Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » » » মেহেরপুরের সাহিত্য: গবেষক ড. গাজী রহমান কবি, কবিতা, ছড়া ও পুঁথি লেখক




মেহেরপুরের সাহিত্য: ড. গাজী রহমান (জন্ম ১ জানুয়ারী ১৯৫৮ সাল) কবি,

ও গবেষক মেহেরপুর জেলার কবিতা, ছড়া ও পুঁথি - ড. গাজী রহমান বাংলাদেশের কবিতা অতি প্রাচীন কাল হতেই সমৃদ্ধ। চর্যাপদ হতে শুরু করে মধ্যযুগের কবিতা, ছড়া, খনার বচন, হেয়ালী ধাঁধাঁর প্রাচুর্যে বাংলা সাহিত্য তথা কবিতার প্রাচুর্যতা অনস্বীকার্য। বিশ্ব সাহিত্যে কবিতার অনবদ্য অবস্থান সবচাইতে পুরাতন-চোখে পড়ার মতো। জীবন ঘোষে আগুন জ্বালানোর মতো এর দাহ্য শক্তি বহু বিস্তৃত উৎকর্ষে ভরপুর। সবসময়ই কবিতা মানুষের মনের কথা বলে। মানুষের জীবনকে বিস্তৃতকারে রাঙিয়ে তোলে। কবিতার মধ্যেই মানুষের অনুক্ত কথা মালা বাঙময় হয়ে ফুটে উঠে প্রকাশিত হয়। Pol Vallery -মতে Poetry is a separate language -এ কথা সর্ব্বৈ সত্য। এমনকি Jhon Keats যখন বলেন- The poetry of the earth is never dead -তখন কবিতার মহিমা মহত্ত্ব ও সৌন্দর্য্য আলোক ধারার মতো ছড়িয়ে পড়ে। প্রাচীন কাল হতে শুরু করে বাংলাদেশে ও বাংলা ভাষায় অনেক মহৎ ও বড় কবির জন্ম হয়েছে। বাংলা ভাষায় শক্তি ও সৌন্দর্য্য বিশ্বসাহিত্যে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কবিতার মধ্য দিয়েই। সেই অর্থেই কবিতার প্রাচুর্য্য বাংলা ভাষাকে মহিমা দান করেছে নবনব রূপায়নে। রবীন্দ্রনাথ যখন বলেন- “কবি, তব মনোভূমি, রামের জন্মস্থান অযোধ্যার চেয়ে সত্য জেনো!”। তখন কবি আর কবিতার মহত্ব-উৎকর্ষ প্রকটিত হয়। অবিভক্ত ভারতবর্ষে তথা বাংলাদেশে-মেহেরপুর প্রাচীন জনপদ। এর সাহিত্য সংস্কৃতি-কিংবদন্তী প্রাচীন কাল হতেই লোকমুখে প্রচলিত আছে। অনেক জানা অজানা-গল্প কাহিনী উপকথার ইতিহাস মেহেরপুরের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে নানা গল্পে নানা বর্ণে। অবিভক্ত ভারতবর্ষে তথা বাংলাদেশে অনেক জ্ঞানি-গুণী মহাজন মেহেরপুরের মাটিকে ধন্য করেছে। দান করেছে উৎকর্ষতা, মহত্ব ও মহিমা। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্ত হয়ে সৃষ্টি হয় তদানিন্তন পাকিস্তান, বাংলাদেশেও দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। একটি অংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, অন্যটি পূর্ব পাকিস্তান তথা পূর্ব বাংলা। অবিভক্ত ভারতবর্ষেই বাংলাদেশ ও বাংলা সাহিত্য- কলকাতা কেন্দ্রীক,কৃষ্ণনগর ও নদীয়া বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে সমৃদ্ধি ও সুষমা দান করেছে। যার প্রেক্ষিতেই কবি যখন বলেন- ‘শান্তিপুর ডুবু ডুবু, নদে ভেষে যায়’। কৃষ্ণ লীলা, গীত গাঁথা শ্রীচৈতন্যের প্রভাব সমস্ত নদীয়া প্রভাব বিস্তার করে। আত্মার অন্বিষ্টতায় হয় সাহিত্যের সারিগান। দেশ-বিভক্তির উত্থান-পতনে বিরাট পরিবর্তনও গড় খাই পরিলক্ষিত হয়। সাহিত্য সংস্কৃতি বিভক্ত হয়ে যায়। জরাজীর্ণ ম্রীয়মান স্রোতটি বুকে নিয়ে মেহেরপুরে সাহিত্য-সংস্কৃতি দাঁড়াবার চেষ্টা করেছে। পর্যুদস্তু হয়েছে- অনিবার অনিরুদ্ধ স্রোতের তোড়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারেনি- অরণ্যে রোদনের প্রলাপ-প্রহেলিকা কাটিয়ে উঠতে পারেনি ভৌগলিকভাবে বিভক্ত মেহেরপুর। সমৃদ্ধ প্রাচিন জনপদের কুসুমিত গুলি পালকখসে পড়তে থাকে। উষরমরু প্রান্তের শূণ্যতা দেখা যায়। আজো পর্যন্ত যা মহৎ মাধূর্য্যে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। রচিত হয়নি মহৎ ও মৌলিক সাহিত্য-কবিতা। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হলো- ১৭ই এপ্রিল ১৯৭১ সালে মেহেরপুর মুজিবনগরের প্রাচীন গ্রাম- বৈদ্যনাথ তলার আমবাগানে- বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের অস্থায়ী রাজধানী হিসাবে দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী- মুক্তিযুদ্ধের সুতিকাগার মেহেরপুর সারা বিশ্বের কাছে পরিচিতি লাভ করে। শ্রান্তিহীন, ক্লান্তিহীন অবিরাম- অবিনাশী যুদ্ধের- মহান পরিসমাপ্তি ঘটে। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অভ্যুদ্বয়ের মাধ্যমে। সারা পৃথিবীর কাছে বাংলাদেশের কাছে মেহেরপুর ভিন্ন মানের প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় মেহেরপুরের গৌরবগাঁথা। সাহিত্য সাধনার মন নিয়ে- পূর্ণ বরাভয় নিয়ে ছোট ছোট পত্রিকা- কবিতা- ছড়া প্রাকাশিত হতে থাকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে ১৯৭৮ সালের ৩০ শে আগস্ট সেইসময়ে ভৈরব সাহিত্য সংস্কৃতি চত্ত্বর নামে একটি সাহিত্য সংগঠন গঠিত হয়। যার মুখপাত্র হিসাবে প্রকাশিত হয় ‘স্রোত’ নামক একটি পত্রিকা। এই পত্রিকাতেই মেহেরপুরের অধিকন্তু লেখক-কবি ও গীতিকারদের কবিতা ছড়া প্রকাশিত হতে থাকে। দীর্ঘ ৪৪ বৎসর এর পথচলা। মুক্ত চিন্তা-চেতনতার নবীন ও প্রাবীন কবি সাহিত্যিকদের লেখার হাত এই পত্রিকার মাধ্যমেই হতে থাকে। এক্ষেত্রে এই পত্রিকার ভূমিকা অনেক।পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালের ২রা জুলাই মেহেরপুর সাহিত্য পরিষদের যাত্রা শুরু হয়। ঠিকানা এই পত্রিকার মুখপত্র। এই পত্রিকায় হাফিজুদ্দিন বিশ্বাস, নাজাত খান, আবুল বাসার, মুহম্মদ ররীউল আলম, মেহের আমজাদ, সামাদুল ইসলাম, আনিসুজ্জামান মেন্টু, কাজী হাফিজ, ফজলুল হক সিদ্দিকী, বাশরী মহন দাস, ননী গোপাল ভট্টচার্য্য, নুরুল আহম্মেদ, রফিক হাসান, আবুলায়েছ লাবলু, গোলাম মোস্তফা, আবুল মান্নান মাষ্টার, সাজেদুর রহমান সাধু, মুহম্মদ মহসীন, মীর রওশন আলী মনা, শহিদুল ইসলাম কানন, জি.এফ মামুন লাকী, আবুল হোসেন, এস.এম.এ মান্নান, মিনা পারভীন, আব্দুল্লাল আল-আমিন, রফিকুল আলম, অমিতাভ মীর, আব্দুল হাকিম, আবিরা পারভীন, চিত্ত রঞ্জন সাহা চিতু, সুশীল চক্রবর্তী, বদরুদ্দোজা বিশ্বাস, রফিকুর রশীদ, শাহীন খান, মীর বরকত, শফিকুর রহমান সেন্টু, হিলারী হিটলার অভী, নূর হোসেন, নূর আলম, নাসির উদ্দীন আহমেদ, নুরুল হোসেন, শাশ্বত নিপ্পন, উবাইদুর রহমান, এস.