Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে ভারতের ওষুধ ও চিকিৎসা খাতে ধস




বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে ভারতের ওষুধ ও চিকিৎসা খাতে ধস বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে ভারতীয় ওষুধ শিল্প এবং চিকিৎসা-পর্যটন খাতে ধস নেমেছে। বিশেষ করে পেমেন্ট আটকে যাওয়া, শিপমেন্টে বিলম্ব এবং আমদানিকারকের অনাগ্রহে ধুকছে ভারতীয় ওষুধ কোম্পানিগুলো। বাংলাদেশ থেকে ভারতে রোগী যাওয়ার সংখ্যা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। ছবি: সংগৃহীত

সেই সঙ্গে ভিসা জটিলতার কারণে ভারতের চিকিৎসা-পর্যটন খাতও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভিসা না পাওয়ায় বাংলাদেশিরা তাদের মেডিকেল অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল করছেন বা চিকিৎসা বিলম্বিত করছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮-এর এক প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে। ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন ফার্মাসিউটিক্যালস এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার (ফার্মেক্সিল) তথ্য মতে, এখন ভারতীয় কোম্পানিগুলো প্রচুর বকেয়া এবং আর্থিক স্থিতিশীলতার বিষয়ে উদ্বেগের কারণে বাংলাদেশে পণ্য সরবরাহ করতে দ্বিধা করছে। ফার্মেক্সিলের মহাপরিচালক রাজা ভানু বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ভারতীয় ওষুধ কোম্পানিগুলো বকেয়া, আর্থিক স্থিতিশীলতা ও লজিস্টিক সমস্যা নিয়ে উদ্বেগের কারণে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। আরও পড়ুন: সংকট সমাধানের শেষ চেষ্টায় চিকিৎসকদের মাঝে মমতা ভানু আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশ হওয়ার কারণে লজিস্টিকস একটি অন্যতম প্রধান ইস্যু হয়ে উঠেছে। সীমান্তে চালান আটকে যাচ্ছে এবং বিমা সুরক্ষা পেতে অসুবিধা হচ্ছে। তবে পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করতে পারি বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হবে। যাইহোক, এটা আমাদের ওষুধ ও পর্যটন খাতে কতটা প্রভাব ফেলবে তা বলার সময় এখনও হয়নি। নিউজ ১৮-এর তথ্যমতে, বাংলাদেশ তার ওষুধের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের ৩০ শতাংশই সংগ্রহ করে ভারত থেকে। ভারতের বড় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি ছোট ও মাঝারি আকারের কোম্পানিগুলোও এসব কাঁচামাল সরবরাহ করে। মুম্বাইভিত্তিক একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানির বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা বাংলাদেশে ওষুধের কাঁচামাল রফতানি করে। বাংলাদেশে স্বাভাবিক অবস্থা না ফেরা পর্যন্ত সংস্থাটি নতুন করে রফতানি আদেশ নেয়া বন্ধ রেখেছে। ওই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘চালান পরিবহনের ক্ষেত্রে অবস্থা এখন ভালো। তবে বাংলাদেশে সংঘাত চলাকালে যে কয়েক লাখ রুপির চালান আটকে গেছে সেই ক্ষতি এখনও পুষিয়ে উঠতে পারিনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশের জন্য নতুন কোনো রফতানি আদেশ নিচ্ছি না।’ আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে তুমুল ‘বন্দুকযুদ্ধ’, দুই ভারতীয় সেনাসহ নিহত ৪ এদিকে ভারতের চিকিৎসা-পর্যটন খাতও বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছে। বিদেশি রোগীদের ভারতে চিকিৎসা নেয়ায় সহায়তা করে থাকে এমন একটি প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল কেয়ার-এর প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী (সিইও) রাজীব তানেজা বলেন, তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ভারতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রোগী এসেছিল ২০২৩ সালে। যা তাদের মোট বিদেশি রোগীর অর্ধেকেরও বেশি। তবে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে ভারতের চিকিৎসা-পর্যটনে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশে থেকে কেউ আর চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে না বললেই চলে। অনেকে চিকিৎসকদের কাছে নেয়া অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল করছেন বা চিকিৎসা বিলম্বিত করছেন। রাজীব বলেন, বাংলাদেশ থেকে রোগী আসার সংখ্যা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। এতে হাসপাতালের আয় যেমন কমেছে, তেমনি রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকিও বেড়েছে। আরও পড়ুন: মণিপুরে কোথা থেকে আসছে অত্যাধুনিক সব অস্ত্র? মেডিজার্ন নামে আরেকটি মেডিকেল ট্রাভেল কোম্পানি প্রায় একই ধরনের তথ্য দিয়েছে। মেডিজার্নের সহপ্রতিষ্ঠাতা ইশান দোধিওয়ালা বলেন, বাংলাদেশের অস্থিরতা নিঃসন্দেহে ভারতে চিকিৎসা নেয়া রোগীর সংখ্যায় প্রভাব ফেলেছে। এটা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী এবং সংশ্লিষ্ট পরিষেবাগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply