Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » একাত্তরের যুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে ইয়াহিয়া খান কী করছিলেন?(সাত)




ইরানের সরে যাওয়া পাকিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জোসেফ ফারল্যান্ডকে ইয়াহিয়া খান চৌঠা ডিসেম্বর জানান যে তার সেনাবাহিনীর জন্য মার্কিন সামরিক সরবরাহ খুবই প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্র যদি নিজে এই সহায়তা দিতে না পারে, তাহলে অন্তত অন্য দেশগুলোকে তা করা থেকে যেন বিরত না রাখা হয়। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানে অস্ত্র পাঠানোর জন্য জর্ডান, ইরান এবং সৌদি আরবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইরান কিন্তু পাকিস্তানে অস্ত্র পাঠায়নি। ইরানের শাহ, রেজা শাহ পাহলভি মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানে ইরানি বিমান ও পাইলট পাঠিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের মুখোমুখি হওয়ার ঝুঁকি নিতে পারেন না তিনি। তবে এমনটা হতে পারে যে ইরান জর্ডানে তাদের বিমান পাঠাবে এবং তার পরিবর্তে জর্ডান পাকিস্তানে তাদের বিমান পাঠাবে। (তেহরান দূতাবাসের ফাইল, নিক্সন প্রেসিডেন্সিয়াল মেটেরিয়াল বক্স পৃষ্ঠা ৬৪৩) মুহাম্মদ ইউনূস তার 'ভুট্টো অ্যান্ড দ্য ব্রেকআপ অব পাকিস্তান' শীর্ষক গ্রন্থে লিখেছেন, "আসলে পাকিস্তানের সঙ্গে ইরানের একটা গোপন চুক্তি ছিল যে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ হলে করাচীর বিমান নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে ইরানের। ইয়াহিয়া যখন ইরানের শাহকে সেই চুক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেন, তখন তিনি তা বাস্তবায়ন করতে অস্বীকার করে যুক্তি দিয়েছিলেন যে এটা আর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিষয় নেই।"






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply