Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » মেহেরপুরের সংগীত শিল্পী, তবলা বাদক বিশিষ্ট গুণী শিল্পী প্রয়াত টাবলু ওস্তাদ




মেহেরপুরের সংগীত শিল্পী, তবলা বাদক বিশিষ্ট গুণী শিল্পী প্রয়াত টাবলু ওস্তাদ

মেহেরপুর জেলার সঙ্গীতাঙ্গনে মির্জা এখলাসুর রহমান টাবলু এক অনবদ্য নাম । যার নিরালস সঙ্গীতসাধনা, কঠোর অধ্যাবসায় আর সাধারণ জীবন যাপন সঙ্গীতানুরাগীদের মনে আপনজন হিসেবে স্থান করে নেন ।মির্জা এখলাসুর রহমান টাবলু (জন্ম: নয় ই জানুয়ারী উনিশ শত পয়ষট্টি সাল -মৃত্যূ একুশে জুলাই ২ উনিশ শত উনিষ সাল ) ছিলেন মেহেরপুরের একজন বিশিষ্ট গুণী শিল্পী। তিনি ছিলেন মেহেরপুরের বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী, তবলা বাদক ও মেহেরপুর শিল্পকলা একাডেমীর প্রশিক্ষক। মির্জা এখলাসুর রহমান টাবলুর দাদা মরহুম মির্জা এনামুর রহমান তৎকালীন সময়ের একজন মুসলিম জমিদার ছিলেন। মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজারের শহীদ আরজ সড়কস্থ এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে নয় ই জানুয়ারী উনিশ শত পয়ষট্টি সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম মির্জা একরামুল হক একাধারে সঙ্গীতজ্ঞ, ক্রীড়াবিদ রাজনৈতিক দলের কর্মী ছিলেন । তিনি রাজনীতি করার কারণে পাকিস্তান শোষক গোষ্টির কোপানলে পড়ে দীর্ঘসময় কারাভোগ করেন । পিতা একরামুল হকের হাত ধরে শৈশব থেকে সঙ্গীতচর্চা শুরু করেন মির্জা এখলাসুর রহমান টাবলু। এ সময় তিনি ব্যঞ্জ, হারমোনিয়ামসহ অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রের পাশাপাশি বাংলা ইসলামি কাওয়ালি গানের তালিম নেন । শিক্ষা জীবনে তিনি মেহেরপুরের ঐতিহ্যবাহী বিএম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা,মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি এবং মেহেরপুর সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন । লেখক ডি.এম.মকিদ লিখেছেন, মাত্র দশ বছর বয়েসে তিনি ব্যঞ্জর সূরের মূর্ছনায় শ্রোতাদের মন ব্যাকুল করে তুলেন। তিনি করিম শাহাবুদ্দিন ও বরকত হোসেনের কাছে নজরুল সঙ্গীত ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম নেন । এছাড়া বিভিন্ন সময় দেশের সেরা গুণী শিল্পীদের সান্নিধ্যে নিজেকে আরো বিকশিত করার প্রয়াশ পান তিনি ৷ বিভিন্ন ওস্তাদদের নিকট বিভিন্ন সময়ে তিনি মাউথ-অরগ্যান, হাওয়াইন গীটার, কী-বোর্ড ও তবলা বাজানোর উপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন । বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত সঙ্গীতশিক্ষা বিষয়ক কর্মশালায় ওস্তাদ ইয়াছিন আলি খান, করিম শাহাবুদ্দিন, নিজু আহমেদ, শাহিন সামাদ, মহাদেব ঘোষ, চন্দনা মজুমদার, সুজিত মোস্তফা, প্রফেসর ড. শাহনাজ নাসরিন ইলা, শ্রী কিরণ চন্দ্র রায়সহ বরেণ্য সঙ্গীতজ্ঞদের কাছে রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত, লোকগীতি, দেশাত্মকবোধক ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন । শিক্ষার পাশাপাশি সঙ্গীত চর্চার প্রতি তাঁর ছিল গভীর মনযোগ । এরই ধারাবাহিকতায় উনিশ শত ছিয়ানব্বই সালে তিনি তৎকালীন “উপজেলা সংস্কৃতি সংস্থা”-এর গীটার প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন । উনিশ শত ছিয়ানব্বই সালে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত বিভাগে সঙ্গীত প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন । অদ্যবদি তিনি নৈতিকতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। দুই হাজার সতেরো সালে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি জেলার ৫ জন গুণী ব্যক্তিকে সম্মাননা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয় । জেলার গুণি সঙ্গীতাজ্ঞ হিসেবে সঙ্গীতে তাঁকে আয়োজকরা গুণীজন সম্মাননা প্রদান করেন। মির্জা এখলাসুর রহমান টাবলুর মেয়ে ওয়াহিদা রহমান পিংকি একজন প্রতিভাময়ী সংগীত শিল্পী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। পিংকি ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ-এ ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে অনার্সসহ এমএ ডিগ্রী অর্জন করেন।তিনি জাতীয় পর্যায়ে সংগীতে বেশ নাম করেছেন।দুই হাজার সতেরোচৌদ্দ সালে আন্তবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় তিনি সংগীত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে এবং পূর্বে বিটিভির নতুন কুড়ির প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে দেশাত্ববোধক সংগীতে সে প্রথম স্থান অধিকার করেন। সুত্র:গ্রেটার কুষ্ঠিয়া নিউজ গ্রন্থনা: মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply