Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » কবি কামিনী রায়




কবি কামিনী রায়ের ৯১-তম প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি। কামিনী রায় (জন্মঃ অক্টোবর ১২, ১৮৬৪ - মৃত্যুঃ সেপ্টেম্বর ২৭,১৯৩৩) ছিলেন একজন বাঙালি কবি, সমাজকর্মী এবং নারীবাদী লেখিকা। কামিনী রায়ের জন্ম বর্তমান বাংলাদেশে বরিশালের বাকেরগঞ্জের বাসন্ডা গ্রামে। বাবা ছিলেন সেসময়ের বিখ্যাত লেখক ও ব্রাহ্মসমাজের সদস্য চণ্ডীচরণ সেন। পিতামহ নিমচাঁদ সেন ছিলেন ভাবুক ও ধার্মিক প্রকৃতির লোক। কামিনীর শিশু বয়স থেকেই তার পিতামহ তাকে বিভিন্ন শ্লোক আবৃত্তি করে শোনাতেন। তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের প্রথম মহিলা স্নাতক ডিগ্রীধারী ব্যক্তিত্ব। তাঁর পিতা চন্ডীচরণ সেন একজন বিচারক ও ঐতিহাসিক লেখক ছিলেন।স্নাতক ডিগ্রী অর্জনের পর ১৮৮৬ সালেই তিনি বেথুন কলেজের স্কুল বিভাগে শিক্ষয়িত্রীর পদে নিযুক্ত হন ও পরবর্তীকালে তিনি ঐ কলেজে অধ্যাপনাও করেন।যে যুগে মেয়েদের শিক্ষাও বিরল ঘটনা ছিল, সেই সময়ে কামিনী রায় নারীবাদে বিশ্বাসী ছিলেন। তাঁর অনেক প্রবন্ধেও এর প্রতিফলন ঘটেছে। মাত্র ৮ বছর বয়স থেকে তিনি কবিতা লিখতেন। পনের বছর বয়সে তাঁর প্রথম কাব্য গ্রন্থ আলো ও ছায়া প্রকাশিত হয় ১৮৮৯ খ্রীস্টাব্দে। তার লেখা উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে -আলো ও ছায়া (১৮৮৯), নির্মাল্য (১৮৯১),দীপ ও বহধূপ (১৯২৯),জীবন পথে (১৯৩০) প্রভৃতি।অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত 'মহাশ্বেতা' ও 'পুণ্ডরীক' তাঁর দু'টি প্রসিদ্ধ দীর্ঘ কবিতা।এছাড়াও, ১৯০৫ সালে তিনি শিশুদের জন্য ‘গুঞ্জন’ নামের কবিতা সংগ্রহ ও প্রবন্ধ গ্রন্থ বালিকা শিক্ষার আদর্শ রচনা করেন। কামিনী রায় ১৯২৩ খ্রীস্টাব্দে তিনি বরিশাল সফরের সময় কবি সুফিয়া কামালকে লেখালেখিতে মনোনিবেশ করতে বলেন। তিনি ১৯৩০ খ্রীস্টাব্দে বঙ্গীয় লিটারারি কনফারেন্সের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৩২-৩৩ খ্রীস্টাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদেরও সহ-সভাপতি ছিলেন কামিনী রায়।করিতে পারি না কাজ সদা ভয় সদা লাজ সংশয়ে সংকল্প সদা টলে – পাছে লোকে কিছু বলে। আড়ালে আড়ালে থাকি নীরবে আপনা ঢাকি, সম্মুখে চরণ নাহি চলে পাছে লোকে কিছু বলে। হৃদয়ে বুদবুদ মত উঠে চিন্তা শুভ্র কত, মিশে যায় হৃদয়ের তলে, পাছে লোকে কিছু বলে। কাঁদে প্রাণ যবে আঁখি সযতনে শুকায়ে রাখি;- নিরমল নয়নের জলে, পাছে লোকে কিছু বলে। একটি স্নেহের কথা প্রশমিতে পারে ব্যথা – চলে যাই উপেক্ষার ছলে, পাছে লোকে কিছু বলে। মহৎ উদ্দেশ্য যবে, এক সাথে মিলে সবে, পারি না মিলিতে সেই দলে, পাছে লোকে কিছু বলে। বিধাতা দেছেন প্রাণ থাকি সদা ম্রিয়মাণ; শক্তি মরে ভীতির কবলে, পাছে লোকে কিছু বলে। ✍️পাছে লোকে কিছু বলে – কামিনী রায়






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply