Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » গরু, জিরাফ ও বিড়াল নিয়ে কিছু বিচিত্র তথ্য




গরু, জিরাফ ও বিড়াল নিয়ে কিছু বিচিত্র তথ্যআমাদের অতি পরিচিত প্রাণী গরুর কথাই ধরা যাক। গরুর মুখে উপরের পাটিতে দাঁত থাকে না। শুধু নিচের পাটিতেই থাকে। উপরের পাটিতে দাঁত না থাকলে আমরা চিবিয়ে কোনো খাবার খেতে পারতাম না। তাহলে গরু খাবার চিবায় কীভাবে? আসলে গরুর মুখে উপরের পাটিতে দাঁত না থাকলেও থাকে শক্ত মাড়ি, যাকে ডেন্টাল প্যাড বলে। এটাই দাঁতের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। নিচের পাটির দাঁত আর উপরের পাটির এই ডেন্টাল প্যাড- দুইয়ের সাহায্যে গরু চিবায়। গরুর পাকস্থলি মানুষের মতো নয়। এদের পাকস্থলিতে চারটি ভাগ থাকে। এ চারটি ভাগ হলো- রুমেন, রেটিকুলাম, ওমাজাম ও এবওমাজাম। এজন্য গরুকে কমপাউন্ড স্টোমাক অ্যানিম্যাল বলা হয়। পাকস্থলির এরকম গঠনের জন্য গরু কখনও বমি করে না। গরুর দুধ খুব পুষ্টিকর। হাত দিয়ে অথবা মিল্কিং মেশিন দিয়েও গরুর দুধ দোয়ানো যায়। মজার ব্যাপার হল দুধ দোয়ানোর সময় মিউজিক শোনানো হলে গরু বেশি দুধ দেয়। গরুকে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠানো যায়, কিন্তু সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামানো যায় না। কোন প্রাণী শব্দ করতে পারে না? এ প্রশ্নের উত্তরে সবাই বলবে জিরাফ। ব্যাপারটা ঠিক এমন নয়। জিরাফ কদাচিৎ শব্দ করতে পারে। কিন্তু সে শব্দ এত ক্ষীণ যে সবাই ধরেই নিয়েছে যে জিরাফ কোনো শব্দ করতে পারে না। প্রাণিকূলের মধ্যে জিরাফ সবচেয়ে লম্বা প্রাণী। তাই তাকে গাছের ডাল পাতা খাবার জন্য কোনো কষ্টই করতে হয় না, মুখ বাড়িয়েই খেতে পারে। কারণ জিরাফের গলা প্রায় কুড়ি ফুট লম্বা। তবে এত লম্বা হবার ঝুঁকিও কম নয়। জিরাফের বাচ্চা যখন ভূমিষ্ঠ হয় তখন নবজাতক মাতৃগর্ভ থেকে প্রায় ৬ ফুট নিচে মাটিতে পড়ে। জিরাফের জিহ্বা প্রায় একুশ ইঞ্চি, যা দিয়ে সে খুব সহজেই কান চুলকাতে পারে। পোষা প্রাণী বিড়াল। তার একই অঙ্গে যে কত রূপ এবং আচরণে যে কত বৈচিত্র্য রয়েছে সে সম্পর্কে আমরা অনেক কম জানি। প্রায় চারহাজার বছর আগে বিড়ালকে পোষ মানানো হয়েছিলো। পৃথিবীতে প্রায় একশ জাতের বিড়াল রয়েছে। বিড়াল অন্ধকার রাতে প্রায় ছয়গুণ বেশি চোখে দেখে। কারণ বিড়ালের চোখে রয়েছে ‘টেপেটাম লুসিডাম’। বিড়াল যতক্ষণ জেগে থাকে তার শতকরা ত্রিশ শতাংশ সময় ব্যয় করে জিহ্বা দিয়ে শরীর চেটে পরিষ্কার করার কাজে। বাকি সময়টা ঘুমিয়েই কাটায় বলা যায়। পনেরো বছরের একটি বিড়াল প্রায় দশ বছর ঘুমিয়েই কাটায়। বিড়ালের গোঁফগুলো দেখতে দারুণ। এটি তার সৌন্দর্যবর্ধন করে। তবে এই গোঁফ শুধু সৌন্দর্যবর্ধনই নয়, অনেক কাজেও লাগে। কোন স্থানে প্রবেশের আগে এই গোঁফ ব্যবহার করে বিড়াল বুঝে নেয় জায়গাটা প্রশস্ত কি-না, ভিতরে ঢোকা নিরাপদ হবে কি-না। এই গোঁফে আলতো টোকা দিলেও বিড়াল চোখ বন্ধ করে ফেলে। বিড়ালের স্মরণশক্তি অনেক ভালো। যে জিনিস কুকুর মনে রাখতে পারে পাঁচ মিনিট, সেটা বিড়াল মনে রাখতে পারে কমপক্ষে ষোল ঘণ্টা। বানর কিংবা ওরাংওটাঙের চেয়েও যা বেশি। বিড়াল খুব দ্রুত দৌড়াতে পারে। এত দ্রুত যে মানুষের পক্ষেও তাকে ধরা কঠিন। কারণ বিড়াল প্রায় একত্রিশ মাইল বেগে ছুটতে পারে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply