সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর টয়লেটে আড়ি পাতার যন্ত্র বসিয়েছিলেন নেতানিয়াহু?
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুত্বর অভিযোগ করেছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি দাবি করেছেন, নেতানিয়াহু তার ব্যক্তিগত টয়লেটে আড়ি পাতার যন্ত্র বসিয়েছিলেন। নিজের আত্মজীবনীতে এ অভিযোগ করেছেন বরিস।
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত
ব্রিটিশ রাজনীতিক বরিস জনসন ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের সরকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
আত্মজীবনীতে জনসন বলেছেন, ২০১৭ সালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার ব্যক্তিগত টয়লেটে ব্রিটিশ নিরাপত্তা কর্মীরা একটি মাইক্রোফোন পান। এর কিছুক্ষণ আগে ওই টয়লেট প্রবেশ করেছিলেন নেতানিয়াহু।
সম্প্রতি রাজনীতি থেকে অবসরের পর বরিস ‘আনলিশড’ নামে একটি আত্মজীবনী লিখেছেন। আত্মজীবনীটি আগামী সপ্তাহে (১০ অক্টোবর) বাজারে আসবে। বইটির বরাতে ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনাটি ঘটে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতরে। সেখানে একটি ‘গোপন অ্যানেক্স’ ভবনে একটি টয়লেট রয়েছে যেটা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যবহার করেন।
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ সামরিক বিমান কি সত্যিই ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে?
যুক্তরাজ্যে একটি সরকারি সফরকালে নেতানিয়াহু ওই ভবনটিতে ছিলেন এবং সেখানে থাকার সময় দৃশ্যত ওই টয়লেটটি ব্যবহার করেছিলেন। জনসন তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন, তিনি (নেতানিয়াহু) সেখানে কিছু সময়ের জন্য অবস্থান করেছিলেন। এটি কাকতালীয় হতে পারে আবার নাও হতে পারে। কিন্তু পরে নিয়মিত পর্যবেক্ষণকালে নিরাপত্তা কর্মীরা টয়লেটে একটি গোপন মাইক্রোফোন খুঁজে পায়।
টেলিগ্রাফ বলেছে, তারা এই গোপন মাইক্রোফোন বসানোর বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানার জন্য জনসনকে চাপ দিয়েছেন। কিন্তু তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি তিনি পাঠকদের তার আত্মজীবনী পড়ার জন্য উৎসাহিত করেছেন। বলেছেন, এই পর্বের সম্পর্কে আপনাদের যা জানা দরকার তা বইতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরাইল আর বেশি দিন স্থায়ী হবে না: খামেনি
টেলিগ্রাফ বরিস জনসনের সাথে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাকে ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘স্টিংরে’ নজরদারি ডিভাইস বসানোর ঘটনার সাথে তুলনা করেছে। ওই ঘটনায় তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোন হ্যাক করার চেষ্টা করা হয়। আর ওই চেষ্টা করেছিল ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ।
No comments: