শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে যা বললেন ভারতের কর্মকর্তারা

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে কথা বলেছেন ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা এখনও ভারতেই আছেন। তিনি কোথাও যাননি। খবর বিবিসির। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ওইদিনই ছোট বোন শেখ রেহানাকে সাথে নিয়ে ভারতে পাড়ি জমান তিনি। চলতি সপ্তাহে খবর ছড়িয়ে পড়ে শেখ হাসিনা ভারত থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আশ্রয় নিয়েছেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিনে আলোচনা চলছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা বক্তব্যের বিষয়ে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সাংবাদিকরা তার অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, তার কাছে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই। আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার বর্তমান অবস্থান জানালেন ছেলে জয় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, তার অবস্থান সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা দিল্লিতে খোঁজ করেছি, আমিরাতেও খোঁজ করেছি, কনফার্মেশন অফিসিয়ালি কেউ দিতে পারেনি। তবে বিষয়টি নিয়ে এবার কথা বলেছেন ভারতের কর্মকর্তারা। বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন মতে, দেশটির উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা এখনও ভারতেই অবস্থান করছেন। তার মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে চলে যাওয়ার খবরকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে উল্লেখ করেছেন তারা। খবরে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার গত ৪৮ ঘণ্টার গতিবিধি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা প্রত্যেকে নিশ্চিত করেছেন ‘শেখ হাসিনা এখানে গত সপ্তাহে যেভাবে ছিলেন, এই সপ্তাহেও ঠিক একইভাবেই আছেন।’ আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা কোথায়, জানে না সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা শেখ হাসিনা দিল্লিতে ঠিক কোথায় অবস্থান করছেন তা ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে কখনই জানায়নি। কিন্তু সেই ‘লোকেশন’ যে গত কয়েকদিনের ভেতরে পাল্টায়নি, সে কথাও জানানো হয়েছে। নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকে একটি উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘যে পরিস্থিতিতেই আসুন না কেন, শেখ হাসিনা এই মুহূর্তে ভারতের সম্মানিত অতিথি। তিনি যদি পরে তৃতীয় কোনো দেশে যানও, সেটা নিয়ে আমাদের লুকানোর কোনো কারণ নেই।’ “ফলে শেখ হাসিনা গোপনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো কোনো দেশে পাড়ি দিয়েছেন, এমন ‘খবর’কে উপেক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছি আমরা”, বলেন ওই কর্মকর্তা।