Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » মেহেরপুরে দর্জিদের বিবর্তন: খলিফা, শেখজি, দর্জিবাড়ি থেকে টেইলারিং ও ফ্যাব্রিক শপ ।




মেহেরপুরে দর্জিদের বিবর্তন: খলিফা, শেখজি, দর্জিবাড়ি থেকে টেইলারিং ও ফ্যাব্রিক শপ । এখন পাড়ায় পাড়ায় যেমন লেডিস টেইলার্স দেখা যায়, এক সময় এই ছেলে আর মেয়েদের কাজ হতো একই দোকানে। নারীপুরুষ একই দর্জির কাছে জামা বানাতে দিতেন। যদিও নারীদের সশরীরে উপস্থিতি ছিল কম। বাড়ির পুরুষ সদস্যটির হাত দিয়ে পাঠিয়ে দিতেন পছন্দের কাপড়। মেহেরপুর জেলার প্রবীন দর্জী বড়বাজারের শামসুদ্দিন লাটু খলিফা দর্জি বিশেষত্ব ছিল, জামার মাপ না নিয়ে, কাস্টমারকে একবার দেখেই নিখুঁত পোশাক বানিয়ে দিতে পারতেন।

অথচ, মেহেরপুর জেলার প্রবীন দর্জী বড়বাজারের শামসুদ্দিন লাটু খলিফা বলেন সময় যন্ত্রপাতি বলতেও তেমন কিছু ছিল না। নীলচক, কাঁচি আর সুঁই-সুতো। তখন তো আর সেলাই মেশিন আসেনি। পোশাকের এত চাহিদা, এত সহজলভ্যতাও ছিল না। ছিল না রেডিমেড পোশাকের চল। কামিজ বলি, শাড়ি, পাঞ্জাবি, ফ্রক, পায়জামা যা-ই বলি, সব কাপড়ই হাতে বানানো হতো। দর্জির কাছে মাপ নিয়ে জেনে নিতে হতো কোন পোশাকে কতটুকু কাপড় লাগবে। এরপর সে অনুযায়ী বাজার থেকে কাপড় এনে দর্জির কাছে দেওয়া হতো। মেহেরপুর জেলার প্রবীন দর্জী বড়বাজারের শামসুদ্দিন লাটু বলেন বারো বছর বয়স থেকে প্রায় উনসত্তর বছর ধরে এই পেশায় রয়েছি। বাসায় মায়েরাও কাজের ফাঁকে সেলাই নিয়ে বসতেন। ছেলেবুড়োর জন্য কাপড় বানিয়ে দিতেন। তবু ভালো পোশাকগুলোর জন্য দর্জির কাছেই যেতে হতো। তখন দর্জি মানেই সম্মানিত কোনো মুরুব্বি, যার হাতে থাকবে নীলচক, কাঁচি, সুঁই-সুতো, দেখতে বেশ গাম্ভীর্যপূর্ণ; একদম তন্ময় হয়ে একাগ্রতার সঙ্গে করে যাচ্ছেন কাপড় কাটার কাজ।পাকিস্থান আমালে সর্বপ্রথম দর্জি পেশায় নিয়োজিত হয়েছি। এর কারণ, মুসলমান পুরুষ ও নারীদের মতো হিন্দুদের মধ্যে প্রচলিত সেলাই-করা কাপড় পরার রীতি ছিল না। হিন্দু পুরুষেরা ধুতি ও চাদর পরিধান করতেন, আর হিন্দু নারীরা সনাতনী পন্থায় শাড়ি পরতেন। ফলে হিন্দুদের জন্য দর্জির কাজের তেমন সুযোগ ছিল না। তখন দর্জিদের ডাকা হতো 'খলিফা' নামে। কেন খলিফা বলা হতো সে বিষয়ে এসব দর্জিদের কাছে সঠিক উত্তর নেই। দর্জিদের যে খলিফা বলা হতো তা প্রবীণেরাই কেবল জানেন, বর্তমান প্রজন্ম কতটা জানে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। একটা সময় ঈদের আগে এ খলিফাবাড়িতে ভিড় পড়ে যেত। ঈদুল আজহার কয়েকদিন আগে ঈদের আগের সপ্তাহগুলোতে দোকান খুলতে এসে দেখতাম, কাস্টমারদের লাইন পড়ে যেতো। ' তখন সমাজে দর্জিদের মর্যাদাও ছিল বেশি। এমনকি এখনও কোথাও কোথাও দর্জিবাড়ি পরিচয় দিলে লোকে সম্মান দেয়। কথিত আছে, দর্জিবাড়ি শুনলে লোকে বিয়ের সম্বন্ধও করতে আসত। দর্জিবাড়ি মানেই ছিল মার্জিত, সভ্য কোনো এক বাড়ি। যেখানে থাকবে সেলাইমেশিন, ডানেবামে কাপড়ের টুকরোর ছড়াছড়ি, ওপরে হ্যাঙ্গারে ঝোলানো থাকবে বানানো জামা-ব্লাউজ। যা দেখে মন চাইবে, একটা কিনেই ফেলি। কিন্তু ওগুলো কাস্টমারের হয়ে যাওয়া জামা। হাত দেওয়া বারণ! এই দর্জিবাড়ি এখন হয়েছে টেইলারিং শপ। সেখানে এখন আর পায়ে চালিত সেলাই মেশিনের চাকা ঘোরে না। সেলাই মেশিনও ডিজিটাল হয়েছে। ছেলে-মেয়েদের প্রায় সব পোশাক এখন রেডিমেড (তৈরি পোশাক)। দোকান থেকে পছন্দের রঙের ও চেকের কাপড় কিনে টেইলারিং শপে মাপ দিয়ে জামাকাপড় বানানোর চল দিনে দিনে ফুরিয়ে আসছে। টেইলার্স থেকে পাঞ্জাবি বানানোও কবেই ফুরিয়েছে। মেয়েদের থ্রিপিস-টুপিস এখন ডিজাইন অনুযায়ী কাটা থাকে। টেইলার্সরা শরীরের মাপ নিয়ে শুধু ফিটিং করে দেন। এ তৈরি কাপড়গুলো আছে বলেই দোকানভাড়ার টাকা উঠে যায়। নয়তো এখন আর শুধু মজুরি দিয়ে চলেনা দোকানভাড়া।মুজিবনগর খবরে নিউজ এর জন্য যোগা যোগ করুন :: আসফারুল হাসান সুমন, উপদেষ্টা সম্পাদক ,মোবাইল:০১৭২২২২৬৬০৬, সাহেদুজ্জামান রিপন ,যুগ্মবার্তা সম্পাদক ,মোবাইল:০১৭২৩০০৪৩০০, শহিদুল ইসলাম সাইদুল,বিশেষ প্রতিনিধি , মোবাইল:০১৬৭০১৯৯৯৫৫, মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply