Sponsor



Slider

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » ইউরোপের কলকারখানায় সুতিবস্ত্র রং করার জন্য দরিদ্র ও নিপীড়িত কৃষকের রক্তে উৎপাদিত মেহেরপুরে নীল ইংল্যান্ডের বাজারে চড়া দামে বিক্রি করেছে ( সাতচল্লিশ পর্ব)




ইউরোপের কলকারখানায় সুতিবস্ত্র রং করার জন্য দরিদ্র ও নিপীড়িত কৃষকের রক্তে উৎপাদিত মেহেরপুরে নীল ইংল্যান্ডের বাজারে চড়া দামে বিক্রি করেছে ( সাতচল্লিশ পর্ব) ইংরেজ কোম্পানি নীলচাষে বিপুল পুঁজি বিনিয়োগ করে মেহেরপুরের আমঝুপি, ভাটপাড়া, রতনপুর, কাথুলি, গোয়ালগ্রাম, সাহেবনগর, রশিকপুর, ষোলটাকা, বেতবাড়িয়া, নীলকুঠি স্থাপিত হয়। একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নীলচাষে যে খরচ হয়, তার পুরোটাই কোম্পানি স্বল্প সুদে অগ্রিম (দাদন) হিসেবে প্রদান করে। প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত নীল রঙের অন্যতম উৎস হল নীল গাছ বা ‘ইন্ডিগোফেরা টিনক্টোরিয়া’ নামক উদ্ভিদ প্রজাতি। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ জামাকাপড় রং করতে গাছ থেকে উৎপাদিত এই নীল ব্যবহার করে আসছে। শিল্পবিপ্লবের যুগে ইউরোপের কলকারখানায় উৎপাদিত সুতিবস্ত্র রং করার জন্য নীলের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। তাই ব্রিটিশ নীলকররা বাংলায় উৎপাদিত উৎকৃষ্টমানের নীল ইংল্যান্ডের বাজারে চড়া দামে বিক্রি করে অধিক মুনাফা লাভের উদ্যোগ নেয়। তারা বাংলার নীলচাষিদের বলপূর্বক নীলচাষ করতে বাধ্য করে। ফলে শোষিত ও অত্যাচারিত নীলচাষিরা ব্রিটিশ নীলকরদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এই বিদ্রোহই ইতিহাসে ‘নীল বিদ্রোহ’ নামে পরিচিত। সুভাষ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বেদনার প্রতীক হিসেবে কবিতায়ও নীলের ব্যবহার আছে, অবশ্য তা বস্তুগত নীল নয়, আলঙ্কারিক।’এই নীলকুঠিগুলি ছিল নীলগাছ থেকে নীল রং তৈরি করার কারখানা এবং এগুলির পরিচালনার দায়িত্বে ছিল অত্যাচারী নীলকররা। কোম্পানির এই বৃহৎ উদ্যোগ গ্রহণের ফলে আঠারো শত ষোলো খ্রিস্টাব্দে বাংলায় এক লক্ষ আটাশ হাজার মন নীল তৈরি হয়। এরপর মাত্র কুড়ি বছরের মধ্যেই বাংলার নীল সমগ্র পৃথিবীর নীলের বাজারে একচেটিয়া অধিকার কায়েম করে। ফলে লাভজনক নীলের ব্যবসার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ফরাসি, ডাচ, পর্তুগিজ, দিনেমার প্রভৃতি দেশের ধনিক গোষ্ঠীও দলে দলে বাংলায় পাড়ি জমায়। প্রাচীনকাল থেকেই ভারতে নীলের ব্যবহার প্রচলিত ছিল। ভারতীয় ভেষজ বিজ্ঞানের নানা গ্রন্থে, প্রাচীন প্রতিমূর্তির বর্ণে এবং বিভিন্ন চিত্রকর্মে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। এজন্য ধারণা করা হয় যে, এদেশেই নীলচাষের উৎপত্তি।লুই বোনার্ড নামের একজন ফরাসি বণিকের মাধ্যমে এদেশে আধুনিক পদ্ধতিতে নীলচাষের প্রচলন ঘটে। তিনি সতোরো শত সাতাত্তর খ্রিস্টাব্দে আমেরিকা থেকে উন্নতজাতের নীলবীজ ও আধুনিক চাষের পদ্ধতি এদেশে নিয়ে আসেন। লাভজনক বুঝতে পেরে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি শীঘ্রই নীলের ব্যবসা শুরু করে দেয়। এদেশের মাটি নীলচাষের জন্য বিশেষ উপযোগী হওয়ায় উৎকৃষ্ট গুণমান সম্পন্ন নীল উৎপাদিত হত। আর এতে উৎপন্ন নীলের সবটাই ইংল্যান্ডে বিক্রয় করে কোম্পানি বহুগুণ লাভ করে। নীলের প্রতি পাউন্ডে ছয় টাকার মতো লাভ করে কোম্পানির সম্পত্তি ফুলেফেঁপে ওঠে। । গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
মেহেরপুরের চাষিরা নীলচাষ অনীহা হলে লাঠিয়াল দিয়ে আমঝুপি, ভাটপাড়া, রতনপুর, কাথুলি, গোয়ালগ্রাম, সাহেবনগর, রশিকপুর, ষোলটাকা, বেতবাড়িয়া এলাকার জমি থেকে ধানের চারা উপড়ে ফেলা হয়েছে।( আটচল্লিশ পর্ব)
»
Previous
১৮৫৯ সালে থেকে গাংনী উপজেলার ভাটপাড়ায় নীলকুঠি ইঁট, চুন-সুরকি দ্বারা নির্মাণ ব্রিটিশ বেনিয়াদের পাপাচার অভিশপ্ত হয়ে দাড়িয়ে আছে নীলকুঠি ( ছেচল্লিশ পর্ব)
Pages 22123456 »

No comments:

Leave a Reply