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারগারে বন্দি থাকায় সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অ

স্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও তাজউদ্দীন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় এবং মুজিবনগরে এই সরকার শপথ গ্রহণ করে। তখন নাসির ভাই মেহেরপুরের শিশু- কিশোরদের জন্য নিয়মিত আসর বসাতো। সেসব আসর কখনো পৌরসভা চত্বরে, কখনো বি.এম. প্রাথমিক স্কুলে, কখনো পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে, কখনো বোস প্রাঙ্গনে আবার কখনো নাসির ভাইয়ের বাড়িতেই আয়োছন করা হতো। এসব আসরে নাসির ভাই ছাড়াও থাকতেন আনসারুল স্যার, মতিন স্যার, রাজ্জাক স্যার,ননী কাকা, মফিজুর রহমান, হিরক ভাই, মিরাজ ভাই, বাসার ভাই, রবীউল ভাইসহ আরো অনেকে। এসব আসরে বি. এম. প্রাথমিক স্কুল, মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, নজরুল স্কুল, সরকারি উচ্চ বালক ও বালিকা বিদ্যালয় এবঙ বড়বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র- ছাত্রীদের অনেকে নিয়মিত উপস্থিত থাকতো। এসব আসরে ছড়া, কবিতা, গল্প, গান, সাধারণ জ্ঞানসহ নানান বিষয়ের আয়োজন করা হতো। কখনো কখনো আসরে উপস্থিত সকলকে নিয়ে স্থানীয় কোন জায়গায় শিক্ষা সফর করা হোত। এরকম একটি আসরে নাসির ভাই মুজিবনগর ভ্রমণে যাওয়ার কথা বললেন। আমরা সবাই মুজিবনগর ভ্রমণে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করলাম। শূরু হলো মুজিব নগর ভ্রমণে যাবার প্রস্তুতি। কে, কে ভ্রমণে যাবে, সাথে অভিভাবক কারা যাবে, সাথে খাবার দাবার কি নেয়া হবে ইত্যাদি। এর মধ্যে একদিন শূনলাম তৎকালীন সিও রেভিনিউ এই ভ্রমণের কথা এসডিও সাহেবকে বলেছেন। এবঙ এসডিও সাহেব মধুচক্র ভ্রমণ দলকে কিছু বিস্কুট ও চিড়া উপহার দিয়েছেন। নির্দিষ্ট দিনে আমরা মুজিবনগর ভ্রমণে যাত্রা শূরু করলাম। আমাদের সাথে অভিভাবক হিসাবে ছিলেন নাসির ভাই, মতিন স্যার, রাজ্জাক স্যার, মনা ভাই, ননী কাকা, রবীউল ভাই, তরুন দা। ভ্রমণে সদস্য হিসেবে মেহেরপুরের বিভিন্ন স্কুলের ক্লাস থ্রি থেকে নবম শ্রণির বেশকিছু ছাত্র ছাত্রী। তখন মুজিব নগরে সকালে একটি মাত্র বাস যেত এবঙ ঐ বাসটিই আবার বিকালে ফিরে আসত। আমরা নির্ধারিত দিনে খুব সকালে মুজিবনগরের উদেশ্যে রওয়ানা হলাম। বাসটি মেহেরপুর কোর্ট, দারিয়া পুর পার মুজিবনগর আম বাগানের সামনে থামলো। আমরা বাস থেকে নামলে নাসির ভ্রমনের নিয়ম কানুন বুঝিয়ে দিল। তারপর ছোট ছোট গ্রুপ করে প্রতে্যক গ্রুপের একজন করে দলনেতা করে দিলেন। দলনেতার সাথে আমরা মুজিবনগর আম বাগান দেখতে বের হলাম। বিশাল আম বাগান। আম গাছ গুনে যেন শেষ করা যায় না। অবশেষে ক্লান্ত হয়ে নি্রদিষ্ট স্থানে ফিরে এলাম। সেখানে চিড়া- বিস্কুট ও পানি খেয়ে আমরা ভবেরপাড়া খ্রিষ্টান মিশনারি দেখতে গেলাম। একটি দল গেল বল্লভপুর খ্রিস্টান মিশনারি দেখতে। খ্রিস্টান মিশনারি দেখতে দেখতে দুপুর পেরিয়ে গেল। আমরা নির্দিষ্ট জায়গায় ফিরে এলাম। বাসটি তখনো সেখানে অবস্থান করছে। বাসের কন্ট্রাক্টর বললো তাদের ফিরে যাবার সময় হয়ে গেছে। কিন্তু অন্য দল তখনো ফেরেনি। বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পরেও অন্য দল এলো না। তখন আমরা কিছু সদস্য ওদেরকে খুজতে বের হলাম। অনেক সময় ধরে খুজার পর তাদের পাওয়া গেলো। আমরা সবাই বাসের কাছে এসে দেখি বাস নাই। আবার আমাদের সদস্যরাও কেউ নাই। একজন স্থানীয় ব্যক্তি বললো বাস সবাইকে নিয়ে অনেকক্ষন আগেই চলে গেছে। তখন সবাই এ ওর মুখের দিকে করুন ভাবে তাকাতে লাগলো। এখন কি করা যায়? টেলিফোনর কোন ব্যবস্থা নাই, যে খবর নেব। উপায়ন্তর না দেখে আমরা হাটা শুরু করলাম। হাটতে হাটতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। সন্ধ্যার পর যখন আমরা দারিয়াপুরে তখন সেখানকার চেয়ারম্যানের সাথে দেখা। উনি আমাদের অবস্থা দেখে আর হাটতে দিলেন না। তিনি তার বাড়িতে আমাদের নিয়ে গেলেন। রান্নার ব্যবস্থা করতে লাগলেন। আমরা তখন খুবই ক্লান্ত। কেউ কেউ ঘুমিয়ে পড়ল। সম্ভবত রাত ১১ টার পর খাওয়া দাওয়া করে আমরা আবার হাটা শুরু করলাম। আমরা যখন দারিয়া ব্রিজ পার হয়ে মেহেরপুরের দিকে হাটছি তখন দেখা গেলো দুরে একটি মটর সাইকেল আসছে। মটর সাইকেল কাছে এলে দেখা গেল সেটাতে আসছে বাটুল দা। তখন মেহেরপুরে বাটুল দা একজন অতি উপকারী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিল। বাটুল বললো, বাসে যারা বাড়ি ফিরে গেছে, তাদের বক্তব্যে সবাই বিভ্রান্ত। কেউ বলছে একদল হারিয়ে গেছে। আবার কেউ বলছে একদল মুজিবনগর পার হয়ে ভারতে চলে গেছে। এই নিয়ে মেহেরপুরে তোলপাড় অবস্থা। বাটুল এসেছে প্রকৃত খবর জানতে। সব জেনে বাটুলদা সবচেয়ে ছোট যারা তাদের কয়েকজনকে মটর সাইকেলে করে মেহেরপুর নিয়ে গেল। আবার ফিরে এসে আরো কয়েকজনকে নিয়ে এলো। আমরা কোর্ট পার হয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের পেলাম। তখন প্রায় ভোর হয়ে গেছে।লেখক ও গবেষক-:: নাফিজ উদ্দিন খান মেহেরপুরের ছড়াকার, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সু-বক্তা হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত ছিলো। মেহেরপুরের কাঁসারী পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।তার বাবা: মরহুম শামসুদ্দিন খান, মা:মরহুমা নোসেমা খাতুন। গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
চিকিৎসক, শয্যা, ঔষধসহ অন্যান্য জনবল সংকটে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল।
»
Previous
প্রাচীন জনপদ টলেমির বর্ণনানুসারে অঙ্কিত মানচিত্রে মেহেরপুরের অবস্থান ( চল্লিশ পর্ব )
Pages 22123456 »

No comments:

Leave a Reply