Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » ইউক্রেন-রাশিয়া, পারমাণবিক হুমকি ও ট্রাম্পকে যেভাবে সামলেছেন অ্যাঙ্গেলা মার্কেল




ইউক্রেন-রাশিয়া, পারমাণবিক হুমকি ও ট্রাম্পকে যেভাবে সামলেছেন অ্যাঙ্গেলা মার্কেল জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল। একসময় তাকে বলা হতো বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী। দীর্ঘদিন পর সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মার্কেল। সেখানে তিনি ইউক্রেন, ভ্লাদিমির পুতিনের পারমাণবিক হুমকি এবং কীভাবে তিনি তার সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সামলেছেন সেসব বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, পুতিনের পারমাণবিক হুমকি এবং ট্রাম্পকে নিয়ে কথা বলেছেন মার্কেল। ছবি: সংগৃহীত অ্যাঙ্গেলা মার্কেল ১৬ বছর ধরে জার্মানির নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি জার্মানির ভয়াবহ আর্থিক সংকট, ২০১৫ সালের অভিবাসী সংকট এবং উল্লেখযোগ্যভাবে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের সময় ক্ষমতায় ছিলেন।

মার্কেল মস্কো ইস্যুতে কি খুব নরম ছিলেন? কিয়েভকে সাহায্য করার বিষয়ে তার জড়তা ছিল? যদি তিনি ২০০৮ সালে ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ অবরুদ্ধ না করতেন, তাহলে কি এখন সেখানে যুদ্ধ হতো? এমন নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন এক সময়ের ক্ষমতাধর এই নারী। আরও পড়ুন:জলবায়ু সম্মেলন / শেষ মুহূর্তে সমঝোতা, বছরে ৩০ হাজার কোটি ডলার পাবে দরিদ্র দেশগুলো সোমবার যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড ও ইতালির প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইনে অবনতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠক করছেন। বার্লিনে বিবিসির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, মার্কেল তার ক্ষমতায় থাকার সময়ে নিজের পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন ইউক্রেন যদি ২০০৮ সালে ন্যাটোর সদস্য হতো তাহলে এই যুদ্ধ আরও তাড়াতাড়ি শুরু হতো এবং আরও খারাপ পরিস্থিতি হতো। মার্কেল বলেন, ‘আমরা আরও আগে সামরিক সংঘাত দেখতে পেতাম। এটা আমার কাছে সম্পূর্ণ পরিষ্কার ছিল যে, প্রেসিডেন্ট পুতিন অলসভাবে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দিতে দেখতেন না।’ তিন বছর আগে রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার পর এক সাক্ষাৎকারে, মার্কেল ভ্লাদিমির পুতিনের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের নতুন করে হুমকির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ‘আমাদের অবশ্যই পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার রোধে সম্ভাব্য সবকিছু করতে হবে’, বলেন সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর। মার্কেল বলেন, তিনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় যা কিছু করেছেন তা রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য করেছেন। অবশ্য পুতিন মার্কেলের ক্ষমতা ছাড়ার কয়েক মাস পরে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করেছিলেন। ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনজি যেমন বলেছেন যে, ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির নেতৃত্বে ছিলেন অ্যাঙ্গেলা মার্কেল। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘বস’। রেনজি আরও বলেন, “আপনার কি মনে আছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বলতেন- 'ইউরোপের টেলিফোন নম্বর কী?'; ‘আমার উত্তর ছিল: অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের মোবাইল নম্বর’।” মার্কেলের অধীনে জার্মানি এবং তার বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো মস্কোর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। জার্মানি সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত দুটি গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ করে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সেই সস্তা গ্যাসকে ক্রেমলিনের ‘ভূরাজনৈতিক হাতিয়ার’ হিসেবে বর্ণনা করেন। মার্কেল জোর দিয়ে বলেছেন যে, তিনি কূটনীতি এবং আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আক্রমণ রোধ করার চেষ্টা করেছিলেন। যা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেছেন। সাক্ষাৎকারে মার্কেল বলেন, ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের পর রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের সম্পর্কের একটি নতুন যুগ শুরু হয়েছিল; যা দুঃখজনক। আরও পড়ুন:নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা আইসিসির সাহসী পদক্ষেপ: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের অধীনে, জার্মানি কেবল এনার্জির জন্য রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল হয়নি বরং বাণিজ্যের জন্য চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপরও নির্ভরশীল হয়েছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর আমদানিতে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। এছাড়া কম প্রতিরক্ষা ব্যয় এবং বাণিজ্য ঘাটতির জন্য ইউরোপে, বিশেষ করে জার্মানির প্রতি ক্ষোভ নিয়ে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ শুরু হয়েছিল। কিন্তু মার্কেল কিভাবে ট্রাম্পকে সামলেছেন? তার টিপসগুলো কি? মার্কেল বলেছেন, ‘আপনার অগ্রাধিকারগুলো কী তা জানা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলো তাদের সামনে পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করা এবং ভয় না পাওয়া, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প খুব স্পষ্টভাষী মানুষ।’ ট্রাম্প নিজেকে খুব স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেন। আপনি যদি তা করেন তবে একটি পারস্পরিক শ্রদ্ধা থাকবে। এটি আমার তার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা। কিন্তু ইউরোপের নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের সামনে, চীন ও রাশিয়ার নেতাদের মুখোমুখি হচ্ছে শঙ্কা নিয়ে, জড়তা নিয়ে। মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপ জ্বলছে। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় নিরাপত্তা জোরদারের ব্যাপারে কম আগ্রহ দেখাচ্ছেন। সম্ভবত এ কারণেই মার্কেল বলেছেন, আজকাল যখন বিশ্বনেতারা যারা তাকে ভালভাবে চেনেন, পরামর্শের জন্য তাকে ডাকেন, তিনি আনন্দের সঙ্গে সাড়া দেন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply