Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » চার শত বছর আগের প্রাচীন নিদর্শন মেহেরপুর সদর উপজেলা শ্যামপুর মঠ হিসেবেও পরিচিত।




চার শত বছর আগের প্রাচীন নিদর্শন মেহেরপুর সদর উপজেলা শ্যামপুর মঠ হিসেবেও পরিচিত। শ্যামপুর মন্দির (temple) মেহেরপুর জেলার সদর উপজেলাধীন শ্যামপুর নামক গ্রামে অবস্থিত। মেহেরপুর সদর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব কোণে শ্যামপুর নামক গ্রাম। অনেকের কাছে এ মন্দিরটি শ্যামপুর মঠ হিসেবেও পরিচিত। প্রাচীন এ নিদর্শনটি শ্যামপুর-আলমপুর পাকা সড়কের পশ্চিম দিকে ইদ্রিস শেখ নামক একজন স্থানীয় ব্যক্তির চাষের জমির মাঝখানে দন্ডায়মান রয়েছে। মেহেরপুরের শ্যামপুর মন্দিরটি আয়তাকার ভূমি পরিকল্পনায় নির্মাণ করা হয়েছে। উত্তরমুখী এ মন্দিরটি প্রায় ১ মিটার পাদমঞ্চের (podium) উপর নির্মাণ করা হয়। এটির উত্তর-দক্ষিণে দৈর্ঘ্য সাত দশমিক তিরাশি মিটার এবং পূর্ব-পশ্চিমে প্রস্থ চার দশমিক আটানব্বই মিটার মিটার। নব্বই সে.মি. পুরু দেয়ালবিশিষ্ট এ মন্দিরের সামনে বিধ্বস্ত বারান্দার পাদমঞ্চ (podium) দেখা যায়। বিধ্বস্ত বারান্দার অংশটির দৈর্ঘ্য চার দশমিক আটানব্বই মিটার ও প্রস্থ দুই বাইশ দশমিক আটানব্বই মিটার। বারান্দা থেকে বর্গাকার মূল মন্দিরে প্রবেশের জন্য একটি মাত্র প্রবেশপথ রয়েছে। এ প্রবেশপথটি অর্ধবৃত্তাকার খিলানবিশিষ্ট। মন্দিরের অভ্যন্তরের পশ্চিম ও উত্তর দেয়ালে একটি করে কুলঙ্গি রয়েছে। এ মন্দির নির্মাণে পাতলা ইট ও চুন ব্যবহার করা হয়েছে। প্রায় আস্তরহীন এ মন্দিরের দেয়ালে উল্লেখযোগ্য অলংকরণ দেখা যায় না। এটির ছাদ নির্মাণে মঠ গম্বুজের (cloister dome) বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়েছে। এ মন্দির সংলগ্ন আশেপাশের জমির মাটিতে প্রচুর মৃৎপাত্র ও ইটের টুকরো দেখা যায়। মন্দির থেকে প্রায় বিশ মিটার দক্ষিণ দিকে একটি ঢিবির (mound) মত ভূমি দেখা যায়। কাঠাল ও খেঁজুর গাছবিশিষ্ট এ ঢিবিটি পার্শ্ববর্তী সমতল ভূমি থেকে প্রায় ১ মিটার উঁচু। ঢিবিটির মাটিতেও প্রচুর মৃৎপাত্র ও ইটের টুকরো পড়ে থাকতে দেখা যায়। মন্দির ও ঢিবির পশ্চিম পাশে সরু নদী বা খালের মত একটি মরা খাত দেখা যায়। এ থেকে অনুমান করা যায়, শ্যামপুর মন্দির ও তদসংলগ্নে বহু বছর আগে প্রাচীন কোন জনবসতি গড়ে উঠেছিল। শ্যামপুর মন্দির সম্পর্কে লিখিত উল্লেখযোগ্য ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় নি। ইতিহাসবিদদের মত অনুযায়ী, আঠারো শতাব্দীতে নদীয়ায় মন্দিরের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। তখন মেহেরপুরে অনেকগুলো মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। মনে করা হয়, আলমপুর, শ্যামপুর ও কাথুলীর শিবমন্দির ঐ আমলের নিদর্শন। স্থানীয়দের মতে, প্রায় তিন শত থেকে চার শত বছর আগে শ্যামপুর মন্দির বা মঠটি নির্মাণ করা হয়। এসব তথ্য থেকে আনুমান করা যায়, আঠারারো শতাব্দীতে শ্যামপুরে এ মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply