শিরোনাম

    6:30 PM

Sponsor



Slider

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » মধ্যযুগের প্রথমার্ধে কৃষ্ণকান্তভাদুড়ীর ও রমেশচন্দ্রদত্ত অন্যতম সুসাহিত্যিক সাহিত্যঅঙ্গনে মেহেরপুর জেলার ইতিহাস (দ্বিতীয় পর্ব)




মধ্যযুগের প্রথমার্ধে মেহেরপুরের সাহিত্যঅঙ্গনে ও রমেশচন্দ্রদত্ত অন্যতম সুসাহিত্যিক মেহেরপুর জেলার ইতিহাস (দ্বিতীয় পর্ব)মধ্যযুগের প্রথমার্ধে মেহেরপুরের সাহিত্যঅঙ্গনে কৃষ্ণকান্তভাদুড়ীর(জন্মঃ১১৯৮ এগারো শত আটানব্বই (১৭৯১ সতোরো একানব্বই খ্রূষ্টাব্দ )বঙ্গাব্দ - মৃত্যুঃ১২৫১ বারো শত একান্ন (বঙ্গাব্দ(১৭৯১ তোরো একানব্বই খ্রূষ্টাব্দ খ্রূষ্টাব্দ১৮৪৪ আঠারো চুয়াল্লিশ খ্রীষ্টাব্দ) নাম উল্লেখযোগ্য। কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী মেহেরপুরের বাড়েবাঁকা গ্রামে দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি বাল্যকাল থেকেই পাদপূরণও ছোট ছোট কবিতা রচনা করতে পারতেন।তিনি চাকুরির সন্ধানে কৃ

ষ্ণনগর আগমন করলে তদানীন্তন রাজা গিরীশচন্দ্র তাকে মাসিক ত্রিশ টাকা বৃত্তিতে নদিয়া রাজপরিবারের সভাসদের পদ প্রদান করেন।এসময় তিনি ছোট ছোট পুঁথি রচনা করতেন।তবে এসময়ের কোন প্রকাশনার স্মৃতি সংরক্ষিত নেই।এসময় তিনি কৃষ্ণ হরিদাস নামে পরিচিতি পান। মেহেরপুরের অন্যতম সুসাহিত্যিক রমেশচন্দ্রদত্ত ( তেরো আগস্ট১৮৪৮ আটারো আটচল্লিশ - ত্নরিম ভেম্বর১৯০৯ উনিশ শত নয় ) একজন বাঙালি ঔপন্যাসিক ছিলেন।তিনি বঙ্কিম চন্দ্রের অনুরোধে বাংলা উপন্যাস রচনায় অগ্রসর হন এবং বিশেষ সাফল্য অর্জন করেন। ভয়ঙ্কর সাইক্লোনের কারণে ১৮৭৪ আঠারো চুয়াত্তর সালে নদীয়া জেলার মেহেরপুরে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়৷ এখানে জরুরী ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থা এবং দুর্যোগ পরবর্তী বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া একান্ত অপরিহার্য হয়েপড়ায় রমেশ চন্দ্রকে তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেয়া দিয়ে মেহেরপুরে বদলি করা হয়৷ রমেশ চন্দ্র দত্ত একটি এক বিশিষ্ট বাঙালি কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন৷ তার পরিবারের প্রায় সবাই ছিলেন উচ্চ শিক্ষিত৷ উচ্চ শিক্ষিত৷ তার বাবা ছিলেন ঈশান চন্দ্র দত্ত এবং মা ছিলেন থাকোমণি দেবী।৷তার বাবা ঈশান চন্দ্র তৎকালীন বাংলার ডেপুটি কালেক্টর ছিলেন৷ অফিস চলাকালীন সময়ে রমেশ চন্দ্র দত্ত তার সঙ্গে থাকতেন৷ রমেশ চন্দ্র বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্কুলে পড়াশোনা করেছেন৷ তিনি কুষ্টিয়ার কুমারখালী মথুরানাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও পড়াশুনা করেছেন।এছাড়াও তিনি ডেভিড হেয়ার প্রতিষ্ঠিত হেয়ার স্কুলে পড়াশোনা করেন৷ নৌকা দূর্ঘটনায় তার বাবার আকস্মিক মৃত্যুর পর ১৮৬১ সালে তার কাকা শশী চন্দ্রদত্ত, যিনি একজন প্রখ্যাত লেখক ছিলেন, তার অভিভাবকত্ত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করেন৷ রমেশ চন্দ্র তার কাকা সম্পর্কে লিখেছেন যে রাতের বেলা তিনি পরিবারের অন্যান্যদের সাথে বসতেন এবং তাদের প্রিয় বিষয় ছিল ইংরেজি কবিদের কবিতা চর্চা করা৷ রমেশচন্দ্র ১৮৬৪ আটারো ্চৌষট্টি সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনা শুরু করেন৷ পরে ১৮৬৬ আটারো চেছষট্টি সালে তিনি মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অর্জনের মাধ্যমে এবং স্কলারশীপ অর্জনের মাধ্যমে আর্টস পরীক্ষায় পাস করেন৷ ১৮৬৮ আঠারো আটষট্টি সালে বিএ ক্লাসের ছাত্র থাকা অবস্থায় পরিবারের অনুমতি না নিয়ে তিনি এবং তার দুই বন্ধু বিহারীলাল গুপ্ত এবং সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান৷ রমেশচন্দ্র সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কৃতিত্বকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ ১৮৫৩ আটারো তিপান্ন সালের আগে ওপরে, যখন ইংল্যান্ডে আইসিএস পরীক্ষা চালু করা হয়, তার পূর্বে মূলত বিট্রিশ কর্মকর্তারাই গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদগুলোতে নিয়োগপ্রাপ্ত হতেন৷ ১৮৬০ আটারো ষাট সালের দিকে ভারতীয়রা, বিশেষ করে বাঙালি বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়ের লোকজন ভারতীয় উপমহাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদগুলোতে আসীন হতে শুরু করেন৷ ১৮৭১সালে রমেশ চন্দ্র দত্ত আলীপুরের সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে আইসিএস (ইন্ডিয়ানসিভিলসার্ভিস) এ যোগদান করেন৷ পদটিতে তার নিয়োগ ১৮৫৮ আটারো আটান্ন সালের ১লা নভেম্বর রাণী ভিক্টোরিয়ারর রঙ ও ধর্মমত নির্বিশেষে সকল মানুষের প্রতি সমান সুযোগের ঘোষণার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে৷ ভয়ঙ্কর সাইক্লোনের কারণে ১৮৭৪ আটারো চুয়াত্তর সালে নদীয়া জেলার মেহেরপুরে মহকুমায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়৷ এলাকাগুলোতে জরুরী ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থা এবং দুর্যোগ পরবর্তী বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া একান্ত অপরিহার্য হয়ে পড়ে৷ রমেশ চন্দ্রের তত্ত্বাবধানে একাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়৷ ১৮৮২ আটারো বিরাশি সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে রমেশ চন্দ্রকে সার্ভিসের নির্বাহী শাখায় নিয়োগ দেয়া হয়৷ তিনিই প্রথম ভারতীয়, যাকে নির্বাহী পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়৷ রমেশচন্দ্রদত্তের উল্লেখযোগ্য সাহিত্য রচনাহল- বঙ্গবিজেতা (১৮৭৪ ), মাধবীকঙ্কণ (১৮৭৭), মহারাষ্ট্রজীবন-প্রভাত (১৮৭৮), রাজপুতজীবন-সন্ধ্যা (১৮৭৯), সংসার (১৮৮৬), সমাজ (১৮৯৪), শতবর্ষ, (বঙ্গবিজেতা, রাজপুতজীবন-সন্ধ্যা, মাধবীকঙ্কণ ও মহারাষ্ট্রজীবন-প্রভাত একত্রে, ১৮৭৯), সংসারকথা – (সংসার উপন্যাসেরপরিবর্তিতসংস্করণ, ১৯১০) গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post
Pages 22123456 »

No comments:

Leave a Reply