এম শহিদুর রহমান, রুহুল কুদ্দুস টিটো, নিলুফার বানু, গাজী রহমান, তোজাম্মেল আলম, নন্দীতা উর্মি, রজব আলী প্রমুখের লেখা দিয়ে সমৃদ্ধ হতে থাকে। ১৯৫২ সালে সংঘটিত হয় ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন। এই ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বাঙালি জীবনে ঘটে আমুল পরিবর্তন। নুতুন দৃষ্টি কোণ থেকেই সূত্রপাত ঘটে ব্যাপক পরিবর্তনের। বাংলাদেশীরা মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাবোধে হয় উজ্জীবিত-অনুপ্রাণিত। ১৯৫২ সালে হাসান হাফিজুর রহমানের সম্পাদনায় ‘২১ শে ফেব্রুয়ারি’ সংকলনের প্রকাশ। এই কাব্য সংকলনের কবিতাসমূহের মাধ্যমে নুতুন চেতনাবোধ ও বিশ্বাস জাগ্রত হয়। বিপন্ন অস্থিতে জাগ্রত হয় সামষ্টিক সমূন্নতি। জীবনের সামগ্রিক স্বপ্নের পরিশুদ্ধ বাস্তবায়ন ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই ফিরে পেল প্রাণ, নুতুন পরিকাঠামো তৈরী হয় জীবনে-স্বপ্ন চারিতায়। এমনি এক সময়ে আমাদের কবিতার তথা বাংলা সাহিত্যের একটি বলিষ্ঠ মুখপাত্রের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। ১৯৫৭ তে সিকান্দার আবু জাফর ও হাসান হাফিজুর রহমানের যৌথ সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ‘সমকাল’ পত্রিকা। এই পত্রিকার মধ্য দিয়েই আমাদের সেই অভাবটি পূরণ হয়েছিল। সত্যি বলতে কি এই ‘সমকাল’ পত্রিকার মাধ্যমে আমাদের সাহিত্য নুতুন দিক নির্দেশনা লাভ করে। নুতুন কবি-সাহিত্যিকদের লেখার সুযোগ হয়, নুতুন কবি সাহিত্যিক সৃষ্টি হয়। এমনিভাবেই ভৈরব সাহিত্য-সাংস্কৃতিক চত্ত্বরের ‘স্রোত’ এবং সাহিত্য পরিষদের ‘ঠিকানা’ নামের ২টি পত্রিকা মেহেরপুরের কবি শিল্পী-সাহিত্যিকদের লেখার সুযোগ করে দেয়। এই পত্রিকার মাধ্যমেই কবিদের কবিতা প্রকাশ হয় এবং সৃষ্টি হয় নুতুন কবিতা। এই প্রবন্ধের লেখক ১৯৮৬-৮৭ সালে ‘মুজিবনগর একাডেমি’ ও ‘নিঃশ্বন কবিতা সংসদ’ নামে ২টি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন। নিঃশ্বন কবিতা সংসদের বেশ কয়েকটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়। মেহেরপুর হতেই প্রকাশিত অব্যাহত কবিতা ধারায় এর অবদান অনস্বিকার্য। এছাড়াও ‘মধুচক্র’-‘অনুশীলন’ নামে দুটি সংগঠন কবিতা আবৃত্তি ও কবিতা লেখায় কবিদের একত্রিত করতে পেরেছে। এই প্রবন্ধের লেখক ড. গাজী রহমান একাধারে কবি ও গবেষক। তিনি ১৯৬৭-৬৮ সাল হতেই কবিতা লেখেন।‘ছোট মেয়ে’ কবিতার মাধ্যমেই তার কবিতা লেখার হাতে খড়ি। তার ৮টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তার কবিতার বিষয়-নারী-প্রকৃতি ও স্বদেশ। প্রেমতার কবিতার মূখ্য অনুষঙ্গ। ফজলুল হক সিদ্দিকীর ১৩ টি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। নারী, প্রকৃতি-গণতান্ত্রিক মুক্তি ও সামাজিক অসাম্যের বিরুদ্ধে তার কবিতাশ্লিলতা-অশ্লিলতা-তার কবিতায় থাকলেও ঔচিত্য বোধের প্রেক্ষিতে তার কবিতা মানুষের মর্মের কথা বলে। কানাডা প্রবাসী লেখক ও কবি সৈকত রুশদীর জন্ম মেহেরপুরে। তিনি চমৎকার কবিতা ও গল্প লেখেন এবং তার স্ত্রী শিউলি জাহান রুশদী “আশার বাগানে নীল প্রজাপতি কাব্যগ্রন্থের কবি। মেহেরপুরের কৃতী সন্তান হাবিব আনিসুর রহমান ও তার স্ত্রী নাসিমা আনিস দীর্ঘকাল ধরে লেখালেখি করেন। সাবেক সচিব কবি আলকামা সিদ্দিকী দীর্ঘকাল ধরে কবিতা রচনা করে আসছেন। কবি তারিক উল ইসলামের জন্ম মেহেরপুরে। তিনি ছাত্র জীবন হতেই কবিতা চর্চা করছেন। এ পর্যন্ত তার ৪টি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। বাশরী মহন দাসের ২ টি কবিতার বই। তার কবিতার নারী-প্রেম ও প্রকৃতি প্রকটভাবে প্রকাশিত। নারীর প্রতি নিমগ্নতা তার কবিতার বড় বৈশিষ্ট। আঃ মান্নানের ১টি ছড়ার বই। প্রেম-প্রকৃতি-শিশু-স্বদেশের সাম্প্রতিক বিষয় তার কবিতার বিষয়বস্তু। ম-গোলাম মোস্তফার ছড়ার বই ১টি। তিনি সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে মনোগ্রাহী সুন্দর ছড়া লেখেন। বদরুদ্দোজা বিশ্বাস, আমির মোঃ খসরু ও নূর হোসেন এদের ১টি করে কবিতার বই আছে। সমাজ-প্রকৃতি-সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে এদের কবিতা রচনা। রফিকুর রশীদ প্রধানতঃ গল্প উপন্যাস রচয়িতা। নূর হোসেন এক কাব্য লেখা। তার কবিতার বই। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তার বহুমাত্রিক ছড়া গল্প প্রকাশিত হয়েছে। এবছর ২০২১ সালে শিশু সাহিত্যিক হিসাবে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর কবিতা ও ছড়া বঙ্গবন্ধুর কৃর্তি-গাঁথা, স্বদেশ-গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে। ছড়া গল্পে শিশু তোষণ তার প্রধান প্রসঙ্গ। শাশ্বত নিপ্পনের ১টি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। স্বদেশ প্রেম-প্রকৃতি তার কবিতার নির্ভরতা। রফিকুল আলমের ‘ভালোবাসার নিঃশব্দ কথন’ নামে একটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রেম তার কবিতার অনুসঙ্গ। গাংনীতে আঃ হামিদের ১টি কবিতার বই ‘কাজলা পাড়ের বন্ধু’ প্রকাশিত হয়েছে। মুরাদ হোসেনের ‘প্রেম দ্রোহ এবং প্রার্থিত সুন্দর’ ১টি কবিতার বই। এছাড়াও মোঃ ইদ্রিস আলী কবিতা রচনা করে চলেছেন। এদের কবিতায়-প্রকৃতি প্রেম-স্বাদেশিকতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, স্বভাব কবি ইসমাইল হোসেন ইসতেহার আকারে কবিতা প্রকাশ করেছেন। শামস্ আলদীন ও তাসলিমা খাতুন কবিতা লেখেন। তাসলিমা খাতুন ১টি কবিতা গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন।প্রেম-প্রকৃতি ও জীবন ঘষে আগুন জ্বালানোর বিষয়ে তার কবিতা। মাসুদ অরুণ ১টি কাব্যগ্রন্থ, এছাড়াও মোখতার হোসেনের ৩টি কবিতার বই, রাফিয়া আক্তারের ১টি কবিতার বই, ডাঃ রজব আলী ও নন্দিতা উর্মির ১টি করে কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। যে বৈঠকী আমেজ নিয়ে পুঁথি সাহিত্য রচিত হয়-সেই সময় প্রেক্ষিত বর্তমান সমাজে আগের মতো আর নেই। এরপরেও যাদবপুর/গোভীপুর গ্রামে আজো কেউ কেউ পুঁথি পাঠ করে থাকে। পুঁথির প্রতাপ আগের মতো নেই বললেই চলে। টেকনোলজি ও আকাশ সংস্কৃতি বিকাশের সংগে সংগে মানুষের আবেগ ও আমেজ, সামাজিক-সৌহার্দ্য-নিবিড় মমতা পর্যুদস্ত হয়েছে। সামাজিক অস্থিরতা বেড়ে গেছে, বিপন্ন মন ও মননের চর্চা-যার ফলে পুঁথি সাহিত্যের প্রসার ও প্রচার নেই বললেই চলে। মেহেরপুরের পুঁথি সাহিত্য এখন ভৈরব নদীর মতো ক্ষীণ ধারায় বহমান স্রোতের মতো। হয়তো নিবিড় অরণ্য ঘেরা কোন গ্রামে জোনাকির আলোর মতো। ড. গাজী রহমান:(জন্ম ১ জানুয়ারী ১৯৫৮ সাল) কবি, লেখক ও গবেষক। তিনি গুণী মানুষ। ঐতিহ্যবাহী মেহেরপুরে তার বসবাস।কবিতা লিখেন চমৎকার। কবিদের কবিতা নিয়ে গবেষণা করেন। বক্তব্য রাখেন সুন্দর। সংগঠক হিসেবে তার নাম আছে।মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠায় তার গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে।তিনি সে সময়ে এই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছিলেন। তার জন্ম ১৯৫৮ সালের ১ জানুয়ারী কুষ্টিয়ার কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার গোড়ার পাড়া গ্রামে। তবে দীর্ঘকাল ধরে তিনি মেহেরপুরে নিজের বাড়ি করে বসবাস করছেন। মা: মৃত সালেহা খাতুন । বাবা: মৃত ইছাহক বিশ্বাস। তিনি মেহেরপুর সরকারি হাইস্কুল ও মেহেরপুর কলেজে পড়াশুনা করেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের রবীন্দ্রভারত বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল‘স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের কবিতা’। পরে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট. ডিগ্রী অর্জন করেন। গবেষণা গ্রন্থ: স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের কবিতায় সমাজচেতনা (২০১২) ও রবীন্দ্র থিয়েটার : থিয়েটার-সংযোগের নতুন মাত্রা(২০১৩)। কাব্যগ্রন্থ : মধ্যাহ্নে চরণ ধ্বনি(১৯৯২), বলাকা ধবল উত্তরীয় (২০১৫), ত্রিমোহনা (২০১৫), ত্রিনয়ন (২০১৯)। সম্পাদনা : সাবির মানস সন্ধান(২০০৪), প্রসঙ্গ : কাজী নজরুল ইসলামের সাম্যবাদী ও চক্রবাক (২০১২), রূপসী বাংলা(২০১২), রবীন্দ্রনাথের কবিতা: প্রেম ও প্রকৃতি (২০১৫) ও জসীম উদ্দীনের রাখালী ও নক্সী-কাঁথার মাঠ : জীবনাভিজ্ঞতার শিল্পায়ন (২০১৯)। মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু। শান্তাহার সরকারি কলেজ, বগুড়া তাঁর শেষ কর্মস্থল। তিনি নজরুল একাডেমী মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ও সাবির সঙ্গীত ও সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি । দুই বাংলায় অতি পরিচিত মুখ। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সেমিনারের অতিথি ও আলোচক। অর্জন করেছেন কৃতি শিক্ষক ও মেহেরপুর জেলার কৃতি সন্তানের স্বর্ণপদক। তিনি বাংলা একাডেমি, ঢাকা; ভারতীয় ইতিহাস কংগ্রেস ও ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস এর আজীবন সদস্য। সুত্র: গ্রেটার কুষ্টিয়া নিউজ






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply