Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » নারিকেল গাছের সার ব্যবস্থাপনা।




যেকোন বয়সের নারিকেল গাছের জন্যে দুই কিস্তিতে সার প্রয়োগ করতে হবে। প্রথম কিস্তিতে নিচের উল্লেখিত সারের অর্ধেক পরিমাণ বৈশাখ- জৌষ্ঠ মাসে এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে বাকি অর্ধেক সার আশ্বীন মাসে গাছের গোড়া থেকে চতুর্দিকে ১ মিটার বাদ দিয়ে ১.০-২.৫ মিটার দূর পর্যন্ত মাটিতে ২০-৩০ সে.মি গভীরে প্রয়োগ করতে হবে। সার দেয়ার পর মাটি কুপিয়ে দিতে হবে।এ সময় মাটিতে রস কম থাকলে অবশ্যই সেচ দিতে হবে। বেশি শুষ্কতা ও বেশি বৃষ্টিপাতের সময় সার প্রয়োগ করা ঠিক হবেনা। গাছ লাগানোর পর প্রতিবছর নিম্নলিখিত হারে সার প্রয়োগ করবো: ★ ১-৪ বছর বয়সী নারিকেল গাছের জন্যে গোবর সারঃ-১০ কেজি ইউরিয়াঃ-২০০ গ্রাম টিএসপিঃ-১০০ গ্রাম এমওপিঃ-৪০০ গ্রাম জিপসামঃ-১০০ গ্রাম জিংক সালফেটঃ-৪০গ্রাম বোরিক এসিডঃ-১০ গ্রাম ★ ৫-৭ বছর বয়সী নারিকেল গাছের জন্যে গোবর সারঃ-১৫ কেজি ইউরিয়াঃ-৪০০গ্রাম টিএসপিঃ-২০০গ্রাম এমওপিঃ-৮০০গ্রাম জিপসামঃ-২০০গ্রাম জিংক সালফেটঃ-৬০গ্রাম বোরিক এসিডঃ-১৫ গ্রাম ★ ৮-১০ বছর বয়সী নারিকেল গাছের জন্যে গোবর সারঃ-২০ কেজি ইউরিয়াঃ-৮০০গ্রাম টিএসপিঃ-৪০০গ্রাম এমওপিঃ-১৫০০ গ্রাম জিপসামঃ-২৫০গ্রাম জিংক সালফেটঃ-৮০গ্রাম বোরিক এসিডঃ-২০ গ্রাম ★ ১১-১৫ বছর বয়সী নারিকেল গাছের জন্য গোবর সারঃ-২৫ কেজি ইউরিয়াঃ-১০০০গ্রাম টিএসপিঃ-৫০০ গ্রাম এমওপিঃ-২০০০গ্রাম জিপসামঃ-৩৫০গ্রাম জিংক সালফেটঃ-১০০গ্রাম বোরিক এসিডঃ-=৩০ গ্রাম ★ ১৬-২০ বছর বয়সী নারিকেল গাছের জন্যে গোবর সারঃ-৩০ কেজি ইউরিয়াঃ-১২০০গ্রাম টিএসপিঃ-৬০০গ্রাম এমওপিঃ-২৫০০গ্রাম জিপসামঃ-৪০০গ্রাম জিংক সালফেটঃ-১৫০গ্রাম নারিকেল,নারিকেল চাষ,ফল বোরিক এসিডঃ-৪০গ্রাম ★ ২০ বা তার ঊর্ধ নারিকেল গাছের জন্যে গোবর সারঃ-৪০ কেজি ইউরিয়াঃ-১৫০০গ্রাম টিএসপিঃ-৭৫০গ্রাম এমওপিঃ-৩০০০গ্রাম জিপসামঃ-৫০০গ্রাম জিংক সালফেটঃ-২০০গ্রাম বোরিক এসিডঃ-৫০ গ্রাম # জেনে রাখা ভালোঃ * একটা সুস্থ নারিকেল গাছের পাতা লম্বায় জাতভেদে ২.৫-৩.৫ মিটার হতে পারে। সুস্থ, সবল একটা গাছের পাতার সংখ্যা ৩২-৪০টা। * পাতাগুলো যত উপরমুখী হবে এবং সংখ্যায় তা যত বেশি হবে, গাছ সাধারণত তত বেশি ফুল-ফল দানে সক্ষম হবে। * ভালো যত্ন ও সঠিক ব্যবস্থাপনায় কাণ্ড থেকে প্রতি মাসে একটা করে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে পাতা বের হয় এবং সে পাতার গোড়ালি থেকে বয়স্ক গাছে ফুল-ফলের কাঁদি বের হয়। *নারিকেল গাছের ডালা কখনোই কাটা যাবে না। এ পাতা হলুদ হয়ে শুকানোর আগ পর্যন্ত কোনো মতেই কেটে ফেলা যাবে না। এ গাছ ঠিক কলা গাছের মতো ‘রুয়ে কলা না কেটো পাত, তাতেই কাপড় তাতেই ভাত’ খনার বচনটা এ গাছের জন্য একেবারে প্রযোজ্য। * যেহেতু একটা সুস্থ গাছে প্রতি মাসে একটা করে পাতা বের হয় এবং তা প্রায় তিন বছরের মতো বাঁচে সে হিসাব করলে একটা ফলন্ত, সুস্থ, সবল গাছে ৩২-৪০টা পাতা থাকার কথা। গাছে এ সংখ্যা ২৫ টার নিচে থাকলে ধরে নিতে হবে গাছটা খাবার ও যত্নের অভাবে বড় কষ্টে আছে। পাতার সংখ্যা ২০ টার নিচে নেমে গেলে গাছে ফুল ফল ধরা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর্যায়ে চলে যাবে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply