Sponsor



Slider

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » ১৮৬৯ –১৯৪৩)মেহেরপুর জমীদারের বিচারে হাত পা বাঁধিয়া এক ঝগড়াটি মহিলা ও প্রকাণ্ড মদ্দাঁ বিড়াল কে আড়াইমনী বস্তা ভিতর নিক্ষেপ করিল বিড়ালটা মহিলাকে আঁচড়াইয়া কামড়াইয়া অস্থির করিয়া তুলিল । ( আটান্ন পর্ব)




১৮৬৯ –১৯৪৩)মেহেরপুর জমীদারের বিচারে হাত পা বাঁধিয়া এক ঝগড়াটি মহিলা ও প্রকাণ্ড মদ্দাঁ বিড়াল কে আড়াইমনী বস্তা ভিতর নিক্ষেপ করিল বিড়ালটা মহিলাকে আঁচড়াইয়া কামড়াইয়া অস্থির করিয়া তুলিল । ( আটান্ন পর্ব)(আটারো শত উনসত্তর থেকে উনিশ শত তেতাল্লিশ সাল)মেহেরপুর জমীদারের বিচারে হাত পা বাঁধিয়া এক ঝগড়াটি মহিলা ও প্রকাণ্ড মদ্দাঁ বিড়াল কে আড়াইমনী বস্তা ভিতর নিক্ষেপ করিল বিড়ালটা মহিলাকে আঁচড়াইয়া কামড়াইয়া অস্থির করিয়া তুলিল । ( আটান্ন পর্ব) মেহেরপুর জমীদারের তালগাছের নীচে একখানি পর্ণ কুটীরে একটি চণ্ডালিনী বাস করিত ; তাহার নাম ইচ্ছা । আমাদের বালাকালে ইচ্ছা বৃদ্ধা হইয়াছিল, কিন্তু তাহার একটিও চুল পাকে নাই বা দাঁত পড়ে নাই । ইচ্ছার মত ঝগড়াটে স্ত্রীলোক দেখা দূরের কথা, নাট্যকারের কল্পনা করাও কঠিন ! ঝগড়া করিবার লোক না পাইলে সে বাতাসের সঙ্গে ঝগড়া করিত ! তালপাতা বায়ুপ্রবাহে কম্পিত হইত, সন্-সন্ শব্দ করিত, সেই সঙ্গে ইচ্ছার মাথা গরম হইত ; সে তালগাছ ও বাতাসকে গালি দিত ! সুতরাং বলা-বাহুল্য, পাড়ার স্ত্রীলোকদের সহিত সামান্য কারণে বা অকারণে তাহার ঝগড়া লাগিয়াই থাকিত । প্রত্যুষ হইতে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাহার কর্কশ কণ্ঠের বিরাম ছিল না। দীননাথবাবু তাহাকে বহুবার ঝগড়া করিতে নিষেধ করিয়াও তাহার কণ্ঠরোধ করিতে পারেন নাই : তাঁহার যেরপ প্রবল প্রতিপত্তি ছিল, তিনি ইচ্ছা করিলে ইচ্ছাকে তাহার কুটীর হইতে বিতাড়িত করিতে পারিতেন, তাঁহার অমোঘ আদেশে পাঁট মিনিটের মধ্যে তাহার ক্ষুদ্র কুটীরখানি বিধ্বস্ত হইতে পারিত ; কিন্তু তিনি এইভাবে তাহার ক্ষতি না করিয়া তাহাকে জব্দ করিবার জন্য এক বিশেষ শক্তি 'অর্ডিনান্স' জারি করিলেন ; তাহা সম্পূর্ণ “অরিজিনাল', এবং তাহার ফল এরূপ অব্যর্থ যে, পুলিসের দারোগাবাবুদেরও তাহা অনুকরণের অযোগ্য নহে । তাঁহার আদেশে তাঁহার পাইক ইচ্ছার স্বজাতি লোহারাম সদ্দরি একটা প্রকাণ্ড আড়াইমনী বস্তা আনিয়া, ইচ্ছার হাত পা বাঁধিয়া তাহাকে তাহার ভিতর নিক্ষেপ করিল ; তাহার পর একটা প্রকাণ্ড মদ্দাঁ বিড়াল ধরিয়া আনিয়া, সেটাকে সেই বস্তায় পুরিয়া বস্তার মুখ দুই হাতে চাপিয়া ধরিয়া রহিল । বিড়ালটা পলায়নের পথ না পাইয়া ইচ্ছাকে আঁচড়াইয়া কামড়াইয়া অস্থির করিয়া তুলিল । ইচ্ছা গলা ছাড়িয়া যতই চীৎকার করে, লোহারাম, ততই বলে, “চ্যাঁচা মাগী, আরও জোরে ! বিড়াল যত্তক্ষণ তোর টুঁটি ছিড়ে মুখ বন্ধ না করায়, ততক্ষণ বস্তার মুখ আলগা করছিনে ।"- অবশেষে সে বস্তার ভিতর অতিষ্ঠ হইয়া প্রতিজ্ঞা করিল আর সে কাহারও সঙ্গে ঝগড়া করিবে না; বাবু আর কোনদিন তাহার গলার আওয়াজ শুনিতে পাইবেন না।--তখন লোহারাম বস্তার মুখ আল্গা করিল । সেইদিন হইতে ইচ্ছা চাঁড়ালনীর কলহ-প্রবৃত্তির কোন পরিচয় পাওয়া যায় নাই; কিন্তু তাহার গালে, কপালে ও দেহের বিভিন্ন অংশে বিড়ালের সুতীক্ষ দত্ত নখরের চিহ্ন বর্তমান ছিল । কেহ কেহ ইচ্ছাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিল, “ইচ্ছে, আর যে তোর গলার আওয়াজ শুনতে পাইনে ?” --ইচ্ছা বলিয়া ছিল, দীনুবাবু বলেছে-“এবার আর বিড়াল নয়, বস্তার মধ্যে আমাকে পুরে কুকুর ছেড়ে দেবে ।” বিড়াল ইচ্ছার পরিধেয় বন্ত্রখানি আঁচড়াইয়া ছিড়িয়া দেওয়াতে বাবু তাহাকে একখানি নূতন কাপড় বকশিস্ দিয়াছিলেন ; ইহাতেই তাহার ক্ষতিপূরণ হইয়াছিল ; কিন্ত সে আর কোন দিন নৃতন বস্ত্র লোভ করে নাই।






«
Next
(১৮৬৯ –১৯৪৩) জমিদার ও নীলকর সাহেবদের চরম বিরোধ এক রাত্রিতে সহস্রাধিক লাঠিয়াল দিয়ে নীলকুঠীতে নীলকর সাহেবদের আক্রমণ করিয়াছিলেন মেহেরপুর মুখোয্য জমিদার ( উনষাট পর্ব )
»
Previous
(১৮৬৯ –১৯৪৩)মেহেরপুর শহরে দুই জমীদার ছিলেন সোনার গড়গড়ায় একতলায় রাখিয়া, তাহার সুদীর্ঘ নলের সাহায্যে দোতলায় বসিয়া ধূমপান করিতেন ( সাতান্ন পর্ব)
Pages 22123456 »

No comments:

Leave a Reply