Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » নব্বইর দশক পর্যন্ত ছিল আজ গ্রামবাংলার বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্য কুয়া




নব্বইর দশক পর্যন্ত ছিল আজ গ্রামবাংলার বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্য কুয়া গ্রাম বাংলার হাজার বছরের ঐহিত্য মানুষের পানের জন্য সুপেয় পানির একমাত্র উৎস ছিল ইঁদারা বা কুয়া। প্রাচীন এ ঐতিহ্য ইঁদারা বা কুয়া খুব একটা দেখা যায় না। বিকালে কিংবা সন্ধ্যায় গ্রামবাংলার মা-বোনেরা কলসি নিয়ে কুয়া থেকে পানি নিয়ে আসার চিত্র এখন চোখে পড়ে না।

বিভিন্ন নামে নামকরণ ইঁদারা, ইন্দিরা, ইন্দ্রা, কূপ ও পাতকুয়া-ই ছিল গ্রামের মানুষের সুপেয় খাবার পানির সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। দশ থেকে পনোরো ফুট গোল গর্ত করে অনন্ত ষাট থেকে সত্তর ফুট নিচ পর্যন্ত মাটি খুড়ে এসব ইঁদারা, ইন্দিরা, ইন্দ্রা, কূপ ও পাতকুয়া তৈরি করা হতো। মাটির নিচের জল ছিল এসব কূপের পানির প্রধান উৎস। ইঁদারা নিচ থেকে উপর পর্যন্ত ইট বারিং (সিমেন্ট-বালুর তৈরি গোলাকার কাঠামো) দিয়ে বাঁধাই করা হতো আর কূপ বাঁধাই করা হতো না। নব্বইর দশক পর্যন্ত অনেক এলাকার মানুষ তাদের সুপেয় পানির চাহিদা পূরণ করতো গভীরকূপ বা ইঁদারা থেকে। এসব কুয়া বা ইঁদারার পানি হতো স্বচ্ছ ও ঠান্ডা। সুপেয় পানি পানের অভাব বোধ থেকেই মানুষ খনন করতো গভীর কুয়া। খাল-বিল, নদী-নালা, পুকুর থেকে সংগৃহীত পানি দিয়ে ঘর-গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় কাজ করতো। গ্রামবাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী কুয়াগুলো কালের আবর্তে হারিয়ে গেছে। যা এখন শুধুই স্মৃতি। কিছুদিন আগেও যে বাড়িতে কুয়া বা ইঁদারা ছিল সেই বাড়িতে এখন রয়েছে নলকূপ। বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির যুগে মানুষ অনেক দূর এগিয়েছে। শহরাঞ্চলে এখন নলকূপ বা টিউবওয়েল পাওয়া যায় না। সব জায়গায় বৈদ্যুতিক মেশিনের সাহায্যে পানি উত্তোলন করা হচ্ছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply