Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » দ্য ডিপ্লোম্যাটের নিবন্ধ ভারত কি শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ করবে?




দ্য ডিপ্লোম্যাটের নিবন্ধ

ভারত কি শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ করবে? বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন। এটা শুধু তার নিজ দেশেই নয়, বরং একইভাবে ভারতেও। বা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে যান শেখ হাসিনা। সেই থেকে প্রতিবেশী দেশটিতেই অবস্থান করছেন তিনি। এদিকে জনগণের পক্ষ থেকে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করার দাবি ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও বলেছেন, ন্যায়বিচারের জন্য শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, আদালত থেকে নির্দেশনা পেলে তাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। এমন প্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যদি তার প্রত্যর্পণের জন্য আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করে; ভারত কি তা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে? এ ব্যাপারে ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তি কী বলে? বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে যা প্রথম স্বাক্ষরিত হয় ২০১৩ সালে এবং ২০১৬ সালে সংশোধন হয়। চুক্তিটি ছিল দুই দেশের অভিন্ন সীমান্তে বিদ্রোহ ও সন্ত্রাসবাদের সমস্যা মোকাবেলার লক্ষ্যে একটি কৌশলগত ব্যবস্থা। আরও পড়ুন: ছেলের দেয়া কোন আশ্বাসে শেখ হাসিনা পদত্যাগে রাজি হয়েছিলেন? চুক্তির প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল পলাতক ও অপরাধীদের প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়াকে সুগম করা। বিশেষ করে যারা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ কার্যকলাপে জড়িত, তাদের। বাংলাদেশের মাটিতে ভারতীয় বিদ্রোহীদের আশ্রয় গ্রহণ এবং ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে বাংলাদেশি বিদ্রোহীদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড মোকাবিলা করার এক অভিন্ন উদ্বেগ থেকে চুক্তিটি করা হয়। চুক্তিতে কিছু ধারা রয়েছে যাতে বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয় কিংবা এমন কোনো অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয় এবং কমপক্ষে এক বছর কারাদণ্ড হয় তাহলে উভয় দেশই ওই ব্যক্তিকে ফেরত দিতে বাধ্য থাকবে। চুক্তির দ্বৈত অপরাধের নীতির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেটা হলো যে অপরাধের জন্য প্রত্যর্পণের অনুরোধ করা হয়েছে তা অবশ্যই উভয় দেশে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে স্বীকৃত হতে হবে। আরও পড়ুন: ভারত কি আবারও শেখ হাসিনার জমিদারি ফেরাতে চায়, প্রশ্ন রিজভীর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা, বলপূর্বক গুম ও গণহত্যাসহ একাধিক স্তরের গুরুতর অভিযোগে মামলা হয়েছে। রাজনৈতিক মর্যাদা এবং অভিযোগের প্রকৃতি বিবেচনা করে ভারতে আশ্রয় চাওয়া তার জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। এরপর ২০১৬ সালের সংশোধনীর কারণে প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসে। সংশোধিত চুক্তি ফলে প্রত্যর্পণের শর্ত আরও সহজ হয়। এর ফলে আগে তথ্যপ্রমাণ পেশের প্রয়োজনীয়তা ছিল; তা দূর হয় এবং শুধুমাত্র অনুরোধকারী দেশের একটি উপযুক্ত আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রয়োজন হয়। প্রত্যার্পণ চুক্তির আলোকে যদি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ করে, তাহলে চুক্তির আওতায় ভারত তাকে বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ করতে আইনত বাধ্য। আবার প্রত্যার্পণ চুক্তির ৬ নম্বর ধারায় উল্লেখ আছে, যদি কোনো দেশ মনে করে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা করা হয়েছে তাহলে তাকে প্রত্যর্পণে অস্বীকৃতি জানানো যাবে। কিন্তু এই ধারাতেই আবার বিশেষভাবে উল্লেখ আছে, হত্যা, সন্ত্রাসবাদ ও অপহরণের মতো অপরাধগুলো রাজনৈতিক অভিযোগ হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার ৫০ বছরের রাজনীতি ছিলো প্রতিহিংসার: মামুনুল হক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত যেসব মামলা করা হয়েছে সেগুলোর সবই হত্যা, অপহরণ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা হয়েছে। হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো বিবেচনা করলে দেখা যাচ্ছে, ধারা ৬ অনুযায়ী ভারত তাকে ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানাতে পারবে না। প্রত্যর্পণে অস্বীকৃতি জানানোর আরেকটি ভিত্তি হতে পারে ধারা ৮। এতে বলা আছে, যদি ‘অসৎ নিয়তে’ কারও বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা হয় তাহলে তাকে ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানানো যাবে। ভারত এই ধারাটি ব্যবহার করতে পারে। তারা দাবি করতে পারে হাসিনার বিরুদ্ধে সঠিক বিচার করার ‘সৎ নিয়তে’ মামলা করা হয়নি। হাসিনা যেহেতু ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ছিলেন সে কারণে ভারত এই ধারা ব্যবহারে সমর্থন পেতে পারে। তবে বাংলাদেশ সরকার তাকে ফেরত চাওয়ার পরও যদি ফেরত না দেয়া হয়, তাহলে এটি ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক খারাপ করবে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply