শিরোনাম

    6:56 PM

Sponsor



Slider

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » কবিতা, ছড়া, পুঁথি, হেয়ালী ধাঁধাঁর প্রাচুর্যে বাংলা সাহিত্যর গবেষক ডক্টর গাজী রহমান মেহেরপুরের সাহিত্য কে মাহাত্ম্য করেছে ( বিয়াল্লিশ পর্ব)




কবিতা, ছড়া, পুঁথি, হেয়ালী ধাঁধাঁর প্রাচুর্যে বাংলা সাহিত্যর গবেষক ডক্টর গাজী রহমান মেহেরপুরের সাহিত্য কে মাহাত্ম্য করেছে ( বিয়াল্লিশ পর্ব) বাংলাদেশের কবিতা অতি প্রাচীন কাল হতেই সমৃদ্ধ। চর্যাপদ হতে শুরু করে মধ্যযুগের কবিতা, ছড়া, খনার বচন, হেয়ালী ধাঁধাঁর প্রাচুর্যে বাংলা সাহিত্য তথা কবিতার প্রাচুর্যতা অনস্বীকার্য। বিশ্ব সাহিত্যে কবিতার অনবদ্য অবস্থান সবচাইতে পুরাতন-চোখে পড়ার মতো। জীবন ঘোষে আগুন জ্বালানোর মতো এর দাহ্য শক্তি বহু বিস্তৃত উৎকর্ষে ভরপুর। সবসময়ই কবিতা মানুষের মনের কথা বলে। মানুষের জীবনকে বিস্তৃতকারে রাঙিয়ে তোলে। কবিতার মধ্যেই মানুষের অনুক্ত কথা মালা বাঙময় হয়ে ফুটে উঠে প্রকাশিত হয়। Pol Vallery -মতে Poetry is a separate language -এ কথা সর্ব্বৈ সত্য। এমনকি Jhon Keats যখন বলেন- The poetry of the earth is never dead -তখন কবিতার মহিমা মহত্ত্ব ও সৌন্দর্য্য আলোক ধারার মতো ছড়িয়ে পড়ে। প্রাচীন কাল হতে শুরু করে বাংলাদেশে ও বাংলা ভাষায় অনেক মহৎ ও বড় কবির জন্ম হয়েছে। বাংলা ভাষায় শক্তি ও সৌন্দর্য্য বিশ্বসাহিত্যে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কবিতার মধ্য দিয়েই। সেই অর্থেই কবিতার প্রাচুর্য্য বাংলা ভাষাকে মহিমা দান করেছে নবনব রূপায়নে। রবীন্দ্রনাথ যখন বলেন-

“কবি, তব মনোভূমি, রামের জন্মস্থান অযোধ্যার চেয়ে সত্য জেনো!”। তখন কবি আর কবিতার মহত্ব-উৎকর্ষ প্রকটিত হয়। অবিভক্ত ভারতবর্ষে তথা বাংলাদেশে-মেহেরপুর প্রাচীন জনপদ। এর সাহিত্য সংস্কৃতি-কিংবদন্তী প্রাচীন কাল হতেই লোকমুখে প্রচলিত আছে। অনেক জানা অজানা-গল্প কাহিনী উপকথার ইতিহাস মেহেরপুরের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে নানা গল্পে নানা বর্ণে। অবিভক্ত ভারতবর্ষে তথা বাংলাদেশে অনেক জ্ঞানি-গুণী মহাজন মেহেরপুরের মাটিকে ধন্য করেছে। দান করেছে উৎকর্ষতা, মহত্ব ও মহিমা। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্ত হয়ে সৃষ্টি হয় তদানিন্তন পাকিস্তান, বাংলাদেশেও দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। একটি অংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, অন্যটি পূর্ব পাকিস্তান তথা পূর্ব বাংলা। অবিভক্ত ভারতবর্ষেই বাংলাদেশ ও বাংলা সাহিত্য- কলকাতা কেন্দ্রীক,কৃষ্ণনগর ও নদীয়া বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে সমৃদ্ধি ও সুষমা দান করেছে। যার প্রেক্ষিতেই কবি যখন বলেন- ‘শান্তিপুর ডুবু ডুবু, নদে ভেষে যায়’। কৃষ্ণ লীলা, গীত গাঁথা শ্রীচৈতন্যের প্রভাব সমস্ত নদীয়া প্রভাব বিস্তার করে। আত্মার অন্বিষ্টতায় হয় সাহিত্যের সারিগান। দেশ-বিভক্তির উত্থান-পতনে বিরাট পরিবর্তনও গড় খাই পরিলক্ষিত হয়। সাহিত্য সংস্কৃতি বিভক্ত হয়ে যায়। জরাজীর্ণ ম্রীয়মান স্রোতটি বুকে নিয়ে মেহেরপুরে সাহিত্য-সংস্কৃতি দাঁড়াবার চেষ্টা করেছে। পর্যুদস্তু হয়েছে- অনিবার অনিরুদ্ধ স্রোতের তোড়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারেনি- অরণ্যে রোদনের প্রলাপ-প্রহেলিকা কাটিয়ে উঠতে পারেনি ভৌগলিকভাবে বিভক্ত মেহেরপুর। সমৃদ্ধ প্রাচিন জনপদের কুসুমিত গুলি পালকখসে পড়তে থাকে। উষরমরু প্রান্তের শূণ্যতা দেখা যায়। আজো পর্যন্ত যা মহৎ মাধূর্য্যে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। রচিত হয়নি মহৎ ও মৌলিক সাহিত্য-কবিতা। মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু। শান্তাহার সরকারি কলেজ, বগুড়া তাঁর শেষ কর্মস্থল। তিনি নজরুল একাডেমী মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ও সাবির সঙ্গীত ও সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি । দুই বাংলায় অতি পরিচিত মুখ। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সেমিনারের অতিথি ও আলোচক। অর্জন করেছেন কৃতি শিক্ষক ও মেহেরপুর জেলার কৃতি সন্তানের স্বর্ণপদক। তিনি বাংলা একাডেমি, ঢাকা; ভারতীয় ইতিহাস কংগ্রেস ও ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস এর আজীবন সদস্য।ড. গাজী রহমান:(জন্ম পয়লা জানুয়ারী উনিশ শত আটান্ন সাল) কবি, লেখক ও গবেষক। তিনি গুণী মানুষ। গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post
Pages 22123456 »

No comments:

Leave a Reply