Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » » লাখ লাখ টাকা হরেক রকম মাছ কেনাবেচা এখন জমজমাট বৃহত্তর পাইকারী মাছের বাজারে পরিনিত গাংনী শহরের হাটবােয়ালিয়া সড়কে।




লাখ লাখ টাকা হরেক রকম মাছে কেনাবেচা এখন জমজমাট বৃহত্তর পাইকারী মাছের বাজারে পরিনিত গাংনী শহরের হাটবােয়ালিয়া সড়কে। গাংনী উপজেলা শহরের হাটবােয়ালিয়া সড়কে পাশে মাছের বাজারের অবস্থান প্রতিদিন ভোরো আলো উঠার পরপরই বিভিন্ন এলাকা থেকে আসতে থাকেন শতাথিক ক্রেতা ও বিক্রেতারা।সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা চলে কেনাবেচা জমজমাট হয়ে ওঠে বাজার। । এই সময়ে পনোরো থেকে কুড়ি লাখ টাকার মাছ বিক্রি হচ্ছে। এলাকার আড়ৎদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,৬ বছর আগে কয়েকটি কাঠের তৈরী দােকান দিয়ে শুরু হয় মাছ বেচাকেনা। ৬ বছর পর এসে সেখানে অর্ধ শতাধিক আড়ৎ বসানাে হয়েছে। এরপরও আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। বাড়তে থাকে আড়তের সংখ্যা। এখানে নদী,খালবিল ও পুকুর থেকে তাজা মাছ নিয়ে আসেন জেলেরা। এ ছাড়াও পার্শ্ববর্তি চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে চিংড়ি, পোয়া, পাঙাশ, বেলে, বাইমসহ দেশি, বিদেশি ও সামুদ্রিক মাছ এ বাজারে আমদানি করা হয় । এবং পুকুরে চাষকৃত কেলােপিয়া,মনােসেক্স,সিলভার রুই,কাতলা,মৃগেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এ বাজারে কেনাবেচা হয়ে থাকে। এ আড়ৎ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত শতাথিক জন খুচরা বিক্রেতা প্রতিদিন মাছ কিনে গ্রাম এলাকায় বিক্রি করেন। পাইকারি ও খুচরা মাছ কিনতে আসেন ৫ থেকে ৭ শত মানুষ। বৃহস্পতিবার সকালে এ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন মাছের পসরা সাজিয়ে বসেছেন আড়ৎ দারেরা। খুচরা-পাইকারি ক্রেতা–বিক্রেতাদের হাঁকডাকে সরগরম বাজার। কেউ বাড়ির জন্য মাছ কিনছেন। কেউবা বিক্রির জন্য। অনেকে মাছ কিনে ঝামেলা এড়াতে আবার সেগুলো বাজারেই কাটিয়ে নিচ্ছেন। স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারটি জমে ওঠায় স্থানীয় অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। বাজারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় অনেকে পাইকারি ও খুচরা মাছের ব্যবসা করছেন। অনেকে মাছ কাটার কাজ করেন। মাছের জন্য ব্যাগ, পলিথিন, বরফ বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে কাঁচা সবজি ও খাবারের ব্যবসাও গড়ে উঠেছে এ বাজারকে কেন্দ্র করে।

আশরাফুল ইসলাম নামের এক পল্লী চিকিৎসক বলেন, তার বাড়ি জেলার গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামে। পাঁচ বছর ধরে প্রতি মাসের মাছের বাজার করেন এখান থেকে। এ বাজারের মাছের দাম অন্যান্য বাজারের তুলনায় কম। সেই সঙ্গে সব ধরনের তাজা মাছ পাওয়া যায়। খুচরা মাছ বিক্রেতা সবুজ হােসেন বলেন,আমি এক সময় বেকার জীবন কাটাচ্ছিলাম। এখানে আড়ৎ বসানাের পর আমি এখান থেকে দশ কেজি মাছ কিনে বিক্রি শুরু করি। পরবর্তিতে বেশি করে মাছ কিনে গ্রাম এলাকায় বিক্রি করি। সে থেকে এখন আমি আমার পরিবার-পরিজন নিয়ে ভাল জীবনযাপন করছি। গাংনী পৌর আড়ৎ এর আড়ৎ দারি করেন শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, তাদের আড়তে সব ধরনের মাছ পাওয়া যায়। তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় মেহেরপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারেরা এ বাজারে মাছ নিতে আসেন। এ বাজারের আড়ৎদার ও গাংনী পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র নবীরুদ্দীন বলেন, ৬ বছর আগে আমরা এ আড়ৎ চালু করেছিলাম কয়েকজন মিলে। ধীরে ধীরে এখন শতাধিক আড়ৎ ব্যবসায়ি ব্যবসা করে যাচ্ছেন। এ বাজারে প্রতিদিন কুড়ি লাখ টাকার মাছ বেচাকেনা হয়ে থাকে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply