মুখোমুখি লড়াই, ইসরাইলি সেনাদের হটিয়ে দেয়ার দাবি হিজবুল্লাহর
দক্ষিণ লেবাননের ওদাইসেহ শহরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা ইসরাইলি পদাতিক বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষের তথ্য দিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। খবর আনাদোলু এজেন্সির
হিজবুল্লাহ যোদ্ধা। ফাইল ছবি
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, সংঘর্ষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ইসরাইলি সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।
আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার দক্ষিণ লেবাননে ইসরাইল স্থল অভিযান শুরু করার পর এটি হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও ইসরাইলি বাহিনীর মধ্যে প্রথম সরাসরি সংঘর্ষের খবর এটি।
লেবাননের হাসবিয়া থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক ইমরান খান জানিয়েছেন, ইসরাইল স্থল অভিযান চালানোর ঘোষণা দেয়ার পর থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বোমা হামলা চালিয়ে আসছিলো। কারণ, ইসরাইলি সেনারা হয়তো ওই পয়েন্টগুলো দিয়েই লেবাননে ঢোকার পরিকল্পনা করেছে। এরমধ্যে ওদাইসেহ একটি। তারা বিমান হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের ওদাইসেহ থেকে তাড়িয়ে দিতে চেয়েছিল।
বুধবার ইসরাইলি সেনারা কিছুটা আগানোর পরপরই সেখানে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সামনে পড়েন এবং ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদক জানিয়েছেন, এটাই দুই পক্ষের প্রথম মুখোমুখি সংঘর্ষ এবং এতে ইসরাইল পরাজিত হয়েছে।
হিজবুল্লাহ এটাকে বিজয় হিসেবে দেখছে। তবে এটা মাত্র একটি ঘটনা। এর বাইরে গত কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মারুন আল-রাস এলাকায় লড়াই হয়েছে। যেখানে হিজবুল্লাহ বলেছে, ওই অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করা ইসরাইলি সৈন্যদের সঙ্গে তাদের লড়াই চলছে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননজুড়ে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুসারে, ইসরাইলি হামলায় ১ হাজার ৭৩ জনেরও বেশি লোক নিহত এবং প্রায় ৩ হাজার জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইরান-ইসরাইল: সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে?
এই সময়ে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা এবং কমান্ডার নিহত হয়েছেন।
এক বছর আগে গাজায় ইসরাইলের অভিযান শুরুর পর থেকে হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইল আন্তঃসীমান্ত যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে ইসরাইলি আগ্রাসনে প্রায় ৪২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখেরও বেশি।
আরও পড়ুন: লেবাননে অভিযানে গিয়ে প্রাণ গেল ইসরাইলি সেনার
এই অবস্থায় লেবাননে ইসরাইলি হামলা গাজা সংঘাতকে বৃহত্তর আঞ্চলিক যুদ্ধে পরিণত করতে পারে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
No comments: