Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » যৌবন বয়সে রবীন্দ্রনাথের গলা ছিল অসম্ভব মিষ্টি, জোরালো গলায় গান গাইতে পারতেন




যৌবন বয়সে রবীন্দ্রনাথের গলা ছিল অসম্ভব মিষ্টি, জোরালো গলায় গান গাইতে পারতেন। লোকে তাঁর কণ্ঠে গান শোনার জন্য কিরকম পাগল হয়ে যেত যারা না শুনেছেন তারা কল্পনাও করতে পারবেন না। গ্ৰামাফোন তখন আবিষ্কার হয়নি। রবীন্দ্রনাথের গলার রেকর্ড কয়েকটি মাত্র আছে, কিন্তু সব তাঁর বার্ধক্য বেলার। তখন তাঁর গলা পড়ে গেছে। কবির গানের গলা সম্পর্কে এই স্মৃতিচারণ তাঁর পুত্র রথীন্দ্রনাথের।

রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর আরও জানিয়েছেন তাঁর জ্যাঠা মহাশয়দের আমলে ছিল ' বিদ্বজ্জন সভা' বাবার আমলে তখন সেটি হয় ' খামখেয়ালী সভা'। কবি পুত্র তখন একটু বড় হয়েছেন। সব কিছু তাঁর মনে আছে। এর সভ্য হওয়ার জন্য বিশেষ নিয়ম না থাকলেও মজলিসি হওয়া বিশেষ গুণ বলে পরিগণিত হত। রবীন্দ্রনাথের পরিবারের অনেকেই যেমন ওই সভার সদস্য ছিলেন তেমন ছিলেন নাটোরের মহারাজা, জগদীশচন্দ্র বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, প্রিয়নাথ সেন,প্রমথ চৌধুরী, অতুলপ্রসাদ সেন। সভার নিয়ম ছিল প্রতি মাসে এক একজন সভ্য পালা করে তাদের বাড়িতে অন্য সকলকে নিমন্ত্রণ করতেন। বৈঠক সেখানে বসত সঙ্গে বিপুল খাবারের আয়োজন। গল্প পড়া, কবিতা, ছোটখাটো অভিনয়, গান বাজনা ছিল মূল উদ্দেশ্য। রবীন্দ্রনাথ সেই সময় নতুন যেসব কবিতা বা ছোট গল্প লিখতেন 'খামখেয়ালী' সভায় পড়ে শোনাতেন। অনেক সময় মহারাজা জগদনিন্দ্রনাথ কবিতা আবৃত্তির সাথে পাখোয়াজ বাজাতেন। তাঁর হাত ভারি মিষ্টি ছিল। রবীন্দ্রনাথ এই সভার জন্য দুটো - একটা নাটক লিখেছিলেন। একটি ' বিনি- পয়সার ভোজ' তারপর 'বৈকুণ্ঠের খাতা '। রবীন্দ্রনাথ এই নাটকে 'অবিনাশ' সেজেছিলেন,মূলত হাস্যরস প্রধান। আগেই বলা হয়েছে পালা করে প্রতি মাসে একজনের বাড়িতে ' খামখেয়ালী সভা'র আয়োজন হত ‌। রবীন্দ্রনাথের বাড়িতে যেবার নিমন্ত্রণের পালা পড়ল বাড়িতে একেবারে হুলুস্থুল পড়ে গেল ‌। কবি জায়া মৃণালিনী দেবী কে ফরমাশ করলেন খাওয়ানোর নতুন রকমের ব্যবস্থা করতে হবে। মামুলি কিছু থাকবে না ‌। প্রতিটি পদের বৈশিষ্ট্য থাকা চাই। কবি শুধু ফরমাশ করে নিশ্চিত হলেন না নতুন কি রান্না হবে তাও বলে দিতে লাগলেন। রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন খাওয়া উপলক্ষ মাত্র, শুধু রান্না ভাল হলেই হল না। খাবার পাত্র, পরিবেশনের প্রণালীঘর সাজানো সব সুন্দর হতে হবে। মাটিতে বসে খাওয়া কিন্তু খাবার থাকবে সবার সামনে রাখা শ্বেতপাথরের জলচৌকিতে। সেগুলো চতুষ্কোণ ভাবে সাজিয়ে মাঝখানে যে জায়গা রইল তাতে বাংলাদেশের একটি গ্ৰামের দৃশ্য বানানো হল। বাঁশবন,শ্যাওলাপড়া ডোবা,খড়ের ঘর কিছুই বাদ গেল না। ছবির মত সম্পূর্ণ একটি গ্ৰাম। কৃষ্ণনগর থেকে কারিগর আনিয়ে খড়ের ঘর, ছোট ছোট মানুষ,গরু, ছাগল, বানিয়ে, সাজিয়ে অপরূপ সুন্দর করে তোলা হল পরিবেশটা। এই সুন্দর পরিবেশে নৈশভোজন যে উপভোগ্য হয়েছিল সেকথা হলফ করে বলা যায়। আরও একটি বড় তথ্য হল কবির বাড়িতে যতবার সভার বৈঠক হয়েছে প্রতিবার সাজানো ও আহার্যের পরিকল্পনা ছিল অভিনব এবং ব্যতিক্রমী। কবি কলকাতা ছেড়ে শিলাইদহ চলে গেলে ' খামখেয়ালী সভা' আপনা থেকেই বন্ধ হয়ে যায়।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply