Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » » মেহেরপুরে চালকুমড়ো চাষে কৃষকেরা বেশ লাভবান হয়েছেন




মেহেরপুর একটি কৃষি ও সবজি চাষ নির্ভর জেলা। বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি চালকুমড়ো চাষে কৃষকেরা বেশ লাভবান হয়েছেন। নিরাপদ সবজির ও এর বহুমাত্রিক ব্যবহারের ফলে ব্যাপক চাহিদার কারণে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সমতল জমির পাশাপাশি এবার পরিত্যাক্ত জমিতেও চালকুমড়োর চাষ হয়েছে। ইটভাটার জন্য সংগৃহিত মাটির টিলাতেও শোভা পাচ্ছে চালকুমড়ো। জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে মেহেরপুরের চালকুমড়ো। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবং রোগ বালাইয়ের আক্রমণ কম হওয়ায় বাম্পার ফলনও হয়েছে। সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক মনিরুল হক জানান- ইট তৈরীর জন্য ভাটায় সংরক্ষণ করা মাটির টিলাতে তিনি বেশকিছু চালকুমড়োর গাছ লাগান। কোন ধরণের পরিচর্যা ছাড়াই টিলার গাছ-গাছে চালকুমড়ো ভরে যায়। কুমড়োও ধরেছে প্রচুর। ২০ থেকে ২৫ টাকা করে পাইকারি দরে দুইশত মতো কুমড়ো বিক্রি হয়েছে। ৩০০ চালকুমড়ো পাকানো হয়েছে বড়ি দেবার জন্য। যার প্রতিটি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা করে বিক্রি হবে। জেলা শহর থেকে শুরু করে প্রান্তিক জনপদের বাড়ির চালে ও জমিতে চাল কুমড়ো নজর কাড়ছে। বড়ি তৈরীর প্রধান উপকরণ এই কুমড়ো। গ্রাম-বাংলায় ঘরের চালে গাছ উঠানো হয় বলে চালকুমড়ো নামে পরিচিত। তবে জমিতে, মাচায়ও চাষ করা হয়। কচি ফল(জালি) তরকারি হিসেবে এবং পরিপক্ক ফল মোরব্বা ও হালুয়া তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। কুমড়ার বড়ি হিসেবে চালকুমড়োর ব্যবহার বেশি হলেও সবজি হিসেবে আমাদের দেশে চাল কুমড়ার জনপ্রিয়তা ব্যাপক। তবে চালকুমড়ো শুধু চালে নয়, জমিতে মাচায় চাষ করলেও ভালো ফলন হয়। সবুজ কঁচি চালকুমড়ো তরকারি হিসেবে খাওয়া হয়। শুধু চালকুমড়ো নয়, এর কঁচিপাতা ও ডগাশাক হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়। আর চুনের মত সাদা চাল কুমড়া দিয়ে বড়ি, মোরব্বা ও হালুয়া তৈরি করা যায়। এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাঠে-মাঠে কুমড়োর চাষ হচ্ছে। খাদ্য উৎপাদিত বিভিন্ন কোম্পানি এখন চালকুমড়ো দিয়ে খাদ্যপণ্য উৎপাদন করছে। ফলে চালকুমড়োর চাহিদা বাড়ছে। বাংলাদেশে চালকুমড়োর কোনো অনুমোদিত জাত নেই। তবে বারি উদ্ভাবিত বারি চালকুমড়ো -১ নামের জাতটি বাংলাদেশের সব অঞ্চলে চাষ করা যায়। আমাদের দেশে একটি উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন বারি চালকুমড়ো -১ যা বার মাসই চাষ করা যায়। এছাড়াও রয়েছে হাইব্রিড চালকুমড়ো সুফলা-১, হাইব্রিড চালকুমড়ো বাসন্তী-নিরালা, হাইব্রিড চালকুমড়ো বিজয় (উফশী-বিজয়), হাইব্রিড চালকুমড়ো সোনালী এফ-১, হাইব্রিড চালকুমড়ো মাধবী। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক সজিব উদ্দীন স্বাধীন জানান- চাল কুমড়া একটি পুষ্টিকর সবজি। এতে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন, মিনারেল, শর্করা ও ফাইবার রয়েছে। চিকিৎসকদের মতে- চাল কুমড়া‘য় এন্টি মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট হিসেবে পেট এবং অন্ত্রের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ইনফেকশন বা আলসার রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। কুমড়া পুষ্টিকর সবজি। চালকুমড়োতে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন, আমিষ, শর্করা ও ক্যালসিয়াম আছে। চাল কুমড়ার বড়ি ও মোরব্বা ফুসফুসের জন্য উপকারী। চাল কুমড়ার বীজ কৃমি নাশ করে থাকে এবং এর রসের সাথে চিনি মিশিয়ে খেলে অজীর্ণ রোগ ভাল হয়। প্রায় সব ধরনের মাটিতে চালকুমড়ো চাষ করা যায়। তবে চাল কুমড়া চাষের জন্য দো-আঁশ ও এটেল দো-আঁশ মাটি উত্তম। মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান- চালকুমড়ো বাড়ির আঙ্গিনায় চাষ হলেও এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ হচ্ছে। পাকা একেকটি কুমড়া ১০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হয়। বড়ি দেবার জন্যই মূলত: কুমড়ার চাহিদা ছিলো এতদিন। বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানি জ্যাম, জেলি, মুরুব্বা তৈরী করছেন চালকুমড়ো দিয়ে। কেক-পাউরুটি বানাতেও এই কুমড়া ব্যবহৃত হচেছ। ব্যাপক চাহিদার কারণেই চালকুমড়ো বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply