Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » ‘শখপূরণে’ ৫ ফ্লাইওভার: শত শত কোটি টাকা লোপাট করেছেন লিটন!রাজশাহী সিটি করপোরেশনে




‘শখপূরণে’ ৫ ফ্লাইওভার: শত শত কোটি টাকা লোপাট করেছেন লিটন! রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) টানা দুই দফায় মেয়র ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি বাণিজ্যিক ভবন, সড়ক, ফ্লাইওভার নির্মাণের মতো বড় বড় প্রকল্প তৈরি করে কয়েকশ কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। লিটনের শখপূরণে মাত্র ৯৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের শহরে পাঁচটি ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ শুরু হয়; এর ব্যয় ধরা হয় ৭২২ কোটি টাকা, যা অপ্রয়োজনীয় মনে করছেন বিশেষজ্ঞ ও নগরবাসী। জানা যায়, ২০১৯ সালে রাজশাহী সিটি করপোরেশনে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় একনেক। এর আওতায় ‘সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের অধীনে তিনটি প্যাকেজে পাঁচটি ফ্লাইওভারের টেন্ডার করা হয়। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ৭২২ কোটি টাকা।

শহরে যানবাহনের চাপ কমাতে ফ্লাইওভারগুলো জরুরি বলে প্রকল্প প্রস্তাবনায় উল্লেখ করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বর্তমানে এসব ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ চলছে। তবে ক্ষমতায় থাকাকালীন কেউ মুখ না খুললেও হাসিনা সরকারের পতনের পর এসব প্রকল্প নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন নগরবাসী। নগরবাসীর অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ খাত বাদ দিয়ে কেবল শখপূরণে এসব অর্থ ব্যয় করে লিটন হাতিয়ে নিয়েছেন শত শত কোটি টাকা। তাই অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলো বাদ দেয়ার দাবি করেন তারা। আরও পড়ুন: রাজশাহীর ৫ ফ্লাইওভার নির্মাণে অনিশ্চয়তা, দায় নেবে কে? স্থানীয়রা জানান, এই ফ্লাইওভারগুলো খুব একটা যানবাহন যায় না। লোকালরা বা আশপাশের মানুষ এখানে বসে আড্ডা দেন। কিছু প্রতিষ্ঠান ও ঠিকাদাররা যোগসাজশ করে এই প্রজেক্টগুলো করেছে। এগুলো অপচয় ছাড়া কিছু না। চুক্তি অনুযায়ী হড়গ্রাম নতুনপাড়া রেলওয়ে ক্রসিং ফ্লাইওভারের আয়তন দৈর্ঘ্য ৪০০ মিটার ও প্রস্থ ১২ মিটার। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৮৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। কোর্ট স্টেশন রেলওয়ে ক্রসিং ফ্লাইওভারের আয়তন দৈর্ঘ্যে ৫২১ মিটার ও প্রস্থ ১২ মিটার। এর নির্মাণ ব্যয় ১১৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বর রেলক্রসিং ফ্লাইওভারের আয়তন দৈর্ঘ্যে ৮৯৭ মিটার ও প্রস্থ ১২ মিটার। এর নির্মাণ ব্যয় ২০৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। ভদ্রা রেলক্রসিং ফ্লাইওভারের আয়তন দৈর্ঘ্যে ৫২০ মিটার ও প্রস্থ ১২ মিটার। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ও নতুন বিল শিমলা রেলক্রসিং ফ্লাইওভারের আয়তন দৈর্ঘ্যে ১২৫৫ মিটার ও প্রস্থ ১২ মিটার। এর নির্মাণ ব্যয় ২৯১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আরও পড়ুন: মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজায় আগুন শহরে কোনো যানজট না থাকার পরও ফ্লাইওভার তৈরির এই প্রকল্পকে অর্থের অপচয় হিসেবে দেখছেন জানিয়ে রুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. ইলমী ফরিদাতুল বলেন, ‘নেটিজেনদের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার জন্য অনেক ধরনের ফিল্ড বা চাহিদা আছে; যেগুলো আমরা করতে পারতাম। তবে আমি বিশ্বাস করি যে, এটা একটা মিস প্লানিং এবং কোনো কিছু চিন্তা না করেই করা হয়েছে। এটা অর্থের অপচয় তো বটেই। এই টাকাগুলো ফ্লাইওভারে ব্যয় না করে, অন্য উন্নয়নের কাজে খরচ করলে ভালো হতো।’ এ দিকে সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর জানান, জনবান্ধব নয় এমন প্রকল্পগুলো বাদ দেয়ার পাশাপাশি যেসব ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ মাঝামাঝি পর্যায়ে আছে তা শেষ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর আগে রুয়েট ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যবর্তী স্থানে ২০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮১০ মিটার ফ্লাইওভারসহ ৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া নগরীর বুধপাড়া এলাকায় ২০২ মিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার নির্মাণ করে সিটি করপোরেশন, যা কোনো কাজে আসছে না বলেও জানান নগরবাসী






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply