Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » » গাংনীর মানিকদিয়া গ্রামে মালয়েশিয়ার কৃষি মালচিং পদ্ধতিতে করোলা, শসা চাষে প্রায় দুই লক্ষ টাকা আয় করেছে প্রবাসী কৃষক




গাংনীর মানিকদিয়া গ্রামে মালয়েশিয়ার কৃষি মালচিং পদ্ধতিতে করোলা, শসা চাষে প্রায় দুই লক্ষ টাকা আয় করেছে প্রবাসী কৃষক । মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের মানিকদিয়া গ্রামে মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে সাড়া জাগিয়েছেন কৃষক জহির। দীর্ঘ কুড়ি বছর মালয়েশিয়াতে থাকার পর দেশে ফিরে ছোট মুদীও দোকানের পাশাপাশি মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে দাবি কৃষক জহিরের। জহির উপজেলার মানিকদিয়া মধ্যপাড়ার মফেজদ্দিনের ছেলে। অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে কৃষক জহির জানান তিনি প্রায় কুড়ি বছর মালয়েশিয়াতে গ্রীন হাউজ ও মালচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ করেছেন। মালচিং মূলত জাপান ও চীনের বিষমুক্ত সবজি চাষের একটি পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি। বিভিন্ন ধরনের উপকরণ দিয়ে যখন গাছপালার গোড়া, সবজি ক্ষেত ও বাগানের বেডের জমি বিশেষ পদ্ধতিতে ঢেকে দেয়া হয় তখন তাকে বলে মালচ। আর এ পূর্ণাঙ্গ পদ্ধতিটিকে মালচিং বলা হয়। চাষে আধুনিকীকরণ ও বাণিজ্যিকভাবে সফল হওয়ার সাথে সাথে দিন দিন প্লাস্টিক মালচিং-এর ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এটি আধুনিক চাষাবাদের একটি উন্নত পদ্ধতি। এর ফলে ফসলের দ্রুত বৃদ্ধি হয়। তাছাড়া, ভাল ফলনের জন্য মাটি ঢেকে দিয়ে আবাদের অনুকুল পরিবেশ তৈরি করা হয়। মাটির রস সংরক্ষণে এবং আগাছার প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে মালচিং পদ্ধতির ব্যবহার অন্যতম ভূমিকা পালন করে। এই পদ্ধতিতে প্রথমে পরিমাণমতো খাবার দিয়ে জমি প্রস্তুত শেষে সারি তৈরি করা হয়। সেই মাটির সারিগুলি পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এরপর সারিগুলো দিয়ে নির্দিষ্ট দূরত্বে পলিথিন ফুটো করে সবজির চারা রোপণ করা হয়। চারা রোপণের পর থেকে শুধুমাত্র দেখভাল করা ছাড়া আর তেমন কোনও পরিচর্যা করতে হয় না। মাটির সারিগুলো পলিথিন দিয়ে ঢেকে থাকার কারণে বাইরে থেকে কোনও ছত্রাক কিংবা রোগবালাই সেই সবজির চারায় আক্রমণ করতে পারে না বলে কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় খুবই কম। এই পদ্ধতিতে চাষ করা টমেটোর গাছে ঢলে পড়া রোগ হয় না। ক্ষেতের পরিচর্যার জন্য তেমন শ্রমিকেরও প্রয়োজন হয় না বলে উৎপাদন খরচ খুবই কম হয়। তাছাড়া মালচিং পদ্ধতিতে একবার জমি প্রস্তুত করলে তিনবার সবজি তৈরি সম্ভব হয়। ফলে প্রথমবার খরচটা কিছুটা বেশি হলেও পরের দুইবার সবজি তৈরিতে খরচ খুবই কম হয়। ফলে কৃষকরা বেশি লাভবান হয়। এছাড়াও এই পদ্ধতিতে ফলন দ্বিগুণ, সহজলভ্য ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় অনেক কৃষকরা এই পদ্ধতিতে সবজি চাষে ঝুঁকছেন। প্রবাস ফেরত জহির মালয়েশিয়াতে কাজ করার সময় পরিকল্পনা করেছিলেন দেশে গিয়ে এই স্মার্ট ও মালচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করবেন। যেমন পরিকল্পনা তেমন কাজ দেশে ফিরে একটি মুদিখানা দোকান পরিচালনার পাশাপাশি এ মালচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করেন। কৃষক জহির পরীক্ষামূলকভাবে মালচিং পদ্ধতিতে দশ কাঠা জমিতে কুড়ি হাজার টাকা খরচ করে মাত্র ২ থেকে ৩ মাসে প্রায় ষাট হাজার টাকা আয় করেছেন। বর্তমানে দুই বিঘা জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন তিনি। করোলা, শসা ও টমেটো প্রজাতির সবজি চাষে প্রাথমিকভাবে তিনি ষাট হাজার টাকা খরচ করেছেন। মাত্র তিন মাসের মধ্যে সবজি বিক্রি করে প্রায় দুই লক্ষ টাকা আয় করেছেন। কৃষক জহিরের দাবি এই এলাকায় স্মার্ট ও আধুনিক কৃষি তিনিই প্রথম শুরু করেছেন। গ্রন্থনা: মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply