Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » » মেহেরপুরের সাহিত্য:মেহেরপুরের শোলমারী গ্রামে হোমিও ডাঃমোঃ ইসমাইল হোসেন খান




মেহেরপুরের সাহিত্য:মেহেরপুরের শোলমারী গ্রামে হোমিও ডাঃমোঃ ইসমাইল হোসেন খান (১৯০৬-১৯৮৭) কবি ও হোমিও চিকিৎসক তিনটি কবিতা -ডাঃমোঃ ইসমাইল হোসেন খান

ডাঃমোঃ ইসমাইল হোসেন খান (১৯০৬-১৯৮৭) মেহেরপুরের এক সময়ের প্রথিতযশা হোমিও চিকিৎসক ও কবি। তাঁর জন্ম ১৯০৬ সালে বৃটিশ ভারতের নদীয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার করিমপুর থানার কুচাইডাঙ্গা গ্রামে। ভারত বিভক্তির পর ইসমাইল খান স্বপরিবারে মেহেরপুরের শোলমারী গ্রামে এসে বসবাস ও হোমিও চিকিৎসা করতে থাকেন। ১৯৬০ এর দশকে তিনি পরিবার নিয়ে মেহেরপুরে বসতি স্থাপন করেন। তিনি হোমিও চিকিৎসার পাশাপাশি কবিতাও লিখতেন। তিনি মুখে মুখেই কবিতা বলতে পারতেন। অতি সজ্জন ও সাদা মনের মানুষ হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন। ১৯৮৭ সালে ৮২ বছর বয়সে তিনি মেহেরপুরে ইন্তেকাল করেন। ১. মানুষ আল্লার উপর যেই বিশ্বাস হারায় যেজন কখনও মিষ্টভাষী না হয়, না জানে যে কখনও সাধু ব্যবহার, নাহি চলে ধর্ম পথে সদা কদাচার। নিরস হৃদয় যার দয়া মায়াহীন অন্তর যাহার হয় বড়ই কঠিন, স্নেহ ও মমতা নাই নাহি করে দান, বিনয় নম্রতা নাই পাষাণ সমান। ক্ষমা ও সহিষ্ণু আর ধৈর্য্য যার নাই, যে অন্তরে প্রেম ভালবাসা নাহি রয়, থাকিতে প্রভূত শক্তি কভু যেইজন ব্যথিত ও দুস্থদের না বুঝে বেদন। জ্ঞানি ও পন্ডিত আর গুরুজনদের না মানে যেজন ভক্তি না করে তাদের। হলেও মানবকুলে জনম তাহার কখনও মানব নয় সেই কুলাঙ্গার। ২. একুশে ফেব্রুয়ারী রে একুশে ফেব্রুয়ারী; চির স্মরণীয় হয়ে আছ চিরদিন, জানি তুমি কোন কালে হবে না বিলীন। বাংলার ছাত্র দলে তুমি কাঁদায়েছ, বাঙ্গালীরে অশ্রুপাতে তুমি ভিজায়েছ। বঙ্গবাসী যেই শোক পেয়েছিল হায়, প্রলয় অবধি তাহা ভুলিবার নয়। স্বর্গ হতে শহীদান ভায়েরা আমার, দেখ তোমাদের দাবি পুরেছে এবার। বাংলার মসনদে আছে সেই মহাজন বুঝিয়াছে দেশের কি আছে প্রয়োজন। হে খোদা তোমার কাছে প্রার্থনা মোদের শান্তিতে রেখ তুমি শহীদানদের। স্বর্গের দ্বার দেহ করি উদঘাটন আনন্দেতে সেথা যেন করে বিচরণ। ক্ষমা করিলাম মোরা দুর্জ্জন খুনিরে এর বদলা সাজা যেন না দিও তাদেরে। ৩. নজরুল স্মরণে বঙ্গের উজ্জ্বল রত্ন দেশের গৌরব ছড়াইলে বিশ্ব মাঝে কত যে সৌরভ। মহাকবি খ্যাতি আর কত যশঃ লাভ করিয়া হঠাৎ কেন হইলে নিরব? হে কবি তোমার কথা হইলে স্মরণ হৃদয়ের মাঝে কেন জাগে শিহরণ। বাঙ্গলার প্রতি ঘরে হিন্দু মুসলমান দিবা নিশি গায় সদা তব জয়গান। বড় দুঃখ হয় মনে তোমারে স্মরিয়ে কেন তুমি মুক হলে চেতনা হারিয়ে। তোমার মুখের বাণী ছিল অফুরান কেনবা করিলে বন্ধ হইলে এমন। হয়েছে কি দান শেষ হে কবি মহান, আর কি কবে না কথা খুলিয়া পরান? আল্লার দরবারে আজি তুলিয়া দুহাত হে কবি তোমার তরে করি মোনাজাত। আয় আল্লাহ, আমাদের প্রিয় কবি কাজী নজরুল আবার সাজাও নাথ তারে বুলবুল। চেতনা ফিরিয়ে দাও খুলে দাও মুখ আবার আনন্দে বিশ্ব ভরিয়া উঠুক। ডাঃমোঃ ইসমাইল হোসেন খান (১৯০৬-১৯৮৭) মেহেরপুরের এক সময়ের প্রথিতযশা হোমিও চিকিৎসক ও কবি। তাঁর জন্ম ১৯০৬ সালে বৃটিশ ভারতের নদীয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার করিমপুর থানার কুচাইডাঙ্গা গ্রামে। ভারত বিভক্তির পর ইসমাইল খান স্বপরিবারে মেহেরপুরের শোলমারী গ্রামে এসে বসবাস ও হোমিও চিকিৎসা করতে থাকেন। ১৯৬০ এর দশকে তিনি পরিবার নিয়ে মেহেরপুরে বসতি স্থাপন করেন। তিনি হোমিও চিকিৎসার পাশাপাশি কবিতাও লিখতেন। তিনি মুখে মুখেই কবিতা বলতে পারতেন। অতি সজ্জন ও সাদা মনের মানুষ হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন। ১৯৮৭ সালে ৮২ বছর বয়সে তিনি মেহেরপুরে ইন্তেকাল করেন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply