শিরোনাম

Sponsor



Slider

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » (১৮৬৯ –১৯৪৩) মেহেরপুরে জমীদারদের পরাক্রম দুর্দমনীয়, সেই সময় মেহেরপুরের মালোপাড়ায় বলরামচন্দ্র হাড়ি নামক একজন ধর্ম-সংস্কারকের আবির্ভাব হইয়াছিল ( ষাট পর্ব )




(আটারো শত উনসত্তর থেকে উনিশ শত তেতাল্লিশ সাল) মেহেরপুরে জমীদারদের পরাক্রম দুর্দমনীয়, সেই সময় মেহেরপুরের মালোপাড়ায় বলরামচন্দ্র হাড়ি নামক একজন ধর্ম-সংস্কারকের আবির্ভাব হইয়াছিল ( ষাট পর্ব ) হিন্দুধর্মে তাহার প্রবল অনুরাগ ছিল। তিনি যৌবনকালেমেহেরপুরের মল্লিক জমীদারদের গৃহ-বিগ্রহ আনন্দবিহারীর দেবায়তনের রক্ষী নিযুক্ত হইয়াছিলেন । এই চাকরী পাইয়া বলরাম আনন্দিত হইয়াছিলেন | তিনি বিগ্রহের বাসগুহে প্রবেশ করিতে না পাইলেও দূরে থাকিয়া ভক্তিভরে আনন্দবিহারীর পূজার্চনা করিতেন । আনন্দবিহারীরর সব্বাঙ্গে বহুমূল্য স্বণলিঙ্কার, মস্তকে শিখিপুচ্ছ-শোভিত রত্ব-মুকুট ও চরণযুগলে সোনার নুপুর ছিল ; বলরামের প্রতি এই সকল অলঙ্কার রক্ষার ভার অর্পিত হইয়াছিল । কিন্তু চন্দমোহন অত্যন্ত তেজস্বী পুরুষ ছিলেন ; একে ব্রাহ্মণ, তাহার উপর জমীদার, গ্রামের কোন সাধারণ লোক তাঁহার সম্মুখ দিয়া যাইবার সময় অবনত-মস্তকে তাঁহাকে অভিবাদন না করিলে তাহার লাঞ্ছনার সীমা থাকিত না। মেহেরপুরে জমীদার চন্দ্রমোহনের পরাক্রম দুর্দমনীয়, সেই সময় মেহেরপুরে বলরামচন্দ্র নামক একজন ধর্ম-সংস্কারকের আবির্ভাব হইয়াছিল । তিনি যে সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠা করেন, তাহাদের নাম “বলরামী সম্প্রদায় ।' স্বর্গীয় অক্ষয়কুমার দত্ত রচিত “ভারতবর্ষীয় উপাসক সম্প্রদায়' নামক গ্রন্থে এই বলরামী সম্প্রদায়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেখিতে পাওয়া যায় । বলরাম মেহেরপুরের মালো-পাড়ায় অস্পৃশ্য হাড়ীর বংশে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন ; সাতোরো পঁচাশি সালে মেহেরপুরে জন্ম নেন বলরাম হাড়ি নামের এক আধ্যাত্মিক সাধক। তাকে ঘিরে গড়ে ওঠে মন্দির, তৈরি হয় ভক্ত অনুরাগী। তিনি ‘উপাসথ’ নামে একটি ধর্মমত প্রতিষ্ঠা করেন। যার অনুসারীরা বলরামী সম্প্রদায় নামে পরিচিত। আঠারো শত পঞ্চাশ সালে পঁয়ষট্টি বছর বয়সে বলরাম হাড়ি মৃত্যুবরণ করলে কিন্তু হাড়ীর ঘরে জন্মিয়াও পূর্ববজন্মের সুকৃতির ফলে শৈশবেই তাঁহার হৃদয়ে ধর্মভাব অঙ্কুরিত হইয়াছিল । বলরামচন্দ্র এই কার্যের সম্পূর্ণ যোগ্য ছিলেন । কারণ, সে সময় আমাদের নদীয়া জেলার জমীদারবর্গের বরকন্দাজ, পাইক বা সিপাই-শান্ত্রীদলের মধ্যে বলরামের মত সুদক্ষ তীরন্দাজ আর একজনও ছিল না। সেকালের প্রাচীন গ্রামবাসীরা বলিতেন, সেই সময় নদীয়া বহরমপুরে সুপ্রসিদ্ধ দস্মুদল-নায়ক বিশে গ্োয়ালার অত্যাচারের সীমা ছিল না। একালের মত সেকালের পুলিশের শক্তি ও শৃঙ্খলার তেমন পরিচয় পাওয়া যাইত না। তাহার উপর পুলিসের দারোগা, জমাদার প্রভৃতি কর্মচারীরা সাধারণতঃ তেমন কর্তব্যনিষ্ঠ ছিল না এবং যে কোন উপায়ে অথোপপার্জনই তাহাদের অনেকের লক্ষ্য ছিল । “চোরকে বলে চুরি করতে, গৃহস্থকে বলে সাবধান হ'তে'__এই সর্ববজন বিদিত উক্তি তাহাদের অনেকেরই সম্বন্ধে প্রযুক্ত হইতে পারিত ।বৃটিশ আমলের খ্যাতনামা লেখক, দীনেন্দ্রকুমার রায়: গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
মেহেরপুর পৌরসভার ১৫৬ তম জন্মবার্ষিকী কেক কেটে জন্ম দিন পালন
»
Previous
(১৮৬৯ –১৯৪৩) জমিদার ও নীলকর সাহেবদের চরম বিরোধ এক রাত্রিতে সহস্রাধিক লাঠিয়াল দিয়ে নীলকুঠীতে নীলকর সাহেবদের আক্রমণ করিয়াছিলেন মেহেরপুর মুখোয্য জমিদার ( উনষাট পর্ব )
Pages 22123456 »

No comments:

Leave a Reply