শিরোনাম

Sponsor



Slider

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » মেহেরপুরে বৃটিশ,পাকিস্তান,বাংলাদেশের আমলে পাক্ষিক, দৈনিক ও অনিয়মিত পত্রিকা প্রকাশিত মেহেরপুর জেলার ইতিহাস-(বারো পর্ব)




মেহেরপুরে বৃটিশ,পাকিস্তান,বাংলাদেশের আমলে পাক্ষিক, দৈনিক ও অনিয়মিত পত্রিকা প্রকাশিত মেহেরপুর জেলার ইতিহাস-(বারো পর্ব) বৃটিশ আমল ও পাকিস্তান আমল থেকে এ পরযন্ত সুবর্ণ অতীত থাকা সত্ত্বেও সাংবাদিকতা ও পত্র-পত্রিকা জগতে আমরা বেশ এগিয়ে যেতে পারি নি। তবে এক্ষেত্রে আমরা একেবারে পিছিয়ে, তা নয়। মেহেরপুর থেকে এক সময় প্রকাশিত হয়েছে ‘আর্যকথা’,‘ইসলাম প্রচারক’,‘ সোলতান’, মাসিক ‘সাধক’, মাসিক ‘পল্লী শ্রী’, পাক্ষিক ‘সীমান্ত’- এর মতো পত্রিকা। গেল সত্তর দশকে বুলেটিন ‘প্রবাহ’ সবার দৃষ্টি কেড়েছিল। পরবর্তীতে সাপ্তাহিক পরিচয়, দৈনিক আযম, সাপ্তাহিক চুম্বক,সাপ্তাহিক মুজিবনগর, সাপ্তাহিক মেহেরপুর, দৈনিক মেহেরপুর, পাক্ষিক পশ্চিমাঞ্চল প্রকাশ হয়। এখন দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন বের হচ্ছে এরই ধারাবাহিকতায়। এছাড়া সাংস্কৃতিক সংগঠন মধুচক্রের কিছু স্মরণিকা, লিটল ম্যাগাজিন মাদল, ধারাপাত, ভৈরব সাহিত্য গোষ্ঠীর প্রকাশনা, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের বার্ষিকী প্রভৃতি মেহেরপুরের সাহিত্য-সংস্কৃতির বিকাশে ভুমিকা রেখেছে।

