Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » একাত্তরের যুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে ইয়াহিয়া খান কী করছিলেন? (এক)




একাত্তরের যুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে ইয়াহিয়া খান কী করছিলেন?

সালটা একাত্তর । আনুষ্ঠানিকভাবে 'একাত্তর-এর যুদ্ধ শুরু হওয়ার একদিন আগে, অর্থাৎ দোসরা ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকার সামরিক আইন প্রশাসকের পক্ষ থেকে তৎকালীন পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের কাছে একটা জরুরি সিগন্যাল বার্তা পৌছায়। সেখানে বলা হয়েছিল, ভারতীয় সেনাবাহিনী শেষ পর্যন্ত যশোর দখল করে নিয়েছে। এই বার্তা দেখা মাত্র ইয়াহিয়া খান তার এডিসি, আর্শাদ সামি খানকে নির্দেশ দেন তিনি যেন অবিলম্বে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হামিদ এবং চিফ অব স্টাফ গুল হাসানকে রাষ্ট্রপতি ভবনে তলব করেন। এই তিনজনের সঙ্গে দেখা করার পরই ইয়াহিয়া খান তার এডিসি আর্শাদ সামি খানকে জানান, পরের দিনের তার সমস্ত অ্যাপয়েন্টমেন্ট যেন এখনই বাতিল করে দেওয়া হয়। ওইদিন সকাল নয়টায় সদর দফতরে একটা বৈঠক আহ্বান করা হয়, যেখানে তিনি (ইয়াহিয়া খান) ছাড়াও তৎকালীন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সমস্ত শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেছিলেন। "গুল হাসান বৈঠকে উপস্থিত সকলকে মনে করিয়ে দেন যে, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন যে, পাকিস্তানের এক ইঞ্চি মাটিতেও আক্রমণ করা মানে কিন্তু পুরোদস্তুর যুদ্ধ। সেখানে সবাই এই বিষয়ে একমত হয়েছিলেন, যদিও তারা জানতেন যে যুদ্ধ ঘোষণা করার মতো অবস্থানে তারা নেই। বিশেষত সেই অবস্থায়, যখন যে ভূমির জন্য লড়াই করা হচ্ছিল সেখানকার লোকেরাই আমাদের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছিলেন।" আর্শাদ সামি খান তার বইয়ে উল্লেখ করেছেন, "একজন ভাল কমান্ডারের মতোই ইয়াহিয়া খান, তার জেনারেলদের ওই প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল, জেনারেল ইয়াহিয়া খান কোথাও একটা ধারণা করেছিলেন যে ওই যুদ্ধে জয়ী হওয়ার মতো অবস্থায় তিনি নেই






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply