Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » » » মেহেরপুরের সাহিত্য: এম. রফিক হাসান




মেহেরপুরের সাহিত্য: এম. রফিক হাসান (১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭ -২৪ জুন ২০১০) কবি,লেখক,সংগঠক,নাট্যকার, গীতিকার ও সুরকার দৃটি কবিতা -এম. রফিক হাসান ১.এক বুক শূন্যতা নিয়ে পালায়, পালিয়ে বেড়ায়-

পথে,ঘাটে, রাস্তায়, অরণ্যে-জনারণ্যে জীববজগতের দুরন্ত পিপাসায় পলাতক কয়েদির মত পালিয়ে বেড়াই বেদনার নীল চোখে চোখে। পলাতকি প্রক্রিয়াই ভীষণ গতিশীল সমাজ সাধুবাদ ভাষা দিয়ে সময় হয় না কারোর কারণ খোঁজার- কারণ, অকারণে অবাধ্য পিপাসা ভুলিয়ে দিতে পারে রোজার নিয়ত সুতরাং ভগ্নার্থ মন রেডিমেট দক্ষিণা বাতাস দিয়ে সুখ-স্বপ্নে জড়িয়ে রাখতে চ্ইা, অথচ মন মনের সারা আঙ্গিনা, হৃদয়ের হৃদতন্ত্রে জীবন্ত যন্ত্রণার দাগ পদঘাতের মত চিহ্ন রোজ রোজ একে য্য়া গদ্যময় জীবন আহত সুখ-স্বপ্ন বিভরে ভরাট নদীর বুকে জীবনের দূরন্ত পিপাসা মিটাতে পানি খোঁজে। কবিতা চেষ্ট করলে দিতে পারতো সবার ছন্দময় জীবন মিটাতে পারতো পুরানো পিপাসা অবক্ষয়ের অবধি মাঠে সেনাধক্ষ হয়ে- আনতে পারতো অবাধ সুখের খবরে অথচ কবিতার সুউন্নত বুকের মাঝখানে কান রাখে গোপন খবর শুনে নেওয়ার হারিয়েছে বয়স তাইতো শূণ্য সবখানে ঘুরে ঘুরে সব খুয়ে সর্বশান্ত অশান্ত সামাজিক অবক্ষয়ে জীবনের দূরন্ত পিপাসা পালিয়ে যায় রোমান্টিকতার/রূপকথার আশ্রয়স্থলে সেহেতু সর্বাঙ্গিন সুন্দর জীবন মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে এক বুক শূণ্যতা নিয়ে। ২.আগুন দিয়োনা দাও পানি ইবলিস স্বভাব অবসানে অনবরত ডুবিয়ে দাও চর চরম উল্লাসে কমে যাক দিঘির পানি কলসে কলসে ওদের মুখে আগুন দিওনা দাও পানি ওরা বড় আগুনের সান্নিধ্রে থাকা স্বপ্নের নারী অতএব প্লাবিত বন্যার তোড়ে ভেঙ্গে দাও সামাজিক অপরাধের বাঁধ। এম. রফিক হাসান (১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭ -২৪ জুন ২০১০) কবি,লেখক,সংগঠক,নাট্যকার, গীতিকার ও সুরকার। এম. রফিক হাসান মেহেরপুরের কাঁশারীপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৫৭ সালের ১১ ফেব্রæয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম নূরউদ্দিন শেখ ( পাতান মোল্লা) এবং মাতার নাম মজিরা খাতুন। তিনি বাবা-মায়ের ৮ম সন্তানের ৩য় সন্তান। তিনি ১৯৬৩ সালে বি,এম, স্কুলে প্রথম শ্রেনীতে ভর্তি হন এবং ১৯৭২ সালে কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিল থেকে এস.এস.সি পাশ করেন। তিনি ১৯৬৭ সাল থেকে লেখা শুরু করেন এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত লিখে গেছেন। তার কবিতায় গণমানুষের প্রাণের কথা ফুটে উঠেছে। তিনি প্রচারবিমুখ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। নূরুল আহমেদ লিখেছেন, ‘তিনি প্রায় চার দশক ধরে নিয়মিত লেখালেখি করেছেন। তিনি মুলত কবি। তার কবিতায় দেশপ্রেম, শোষক-শোষিতের কথা বিশেষভাবে স্থান করে নিত। কবিতা, ছড়া, গল্প, প্রবন্ধ ও রম্য রচনায় তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। তিনি ছিলেন গীতিকার ও সুরকার। তিনি তাৎক্ষণিক ভাবে চলমান যে কোন ইস্যুতে নাটক ও গান লিখতে পারতেন। তার লেখা অনেক নাটক মেহেরপুরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সফল মঞ্চায়ন হয়েছে। তাল লয়ের ব্যাপারেও তার জ্ঞান ছিলযথেষ্ট, তিনি হারমোনিয়াম ও ডুগি তবলা বাজানোতে পরদর্শী ছিলেন।’ ১৯৭৮ সালের ৩০ আগষ্ট মেহেরপুরে ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বর প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তিনি ভৈরব-এর জন্মের পরপরই এর সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭৯ সালে এই সংগঠনের সংবিধান রচিত হয়। সংবিধান রচনার দায়িত্ব লাভ করেন আব্দুর রাজ্জাক খান, মনিরুজ্জামান মনি, রফিক হাসান ও আব্দুল কুদ্দুস।ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বরের ১৯৮৩ সালের নির্বাচনে আব্দুর রাজ্জাক খান ও এম. রফিক হাসান প্যালেন জয়ী হয়। ১৯৯৯ সালের ২ জুলাই মেহেরপুর সাহিত্য পরিষদ গঠন হয়। এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এম রফিক হাসান। সভাপতি ছিলেন নূরুল আহমেদ। ২০১০ সালের ২৪ জুন ৫৪ বছর মেহেরপুরে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলে ও ৬ মেয়েসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মেহেরপুরের সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে এম. রফিক হাসানের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা ছিল।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply