নিজ বাসভবনে হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলা নিয়ে যা বললেন নেতানিয়াহু
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার ব্যক্তিগত বাসভবন লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বলেছেন, হিজবুল্লাহর হামলায় তার কিছুই হয়নি। তিনি ভাল আছেন। কোনো কিছুই তাকে আটকাতে পারবে না।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত
২ মিনিটে পড়ুন
গাজায় সামরিক আগ্রাসনের মধ্যে ইসরাইলি বাহিনী ও হিজবুল্লাহর মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। একে অপরের ভূখণ্ডে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে। ইসরাইলি বাহিনীর হামলার জবাবে শনিবার (১৯ অক্টোবর) সিজারিয়া শহরে নেতানিয়াহুর ব্যক্তিগত বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায় হিজবুল্লাহ।
তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাতে টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, শনিবার সকালে লেবানন থেকে তেল আবিবের উত্তরে সিজারিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়।
হামলার সময় নেতানিয়াহু, তার স্ত্রী-পরিবার বাসভবনে ছিলেন না। ড্রোন হামলায় নেতানিয়াহুর বাসভবনের ‘একটি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
আরও পড়ুন: মার্কিন নির্বাচনের আগে কৌশলগত কী অর্জন চায় ইসরাইল?
ওয়াইনেটনিউজের প্রতিবেদন মতে, হামলার কয়েক ঘণ্টা পর জেরুজালেম থেকে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন নেতানিয়াহু। ওই বার্তায় তিনি বলেন, ‘কোনো কিছুই আমাকে আটকাতে পারবে না।’ তিনি আরও বলেন, বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।
আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, হিজবুল্লাহর ছোড়া ড্রোনটি সরাসরি নেতানিয়াহুর ব্যক্তিগত বাড়িতে আঘাত হেনেছে। এটি লেবানন থেকে ৭০ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে নেতানিয়াহুর বাড়িতে আছড়ে পড়ে।
হামলার পরপর ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এছাড়া একই সময় তেল আবিবে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। যে ড্রোনটি নেতানিয়াহুর বাড়িতে গিয়ে পড়েছে সেটির সঙ্গে আরও দুটি ড্রোন তেল আবিবে পাঠিয়েছিল হিজবুল্লাহ। তবে সেগুলো ঠেকিয়ে দেয়ার দাবি করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
আরও পড়ুন: হামাস নেতাদের অপমান / বাগদাদে সৌদি টিভি অফিসে আগুন দিল বিক্ষোভকারীরা
হামলার সময় গিলিলত সামরিক ঘাঁটিতেও সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। তবে সেনাবাহিনী পরবর্তীতে জানায়, ড্রোনগুলো এই এলাকায় আসেনি।
গত মাস থেকে লেবাননে হামলা জোরদার করেছে ইসরাইল। কয়েক হাজার মানুষকে হত্যার পাশাপাশি হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহসহ গোষ্ঠীটির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে হত্যা করে ইসরাইলি বাহিনী। এরপর থেকে ইসরাইলের গভীরে ড্রোন ও রকেট হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহও
No comments: