ধর্মীয় স্বাধীনতা লংঘনের অভিযোগ আনা মার্কিন রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান ভারতের
ভারতের বিরুদ্ধে ধর্মীয় স্বাধীনতা লংঘনের অভিযোগ আনা একটি মার্কিন রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছে নয়াদিল্লি। ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ)-এর রিপোর্টটিকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে খারিজ করে দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ধর্মীয় স্বাধীনতা লংঘনের অভিযোগ আনা মার্কিন রিপোর্ট ‘রাজনৈতিক এজেন্ডাপ্রসূত ও পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। ছবি: সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কমিশন সম্পর্কে আমাদের পর্যালোচনা সুস্পষ্ট। এটি রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার একটি পক্ষপাতদুষ্ট সংস্থা। আমরা এই দূষিত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছি। যা শুধুমাত্র ইউএসসিআইআরএফকে আরও অসম্মানিত করবে।’
ইউএসসিআইআরএফ তার বার্ষিক প্রতিবেদনে, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা এবং বাড়িঘর ও উপাসনালয় ধ্বংসের ঘটনা উল্লেখ করে দেশটিতে ধর্মীয় স্বাধীনতার গুরুতর লংঘনের অভিযোগে ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ হিসাবে মনোনীত করার সুপারিশ করেছে।
আরও পড়ুন:ইরান ও ইসরাইলে থাকা নিজ দেশের নাগরিকদের যা বললো ভারত
এ সময় জয়সওয়াল ইউএসসিআইআরএফকে ‘এই ধরনের এজেন্ডা-চালিত প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান এবং কমিশনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার সমস্যাগুলোকে সমাধানের দিকে মনোনিবেশ করার পরামর্শ দেন।’
প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে যে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)সহ ভারতের আইনি কাঠামো ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনটি আরও তুলে ধরা হয়েছে যে, কীভাবে ২০২৪ সালজুড়ে,নজরদারি গোষ্ঠী নাগরিকদের হত্যা করেছে, মারধর করেছে এবং ধর্মীয় নেতাদের নির্বিচারে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া বাড়িঘর ও উপাসনালয় ভেঙে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনাগুলো বিশেষ করে ধর্মীয় স্বাধীনতার গুরুতর লংঘন বলে ইউএসসিআইআরএফ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন:সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়, আমরা প্রস্তুত: ভারতীয় সেনাপ্রধান
এর আগে মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন সরকার থেকে শুরু করে, ভারত তার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ‘হস্তক্ষেপ’ উল্লেখ করে, ইউএসসিআইআরএফ সদস্যদের দেশটিতে ভ্রমন করা থেকে বিরত রাখার জন্য ভিসা প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
No comments: