Sponsor



Slider

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » মেহেরপুর-অঞ্চল প্রাচীন জনপদে ১৮৩৮ সালে ভবেরপাড়ায় প্রথম চার্চ (মাটির গীর্জা) নির্মিত হয় তাই গৌরবময় ইতিহাস- ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ মেহেরপুর (বত্রিশ পর্ব )




মেহেরপুর-অঞ্চল প্রাচীন জনপদে ১৮৩৮ সালে ভবেরপাড়ায় প্রথম চার্চ (মাটির গীর্জা) নির্মিত হয় তাই গৌরবময় ইতিহাস- ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ মেহেরপুর (বত্রিশ পর্ব ) মেহেরপুর খ্রীস্ট মন্ডলীর একটি প্রধান কেন্দ্র হিসেবে বহু পর্ব হতেই পরিচিত। রোমান ক্যাথলিক ও প্রোটেস্ট্যাণ্ট উভয় শ্রেণীর মিশনারীদের চেষ্টায় মেহেরপুর অঞ্চলে উনিশ শতকের প্রথমার্ধ হতেই চার্চ, স্কুল, দাতব্য চিকিৎসালয়, অনাথাশ্রম গড়ে ওঠে এবং প্রলুন্ধ-উপকৃত নিম্নশ্রেণীর অভাবী হিন্দু-মুসলমান খ্রীস্টধর্মে দীক্ষিত হতে শুরু করে। মেহেরপুরের ভবেরপাড়ায় নদীয়া জেলার প্রথম চার্চ (মাটির গীর্জা) নির্মিত হয় আঠারো শত আটত্রিশ সালে । এর কিছুকালের মধ্যেই বল্পভপুর ও রতনপূরে মিশনকেন্দ্র স্থাপিত হয়। আঠারো শত একল্লিশ সালে রতনপুর মিশনগৃহ ও গীর্জা নির্মিত হয় । আঠারো শত পঞ্চাশ সালে রেভারেন্ডজে. ভি, লিঙ্কের চেষ্টায় বল্লভপুর ইন্মানুয়েল চার্চের জন্ম হয়। রোমান ক্যাথলিকদের উদ্যোগে ১ আাঠারো শত ছেষট্টি সালে প্রথম গ্রাম-মিশন (Villege mission) প্রতিষ্ঠিত হয় মেহেরপুরের দারিয়াপুর গ্রামে । উনিশ শতকের শেষপ্রান্তে ভবেরপাড়ায় ক্যাথলিক চার্চ ও আঠারো শত তেরাশি সালে ভবেরপাড়ার নতুম প্রোটেস্ট্যাণ্ট চার্চ নির্মিত হয়। মেহেরপুরের মাজিস্ট্রেট ডব্রিউ. লিবাস তাওডিন খ্রীস্ট- মণ্ডলীর কাজে বিশেষ উৎসাহী ছিলেন, উনিশ শত চার সালের এক রিপোর্টে তাঁর আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতাকে “স্মরণীয় দান” হিসেবে অভিহিত করা হয়। মূলত মিশনারীদের প্রচার-কৌশল, সাহায্য-সহযোগিতা ও সেবামূলক কাজের জন্যই' এ অঞ্চলের পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীর একাংশ খ্রীস্টধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়। দারিদ্র্য আর অশিক্ষাই ছিলো এর প্রধান কারণ। মেহেরপুর অঞ্চলের অধিবাসীদের অধিকাংশই ছিলো দরিদ্র। ফসল- উৎপাদন কখনোই আশানুরূপ হতো, না, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধাও ছিলো সীমিত। আর তাছাড়া দরিদ্র বায়ত-প্রজার উপর নীলকর-জমিদারের শাষণ- পীড়ন-অত্যাচারও অব্যাহত ছিলো। এর উপরে ছিলো উপর্যুপরি খরা-বন্যা-সাইক্লোন-দূভিক্ষ মহামারীর আঘাত। এসব কারণে মেহেরপুরের অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ে, সাধারণ মান্ষের অবস্থা হয়ে ওঠে শোচনীয়।মেহেরপুর-অঞ্চল অখণ্ড নদীয়ার একটি প্রাচীন জনপদ। এক গৌরবময় ইতিহাস- ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ এ অঞ্চল। মেহেরপুরের প্রচীন ইতিহাস ও নামকরণ সম্বন্ধে নানা মত প্রচলিত আছে। কেউ কেউ মনে করেন, মহারাজা বিক্রমাদিত্যের সময়ে মেহেরপুরের উৎপত্তি। কারো ধারণা, বচনকার মিহির-খনার আবাস ছিলো এ স্থান এবং মিহিরের নামানুসারে “মিহিরপুর', তার থেকে “মেহেরপুর' নামের উদ্ভব। আবার অপরপক্ষে জনশ্রুতি আছে, ষোড়শ শতকে মেহের আলী শাহ নামে এক দরবেশ এ শহর পত্তন করেন এবং “মেহেরপুর নাম তাঁরই স্মৃতি বহন করছে।লেখাটি আবুল আহসান চৌধুরী রচিত মুনশী শেখ জমিরুদ্দীন গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে। গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
নব্বই দশকের নাট্যকার, কবি, ব্যাংকার ও সমাজসেবক আব্দুল হাকিমের রচিত ২২ টি নাটক আঞ্চলিক বেতারে সম্প্রচার হয়ে মেহেরপুরের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে (তেত্রিশ পর্ব )
»
Previous
নবাব আলীবর্দী খান আমলে মেহেরপুরে প্রাচীন দরগা, মন্দির ও মঠ ছিল অভিজাত মুসলমান-পরিবারেরও বসতির বাস ছিল মেহেরপুরে (একত্রিশ পর্ব )
Pages 22123456 »

No comments:

Leave a Reply