Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » চেঙ্গিস খান সিংহাসনে বসেছিলেন ৫১ বছর বয়সে।




চেঙ্গিস খান সিংহাসনে বসেছিলেন ৫১ বছর বয়সে। সিংহাসনে আরোহনের মাত্র বিশ বছরের মধ্যে তিনি ভূ-লোকের যত অঞ্চল জয় করেছিলেন, যত সাম্রাজ্যকে পদানত করেছিলেন, যত রাজা-মহারাজাদের নাকে খদ খাইয়েছিলেন তার আগে-পরে আর কেউ তা পারেনি।

আলেক্সান্ডার, সিজার কিংবা নেপোলিয়নদের মত দিগ্বিজয়ীরা যৌবনে যত অঞ্চলে পা রাখতে পারেননি চেঙ্গিস তার চেয়ে ঢের ঢের বেশি অঞ্চল জয় করে নিয়েছিলেন বার্ধক্যে। একজন দুর্ধর্ষ বিজেতা, দুর্দান্ত সংগঠক, দুর্বিনীত যোদ্ধা অথচ তিনি জানতেন না যে দুনিয়াতে 'লিখনপদ্ধতি' নামে একটি ব্যাপার আছে। তার সময়ে যাবতীয় রাজকীয় তথ্য , ফরমান এবং নির্দেশনা প্রথমে প্রবাদাকারে দূতকে মুখস্ত করানো হত। তারপর মৌখিকভাবে তা যথাস্থানে পৌঁছে দেয়া হত। 'লেখা'র বয়স তখন প্রায় ৪৫০০ বছর হয়ে গেছে। চীন অভিযানে বেরিয়ে চেঙ্গিস খান প্রথম জানতে পারেন দুনিয়াতে 'লিখনপদ্ধতি' নামে একটা ব্যাপার আছে। জানার সাথে সাথে তিনি তার পুত্র এবং আমত্যবর্গকে এ পদ্ধতিটি আয়ত্ত করার জন্য আদেশ দেন। তার যাবতীয় বাণী, আইন, বিধি ইত্যাদি লিখে রাখার জন্যও তাদের নির্দেশনা দিয়ে দেন।। এ বিধানগুলো চিরকাল মানুষ সভয়ে পালন করবে এই ছিল তার বিশ্বাস। অনেকে চেঙ্গিস খানের নামের শেষে 'খান' শব্দটি দেখে তাকে ইসলাম ধর্মের অনুসারী ভেবে থাকেন কিন্তু তিনি মোটেই তা ছিলেন না। তিনি ছিলেন নীল আকাশের পূজারী। আকাশকেই তিনি তার প্রভু মনে করতেন। বিপদে তিনি আকাশের কাছেই মাথা নুয়াতেন। আবার কারো কারো মনে তিনি ছিলেন অগ্নি পুজারী! বংশধর রেখে যাওয়ার ক্ষেত্রেও এ লোকটি বিরল মাইলফলক রেখে গেছেন। তার পুরুষ বংশধরের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষের উপরে। সন্তানদেরকে যদি ধন সম্পদের সাথে তুলনা করা হয় তাহলে নিশ্চয় চেঙ্গিস খানের চেয়ে ধনী বাবা পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। চেঙ্গিস খানের ৫ জন স্ত্রী এবং অর্ধ সহস্রাধিক উপপত্নী ছিল। তবে এদের মধ্যে তিনি তার প্রথম স্ত্রী বোর্তের আশপাশে কাউকে আসতে দেননি। বিয়ের কিছুদিন পরেই বোর্তে অপহৃত হয়েছিল। অবধারিতভাবে তার শ্লীলতাহানিও করা হয়েছিল। চেঙ্গিসখান সেখান থেকে বোর্তেকে উদ্ধার করেছিলেন এবং স্ত্রীর মর্যাদায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। অপহরণের কিছুদিন পরে বোর্তে সন্তানসম্ভাবা হলেও চেঙ্গিস খান সে সন্তানকে নিজের সন্তান হিসেবে গ্রহণ করেন। চেঙ্গিস খান নিজের প্রতিকৃতি আঁকা মোটেও পছন্দ করতেন না। তাই চেঙ্গিস খানের কোন আসল ছবি আমাদের কাছে নেই। যেগুলো তার ছবি বলে চালিয়ে দেওয়া হয় সেগুলো আসলে পরবর্তী প্রজন্মের শিল্পীদের কল্পনা। নিজের জীবন কাহিনী তিনি তার জীবদ্দশাতেই লিপিবদ্ধ করার আদেশ দেন যা “সিক্রেট বুক অফ মোঙ্গলস” নামেই বেশি পরিচিত। বলতে গেলে রহস্যময় এই মানুষটির জীবন সম্পর্কে জানার একমাত্র বিশ্বস্ত সূত্র এটি। অসংখ্য সন্তানের পিতা হওয়া সত্ত্বেও শুধু বোর্তের গর্ভে জন্ম নেওয়া চার ছেলেকেই উত্তরাধিকারী হিসাবে মনোনীত করেছিলেন তিনি। তার সমাধি গোপন রাখার জন্য মৃত্যুর আগে তিনি সৈন্যদের নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন। বলা হয়ে থাকে তার সমাধিকে নিচিহ্ন করার জন্য সমাহিত অঞ্চলের উপর দিয়ে এক হাজার ঘোড়া ছুটিয়ে নেয়া হয়েছিল। চেঙ্গিস খানের সমাধির যেন কোনো প্রমাণ না থাকে; তাই সমাধির উপর ১ হাজার ঘোড়া নিয়ে ঘোড়সাওয়াররা দৌড়ায়। ওইসব ঘোড়সাওয়ারদেরও পরবর্তীতে হত্যা করা হয়েছিল। কোনো ধরনের প্রমাণই মেলেনি চেঙ্গিস খানের সমাধির।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply