গাংনী থানাপাড়ায় শখের বিদেশি জাতের কবুতর পালনে আয় লাখ টাকা তাঁর ছয় বছরে ভাগ্য ফিরেছে

গাংনী থানাপাড়ায় শখের বিদেশি জাতের কবুতর পালনে আয় লাখ টাকা তাঁর ছয় বছরে ভাগ্য ফিরেছে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার থানাপাড়ার মফিজুর রহমান। শখের বসে পালন করতেন দেশি কবুতর। একদিন নাটোরের হাটে গিয়ে দেখা পান রং-বেরঙের পাখির। সেখান থেকে ত্রিশ হাজার টাকার বিদেশি কবুতর কিনে খামারে পালন শুরু করেন। পরের ছয় বছরে ভাগ্য ফিরেছে তাঁর। অন্তত পনোরো লাখ টাকা আয় হয়েছে এ পাখি থেকে। খামারে রয়েছে অন্তত সাড়ে ৭ লাখ টাকার কবুতর। তাঁকে দেখে অনেকেই এমন খামার গড়ে তুলছেন। মেহেরপুর পৌর শহরের বেড়পাড়ার আরেক খামারি আনিসুর রহমান। তাঁর ভাষ্য, অনেক যুবক এখন কবুতর পালনে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। জেলায় শতাধিক খামারি এ পাখি পালন করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এসব খামারে প্রতি জোড়া দেড় লাখ টাকা দামের টেরি, চল্লিশ হাজার টাকার লা লাম্বার, ষাট হাজার টাকার ডাবালা, পয়ত্রিশ হাজার টাকার জ্যাকোটিন সত্তর হাজার টাকার রামপুরি ও শাহ-রামপুরি, ত্রিম হাজার টাকার কুয়েতি জিরা জাতের কবুতর পালন হচ্ছে। পাশাপাশি শাটিং, বোখারা, মাল্টেস, ইংলিশ ট্রাম্পপিডার, নিউট্রিশিয়ানের মতো বিদেশি জাত রয়েছে খামারগুলোয়। পাচ শত থেকে শুরু করে লাখ টাকা জোড়া কবুতর রয়েছে খামারগুলোয়। পৌর এলাকার ফুলবাগানপাড়ার ফরহাদ হোসেন বলেন, এখন কবুতর বিক্রির জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ষোষণা দিলেই হয়। ফোনে যোগাযোগ করে ঘরে বসেই বিক্রি করা যাচ্ছে। জানা গেছে, মেহেরপুরের কবুতর ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, কুমিল্লা, যশোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্রেতারা এসে কিনে নিচ্ছেন।