Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » রহস্যাবৃত ইস্টার দ্বীপে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো সাতটি বৃহদাকার ভাস্কর্য।




রহস্যাবৃত ইস্টার দ্বীপে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো সাতটি বৃহদাকার ভাস্কর্য। ইস্টার দ্বীপ। আধুনিক যুগেও যে দ্বীপের অদ্ভুত ভাস্কর্যের রহস্য ভেদ করা সম্ভব হয়নি। প্রশান্ত মহাসাগরের বিচ্ছিন্ন নির্জন এ দ্বীপটিতে রয়েছে অনেকগুলো ভাস্কর্য। ইস্টার দ্বীপটি আসলে তিনটি আগ্নেয়গিরি দ্বারা পরিবেষ্টিত। এখানে নেই কোনো বসতি। জনবিরল এই দ্বীপে নীরবে দাঁড়িয়ে আছে পাথরের অসংখ্য ভাস্কর্য। দ্বীপের চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অসংখ্য দানবাকৃতির মূর্তি। কে তৈরি করল মূর্তিগুলো, কেউ জানে না। এই জনবিরল দ্বীপে কেন এসব ভাস্কর্য তৈরি করা হলো, সেটাও অজানা। ইস্টার দ্বীপের মূর্তিগুলো সবই তৈরি হয়েছে বিশাল বিশাল পাথর কেটে। কিন্তু গবেষকদের প্রশ্ন- দ্বীপবাসীরা সেই কৌশল শিখল কি করে? আর পাথরগুলোই তারা বয়ে আনল কিভাবে এবং কোথা থেকে? এসবের উত্তর এখনো খুঁজছে বিশ্লেষকরা।

দ্বীপের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো সাতটি বৃহদাকার ভাস্কর্য। যাদের আসলে 'নেভল অব দ্য ওয়ার্ল্ড' বলা হয়। দ্বীপটিতে সব মিলিয়ে প্রায় হাজারখানেক ভাস্কর্য রয়েছে। স্থানীয়দের ভাষায় এসব ভাস্কর্যকে বলা হয় মোয়াই। দ্বীপজুড়ে মোয়াই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। একেকটি মোয়াই বারো থেকে পনেরো ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট। এসব ভাস্কর্যের একেকটির ওজন গড়ে বিশ টনেরও বেশি। দ্বীপের সবচেয়ে বড় ভাস্কর্যটি বত্রিশ ফুট উঁচু। এর ওজন প্রায় নব্বই টন। এ ছাড়া আরও আছে পাথুরে তৈরি আট শতটি মূর্তির মাথা। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় মাথাটির উচ্চতা বত্রিশ ফুট এবং ওজন নব্বই টন। এ ছাড়া ইস্টার দ্বীপে আছে 'আহু' বলে পরিচিত পাথরের বিশাল বিশাল প্ল্যাটফর্ম। আছে পাথরের তৈরি বিস্ময়কর দেয়াল, পাথরের ঘর ও গুহাচিত্র। পরস্পর সঙ্গতিহীন এসব সৃষ্টি বিস্ময়কে যেন আরও বাড়িয়ে দেয়। সতের শত বাহান্ন সালে কোনো এক ইস্টার সানডে উৎসবে অ্যাডমিরাল জ্যাকব রগেউইন দ্বীপটি আবিষ্কার করেন। ডাচ এই অভিযাত্রীই দ্বীপটির নাম দেন 'ইস্টার আইল্যান্ড'। বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তিত্ব থর হেয়ারডাল প্রচুর গবেষণা ও খননের পর তথ্য দিলেন তিন শত আশি খ্রিস্টাব্দে পেরু থেকে কিছু মানুষ এসে এই দ্বীপে বসবাস শুরু করেন। তারা তৈরি করেছিল রাস্তা, মন্দির, মানমন্দির ও সুড়ঙ্গ পথ। বারো শত আশি খ্রিস্টাব্দে পেরু থেকেই অন্য লোকজন এসে দ্বীপটি দখল করে। ধারণা করা হয়, তারাই মূর্তিগুলো গড়েন। মূর্তিগুলোর কান লম্বা। রেডিও কার্বন পরীক্ষার সাহায্যে থর হেয়ারডাল এসব তথ্য পেঁৗছালেও বহু গবেষক এর বিরোধিতা করেন। তাদের মতে, এক অতি প্রাচীন, অথচ উন্নত সভ্যতার চিহ্ন এগুলো। হয়তো সেই সভ্যতা প্রকৃতির খেয়ালে কোনো কালে প্রশান্ত মহাসাগরের অতলে তলিয়ে গেছে। কিন্তু এর পূর্বাপর কোনো ঘটনাই ব্যাপারটি পরিষ্কার করতে পারে না যে, ইস্টার দ্বীপের মূর্তিগুলো কারা তৈরি করেছে। অনেকে মনে করেন, দ্বীপটিতে বাইরের জগৎ থেকে অভিবাসীরা বাস করে গেছে। ভিনগ্রহের সেই প্রাণীরাই তৈরি করেছে এসব মূর্তি। অনেকে বলেন, দ্বীপের বাসিন্দারা ছিল প্রাচীন মিসরীয়। অনেকে আবার মোয়াইগুলোর সঙ্গে প্রাচীন পলিনেশীয় জাতির ধর্মীয় দেবতা ও পূর্বপুরুষদের অবয়বের মিল খুঁজে পেয়েছেন। আবার কেউ কেউ ধারণা করেন, দ্বীপে বসবাসরত সেই বাসিন্দাদের প্রতিটি পরিবারের সমাধিস্তম্ভ হিসেবে বানানো হতো একেকটি মোয়াই। ইস্টার দ্বীপ এখন একটা দারুণ পর্যটনকেন্দ্র। স্থানটিকে বিশ্বের অন্যতম 'হেরিটেজ সাইট' হিসেবেও আখ্যা দেওয়া হয়েছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply