‘আয়নাঘরের’ ওয়ালে পেইন্ট, মিলেছে আলামত নষ্টের প্রমাণ
প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) কার্যালয়ে গিয়ে বহুল আলোচিত 'আয়নাঘর' বা বন্দিশালার সন্ধান পেয়েছে গুমের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশন। কমিটির সদস্যরা সেখানে ঘুরে দেখে আলামত নষ্টের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
gnewsদৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
কমিশনের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ঢাকার গুলশানে কমিশনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, তদন্তকাজে নেমে মাত্র দুই সপ্তাহে গুমের প্রায় ৪০০ অভিযোগ তারা পেয়েছেন। তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি গুমের অভিযোগ এসেছে র্যাব, ডিজিএফআই, ডিবি ও সিটিটিসির বিরুদ্ধে।
ডিজিএফআই কার্যালয়ের বন্দিশালা দেখার অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ডিজিএফআইয়ের যেটা আয়নাঘর বা জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল, ওইটা ডিজিএফআইয়ের কমপাউন্ডে আছে, এটা দোতলা বিল্ডিং। নিচতলায় প্রায় ২০ থেকে ২২টি সেল আছে। ওপরের তলায় কিছু রুম আছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এটা বলা হচ্ছে আয়নাঘর, কিন্তু এটা বেসিক্যালি জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল। ২৫ সেপ্টেম্বর আমরা ডিজিএফআইয়ের আয়নাঘর পরিদর্শন করেছি। ১ অক্টোবর আমরা ডিবি ও সিটিটিসি পরিদর্শন করেছি। তবে সেখানে কোনো বন্দি আমরা পাইনি। সম্ভবত ৫ আগস্টের পর সেখান থেকে সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। র্যাবেরটায় আমরা এখনো পরিদর্শন করিনি, সামনে করব।
আয়নাঘরের বিভিন্ন আলামত নষ্ট করা হয়েছে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে গুম কমিশনের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ অ্যাভিডেন্স তারা নষ্ট করে দিয়েছে, ওয়ালে পেইন্ট করে। ভিকটিমরা বলেছিল ওয়ালে তাদের অনেক কথা, নাম-এগুলো লেখা ছিল। অনেকের ফোন নম্বর, অনেকের ঠিকানা লেখা ছিল। ওই জিনিসগুলো পেইন্ট হওয়ার কারণে সেটা আর আমরা ওইখানে পাইনি। গত ৫ আগস্ট যখন রেজিম চেঞ্জ হলো, তারপর পরই এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে আমাদের ধারণা।
No comments: