শিরোনাম

    1:40

Sponsor



Slider

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » মোগল আমলে মেহেরপুরের বাগোয়ানে ভবানন্দ মজুমদাদের সাহিত্য ও প্রকাশনায় মেহেরপুর জেলার ইতিহাস-(নবম পর্ব)




মোগল আমলে মেহেরপুরের বাগোয়ানে ভবানন্দ মজুমদার সাহিত্য ও প্রকাশনায় মেহেরপুর জেলার ইতিহাস-(নবম পর্ব) মোগল আমলে মেহেরপুরের বাগোয়ানে ভবানন্দ মজুমদার প্রতিষ্ঠা করেন‘নদীয়া রাজবংশ’নামে এক বিশাল রাজবংশ।বাগোয়ানের সন্তান ভবানন্দ মজুমদারের জীবনালেখ্য নিয়ে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি ভারত চন্দ্র( জন্ম: সতেরো শত বারো সালে মৃত্যু:সতোরো শত ষাট সালে) রচনা করেন‘অন্নদামঙ্গল’কাব্য। এ কাব্যের তৃতীয় খণ্ড অন্নপূর্ণা মঙ্গল বা‘মানসিংহ,ভবানন্দ উপাখ্যান’। এই কাব্যে ভারত চন্দ্র একটি ঘাটের বর্ণনা করেছেন।এ ঘাটটি মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ থেকে ৩ থেকে ৪ কিলো মিটার পূর্ব-উত্তর কোণে অবস্থিত রসিকপুরের ঘাট।এ ঘাটেই খেয়া পারাপার করত ঈশ্বরী পাটুনী।মাঝি দেবীকে পার করার পর বর প্রার্থনা করে বলেছিলেন, ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’। তখন দেবী মাঝিকে আশীর্বাদ করে বলেন, ‘দুধে ভাতে থাকিবেক তোমার সন্তান।’সেই থেকেবাংলাসাহিত্যে ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’কথাটি ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হতে থাকে। আঠারো শত এক থেকে উনিশ শত সাতচল্লিশ সাল পর্যন্ত মেহেরপুর শাসিত হত মল্লিক ও মুখার্জি পরিবারের প্রাধান্যে।তাঁরা জমিদারি ও পৌর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে মেহেরপুরবাসীকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।মেহেরপুরের অন্যতম জমিদার মল্লিক বংশ নিজগুণে বিখ্যাত ছিলেন।মুখোপাধ্যায় ও মল্লিক বংশের সমৃদ্ধির আমলে মেহেরপুরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছিল। উনিশ শতকে মেহেরপুরে জমিদারি ক্রয় করে জমিদার কৃষ্ণকান্ত মল্লিক মেহেরপুরে বসবাস শুরু করেন এবং তাঁর বসবাসের স্থান তাঁর পরিবারের নাম অনুসারে মল্লিকপাড়া নামকরণ করা হয়।আজো তাঁদের স্মৃতিবহন করে জেগে আছে মল্লিকপাড়া।জেগে আছে মেহেরপুরের ইতিহাস।আজো মেহেরপুরের মানুষ তাঁদের শ্রদ্ধায় স্মরণ করে।কৃষ্ণকান্ত মল্লিক,নন্দ কুমার মল্লিক,নব কৃষ্ণ মল্লিক,পদ্মলোচন মল্লিক,ব্রজকুমার মল্লিক, শ্রীকৃষ্ণ মল্লিক,সাধক ও ভক্তিমান পুরুষ জগদীশ্বরগুপ্ত,সাহিত্যসেবী ও বৈষ্ণব গ্রন্থের প্রচারক রমণী মোহন মল্লিক,মেহেরপুর পৌরসভার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ইন্দুভুষণ মল্লিক ও সত্যেন্দ্র ভূষণ মল্লিকসহ মল্লিক পরিবারের সকল জমিদার ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। এ অঞ্চলের পুরানো ইতিহাস গ্রন্থ কুমুদনাথ মল্লিক রচিত নদীয়া কাহিনী (প্রথম প্রকাশ তেরো শত সতোরো বঙ্গাব্দ)।এই গ্রন্থে কুমুদনাথ মল্লিক মেহেরপুরের মল্লিক পরিবার সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছেন ।তিনি লিখেন,‘মুখোপাধ্যায় বংশের যখন দুর্দান্ত প্রতাপ মেহেরপুরে তখন নদীয়ার অন্যতম জমিদার কৃষ্ণকান্ত মল্লিক মেহেরপুরে এসে বাসস্থান নির্মাণ করেন । কৃষ্ণকান্ত-পুত্র নন্দ অন্যূন লক্ষাধিক টাকা লাভের জমিদারী করেছিলেন ।ইহার ছয় পুত্র সন্তান।তন্মধ্যে পঞ্চম পুত্রের অকাল মৃত্যু হইলে নন্দকুমার প্রচণ্ড শোকাহত হয়ে পুত্রের নামে আনন্দ বিহারী বিগ্রহ স্থাপন করেন ।’ মল্লিক পরিবার মেহেরপুরের সংস্কৃতি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। কুমুদনাথ মল্লিক তাঁর নদীয়া কাহিনী গ্রন্থে লিখেছেন,‘ শোনা যায় মুখোপাধ্যায় এবং মল্লিক বংশের প্রতিপত্তি কালে মেহেরপুর ছিলো প্রচণ্ড জাঁকজমক।জাঁকজমক। বারো শত উনসত্তর বঙ্গাব্দে জ্যৈষ্ঠ মহামারীতে অসংখ্য লোকের মৃত্যু হবার ফলে মেহেরপুর জনশূন্য হয়ে পড়ে‘।এসময়ে মল্লিক পরিবার মেহেরপুরে পৃথকভাবে দুটি চিকিৎসাকেন্দ্র গড়ে তোলেন।কুমুদনাথ মল্লিক লিখেছেন, ‘ আটারো শত আটান্ন খৃষ্টাব্দে এখানে মহকুমা স্থাপিত হইলে বিদেশী লোক লইয়া ইহার জনসংখ্যা কথঞ্চিত বৃদ্ধি পাইলেও পুর্বের সে শ্ৰী আর ফিরিয়া আসে নাই।’ সাহিত্য চর্চার একটি প্রধান মাধ্যম পত্র-পত্রিকা । এসব পত্র-পত্রিকার মধ্যে রয়েছে সাহিত্য সাময়িকী, লিটল ম্যাগিাজিন, স্কুল-কলেজের বার্ষিক ম্যাগাজিন, দেয়াল পত্রিকা, পাক্ষিক, সাপ্তাহিক ও দৈনিক পত্রিকা । সাহিত্য চর্চায় আগ্রহী প্রত্যেকেই তাদের সাহিত্য সৃজনীতে কোন না কোন পত্রিকার সাথে সম্পৃক্ত থাকেন । কালের বিবর্তনে সেসব পত্রিকা হারিয়ে গেলেও সাহিত্যিকের অন্তুরে তা বেঁচে থাকে ।লেখক ও গবেষক-:: নাফিজ উদ্দিন খান মেহেরপুরের ছড়াকার, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সু-বক্তা হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত ছিলো। মেহেরপুরের কাঁসারী পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।তার বাবা: মরহুম শামসুদ্দিন খান, মা:মরহুমা নোসেমা খাতুন। গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post
Pages 22123456 »

No comments:

Leave a Reply