বৃটিশ আমলে মেহেরপুর থেকে যে সব পত্রিকা প্রকাশ হতো তার মধ্যে গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া গ্রামের রেয়াজ উদ্দিন আহমেদের সম্পাদনায় বারোর শম আটানব্বই বঙ্গাব্দে ‘ইসলাম প্রচারক’ প্রকাশ হয়। এবং তোরো সালের বারো বঙ্গাব্দে তাঁরই সম্পাদনায় ‘সোলতান’ পত্রিকা প্রকাশিত হয়। মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামে হীরালাল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বাংলা বারো শত উনিশ সালের ১লা বৈশাখ‘নদীয়া সাহিত্য সম্মিলনী’নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন গঠিত হয়। এ সংগঠনের উদ্যোগে তেরো সালের কুড়ি সাল থেকে ‘সাধক’ নামে উন্নতমানের একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন- সতীশ চন্দ্রবিশ্বাস এবং প্রকাশক ছিলেন- অবিনাশচন্দ্র বিশ্বাস। পত্রিকাটি দু’বছর নিয়মিতভাবে কৃষ্ণনগর থেকে মুদ্রিত হয়ে প্রকাশিত হয়। এ পত্রিকাটিকে মেহেরপুরের ইতিহাসের প্রথম সংবাদপত্র হিসেবে গন্য করা হয়ে থাকে। ‘পল্লী শ্রী’ নামে একটি মাসিক পত্রিকা ১৩৪২ বঙ্গাব্দের শেষের দিকে প্রথম প্রকাশিত হয়ে কখনও নিয়মিত কখনও অনিয়মিতভাবে ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পূর্ব পর্যন্ত প্রকাশিত হয়। অমরেন্দ্র বসু ওরফে হাবু বাবুর সম্পাদনায় মেহেরপুরের বর্তমান সামসুজ্জোহা পার্কের প্রধান সড়কের পশ্চিম দিকে অবস্থিত প্রমথ চন্দ্র রায়ের কমলা প্রেস থেকে পত্রিকাটি প্রকাশিত হতো। কবি অজিত দাস, দীনেন্দ্রকুমার রায় প্রমুখ নিয়মিত এ পত্রিকায় লিখতেন। বিখ্যাত লেখক সাহিত্যিক ও সাংবাদিক দীনেন্দ্রকুমার রায়ের বাড়ি মেহেরপুর শহরে। তিনি কলকাতা থেকে প্রকাশিত বিখ্যাত বসুমতি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তাঁর রহস্য লহরী সিরিজে প্রকাশিত উপন্যাসের সংখ্যা ২১৭টি। মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের নিগামানন্দ আশ্রম থেকে গত শতাব্দীর প্রথমার্ধে প্রকাশিত হয় মাসিক আর্য্য-দর্পণ। উনিশ শত বাষটি সালে মেহেরপুর থানা কাউন্সিলের উদ্যোগে সীমান্ত নামে একটি পাক্ষিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটি দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। প্রয়াত মেহেরপুরের সাস্কৃতিক সংগঠক শ্রদ্ধেয় নাসিরউদ্দিন মীরু নাসির ভাইয়ের কাছে এই পত্রিকার বেশ কিছু কপি বাধাই করা অবস্থায় দেখেছি। পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন মোঃ মফিজুর রহমান। মেহেরপুর বড়বাজারের এডলিক প্রিন্টিং প্রেস থেকে পত্রিকাটি চার বছর নিয়মিত প্রকাশিত হয় এবং উনিশ শত বাষটি সালের শেষের দিকে পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায়। কুতুবপুর বাসিন্দা শিল্পী মোঃ নাসিরুদ্দিন ‘আমকাঁঠাল লিচুতে ভরপুর, তারই নাম মেহেরপুর’- এই কথাগুলো লিখে পত্রিকাটির প্রচ্ছদ এঁকে দিয়েছিলেন। এই পত্রিকায় মেহেরপুরের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে অনেক লেখা দেখেছি। এডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক, মুন্সি সাখাওয়াৎ হোসেন, বেগম সফুরা রাজ্জাকসহ অনেকের লেখা সেখানে দেখেছি। পত্রিকাটি হাফ ডিমাই সাইজ ছিল। উনিশ শত সালের তেরোই মার্চ মেহেরপুর থেকে ‘প্রবাহ’নামে সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাস বিষয়ক বুলেটিনের প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। প্রবাহের সম্পাদকমণ্ডলীতে ছিলেন মুহঃ আনছার-উল-হক, মোঃ আলী ওবায়দুর রহমান ও মোঃ নাসিরউদ্দিন মীরু। সম্পাদক মোঃ নাসিরউদ্দিন মীরু। মেহেরপুর বড়বাজারের এডলিক প্রিন্টিং প্রেস থেকে এটি প্রকাশিত হতো। কয়েকটি মাত্র অনিয়মিত সংখ্যা প্রকাশিত হয়। বুলেটিনটি মেহেরপুরের খুবই সমাদৃত হয়েছিল। এই পত্রিকায় শিশুদের একটি বিভাগ ছিল উনিম শত উনআশি সালে মেহেরপুর বড়বাজার থেকে তারিক-উল ইসলামের সম্পাদনায় প্রকাশ হয় লিটল ম্যাগাজিন ‘মাদল’। পরবর্তীতে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শব্দায়ন’ প্রতিষ্ঠা ও সম্পাদনা করেন এবং পরে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ঢাকায় সাংবদিকতা করে খ্যাতিমান হন। এসএম তোজাম্মেল আযমের সম্পাদনায় পরিচয় নামে একটি সাপ্তাহিক মেহেরপুর শহরের কাথুলী সড়কের গফুর প্রিন্টিং প্রেসে মুদ্রিত হয়ে প্রকাশিত হতো। । তার অনুরোধে আমি মেহেরপুর নিয়ে অনেক লিখেছি এই পত্রিকায়। বিরানব্বই সালের মার্চ থেকে দৈনিক আযম নামে একটি সংবাদপত্র প্রকাশিত হয় এসএম তোজাম্মেল আযমের সম্পাদনায়। এ পত্রিকাটির প্রকাশনা ছিল অনিয়মিত। উনিশ শত ছিয়াশি সালের ২৬শে মার্চ মেহেরপুর কোর্ট রোডের লুমা প্রিন্টিং প্রেস থেকে সাপ্তাহিক চুম্বক প্রকাশিত হয়। প্রায় এক বছর নিয়মিত প্রকাশনার পর সরকারের নির্দেশে পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। এই পত্রিকার সম্পাদকও প্রকাশক ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ আমিনুল ইসলাম। উনিম আটাশি সালের িএগারোই জুলাই মেহেরপুর কোর্ট রোডের লুমা প্রিন্টিং প্রেস থেকে সাপ্তাহিক মুজিবনগর প্রথম প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। অ্যাডভোকেট সৈয়দ আমিনুল ইসলাম ছিলেন পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক। রুহুল কুদ্দুস টিটোর সম্পাদনায় মেহেরপুর কাঁসারীপাড়া থেকে বিরানব্বই সালের চৌদ্দই ফ্রেবুয়ারি পাক্ষিক পশ্চিমাঞ্চল প্রথম প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটি ঢাকা থেকে কম্পিউটার কম্পোজে প্রকাশিত হতো। ি। মনে পড়ে থানা কাউন্সিল হলে পত্রিকাটি প্রকাশনা উৎসব হয়েছিল। বিরান্বই সাল থেকে অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খানের সম্পাদনায় সাপ্তাহিক মেহেরপুর প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে পত্রিকাটি দৈনিক মেহেরপুর নামে প্রকাশিত হয়। রশিদ হাসান খান আলো পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক। এর প্রকাশনা নিয়মিত নয়। মেহেরপুর জেলার জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল মেহেরপুর নিউজ ও মুজিবনগর খবর । । অনলাইন নিউজ দুইটি পোর্টালটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আমি অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর মুজিবনগর খবর অনলাইনের ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দীঘদিনের অবহেলিত জেলা মেহেরপুরকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে এবং মুজিবনগর খ্যাত ঐতিহ্যবাহী মেহেরপুরের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিনের যাত্রা শুরু হয়েছিল। পত্রিকাটি পাঠক মহলে ইতিমধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। । মেহেরপুরের মতো আয়তনে ছোট এবং বলা চলে প্রায় শূন্য শিল্প ও কৃষিনির্ভর এলাকা থেকে পত্র-পত্রিকা প্রকাশ অনেক কঠিন। গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
Newer Post
»
Previous
মেহেরপুরে ১৯৬২সালে একটি পাক্ষিক পত্রিকা প্রকাশিতমেহেরপুর জেলার ইতিহাস-(এগারো পর্ব)
Pages 22123456 »

No comments:

Leave a Reply