Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » » আলহাজ্ব শামস-উল হুদা মেহেরপুরবাসীর কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন ----মুহম্মদ রবীউল আলম




আলহাজ্ব শামস-উল হুদা মেহেরপুরবাসীর কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন মুহম্মদ রবীউল আলম আলহাজ্ব শামস-উল হুদা ছিলেন দেশের অন্যতম খ্যাতনামা সাংবাদিক ও কলামিস্ট । তিনি ডেইলী মর্নিং নিউজ পত্রিকার সম্পাদক ও দৈনিক জনতা পত্রিকার সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বার্তা সম্পাদ কের দায়িত্ব পালন করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সাথে তাঁর বিশেষ সম্পর্ক ছিল। বঙ্গবন্ধুই তাঁকে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বার্তা সম্পাদক থেকে ডেইলী মর্নিং নিউজ পত্রিকার সম্পাদক বানিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রিন্সিপাল ইনফরমেশন অফিসার হিসেবেও কাজ করেছেন। শেষ জীবনে তিনি কলামিস্ট হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। আলহাজ্ব শামস-উল হুদা মেহেরপুরের মানুষকে গভী

র ভাবে ভালবাসতেন। মেহেরপুরের বিশিষ্ট সাংবাদিক সৈকত রুশদীকে তিনি খুব সেন্হ করতেন। বড় ভাই সৈকত রুশদীর মাধ্যমেই আমার সাথে শ্রদ্ধেয় হুদা ভাইয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিলো। আমাকেও তিনি খুব ভালবাসতেন। আমি মেহেরপুরে আসার কথা বলতেই তিনি রাজি হয়েছিলেন। ১৯৮৮ সালের জুন মাসে আমার আমন্ত্রণে তিনি মেহেরপুরে এসেছিলেন। মেহেরপুরে দুটি অনুষ্ঠানেও তিনি উপস্থিত ছিলেন এবং মুজিবনগর ও আমঝুপি ঘুরে দেখেন। প্রয়াত কবি ও সাংবাদিক সামাদুল ইসলামের একটি কাব্যগ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। মনে পড়ে হুদা ভাইয়ের সম্মানে মেহেরপুর প্রেসক্লাব আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে মেহেরপুরের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সহিউদ্দিন আহমেদ ,আহমদ আলী ও তৎকালীন এমপি রমজান আলীও উপস্থিত ছিলেন। মেহেরপুর থেকে ঢাকায় ফিরে তিনি দৈনিক জনতা, দৈনিক দেশ ও সাপ্তাহিক মুক্তিবাণী পত্রিকায় মেহেরপুরের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বেশ কয়েকটি লেখা লিখেন। দৈনিক জনতা ৩ জুলাই ১৯৮৮ তারিখে ‘ভৈরব নদ থেকে করতোয়া ঢাকা থেকে মেহেরপুর’ শিরোনামে উপস্পাদকীয় কলামে মহীরুহ নামে একটি লেখা লিখেন। লেখাটি যেদিন ছাপা হয়, সেদিনই সে সময়ের রাস্ট্রপতি হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ লেখাটি পড়ে খুশি হন এবং আলহাজ্ব শামস-উল হুদা সাহেবকে ফোন করেন এবং বলেন, ‘আমি যোগাযোগ মন্ত্রীকে বলে দিয়েছি, দৌলতদিয়া থেকে ঝিনাইদহ হয়ে মেহেরপুর পর্যন্ত রাস্তাটি বিশ্বরোডের আওতায় এনে রাস্তাটি সুন্দর করে তৈরী করো।’ সাবেক রাস্ট্রপতি হুদা সাহেবকে আরো বলেন, ‘আপনি আপনার মেহেরপুরের বন্ধুদের বলেন মেহেরপুরের সমস্যাগুলো আমি ধীরে ধীরে ঠিক করে দিবো।’ যখন ফোনে কথা হচ্ছিল তখন শ্রদ্ধেয় হুদা ভাইয়ের বাসায় আমিও উপস্থিত ছিলাম। ঘটনার ক‘দিন পরে সে সময়ের পত্রিকায় দেখেছিলাম, আন্ত মন্ত্রণালয়ের মিটিংয়ে দৌলতদিয়া থেকে ঝিনাইদহ হয়ে মেহেরপুর পর্যন্ত রাস্তাটি বিশ্বরোডের আওতায় আনা হলো এবং কাজও শুরু হলো। এরশাদ সাহেব নিজে কয়েকবার মেহেরপুর গিয়েছেন। মেহেরপুরকে তিনি জেলা করেছেন এবং নিজেই জেলার ফলক উন্মোচন করেছেন। মুজিবনগরে স্মৃতিসৌধ্য তিনিই নির্মাণ করেছেন। মুজিবনগরের গেটে এরশাদ সাহেবের একটি দীর্ঘ কবিতা লেখা ছিল। এখন আর সেটি নেই। কে বা কার তা উঠিয়ে ফেলেছে। আলহাজ্ব শামস-উল হুদা আজ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু‘ তাঁর স্মৃতি আমাদের মনে এখনো রয়ে গেছে। তিনি মেহেরপুরের জন্য যে অবদান রেখে গেছেন তা মেহেরপুরবাসী চিরকাল স্মরণ করবে। তিনি ভৈরব নদ খননের জন্য লিখেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন,‘ এই ভৈরব নদ সংস্কার করা অতি জরুরী হয়ে পড়েছে। এই নদ সংস্কার করা না হলে ৫/৭ বছর পরে এই নদকে আর নদ বলে মনে হবে না।’ তিনি লেখেন, ‘এই নদটি ব্যাপকভাবে সংস্কার করা হলে কৃষি, শিল্প-কলকারখানাসহ সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলে আমরা মনে করি।’ দেরী হলেও ভৈরব নদ খনন করা হয়েছে। পরিশেষে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন আলহাজ্ব শামস-উল হুদাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন। লেখকঃ মেহেরপুরের কৃতি সন্তান, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাপ্তাহিক মুক্তিবাণীর নির্বাহী সম্পাদক






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply