চীনের হাইনানে আঘাত হানল সুপার টাইফুন ইয়াগি
চীনের হাইনান প্রদেশে আঘাত হেনেছে সুপার টাইফুন ইয়াগি। দ্বীপাঞ্চল হাইনানের ওয়েনচাং শহরে তাণ্ডব চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এ খবর জানিয়েছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে জনবহুল এই প্রদেশের ওয়েনচাং শহরে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি। ছবি: এপি
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে জনবহুল এই প্রদেশের ওয়েনচাং শহরে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি। এ সময় এর কেন্দ্রের কাছে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ২৪৫ কিলোমিটার বা ১৫২ মাইল।
ইয়াগির উন্মত্ততায় ‘চীনের হাওয়াই’ খ্যাত পর্যটন দ্বীপটি এরই মধ্যে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পুরো অঞ্চলে দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট।
গত সপ্তাহের শুরুর দিকে ফিলিপাইন সাগরে ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির উৎপত্তি। এরপর এটি ফিলিপিন্সের উত্তরাঞ্চলের দিকে এগোতে থাকে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন মতে, এটি আটলান্টিক মহাসাগরের ক্যাটাগরি ৫ হারিকেন বেরিলের পর ২০২৪ সালের দ্বিতীয়-সর্বোচ্চ শক্তিশালী গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়।
আরও পড়ুন: শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল পাপুয়া নিউগিনি
সুপার টাইফুন খ্যাতি পাওয়া ঘূর্ণিঝড়টি চলতি সপ্তাহের শুরুতে ফিলিপাইনে উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানে। এর তাণ্ডবে দেশটিতে ১৬ জনের মৃত্যু হয়।
এরপর এটি দ্বিগুণেরও বেশি শক্তি নিয়ে শুক্রবার বিকেলে চীনের হাইনানের ওয়েনচাং শহরে আঘাত হানল।
ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগে চীনের এই অঞ্চলে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, শুক্রবারের মধ্যে হাইনানে অন্তত ৪ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৭ জন বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়।
ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগে চীনের এই অঞ্চলে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, শুক্রবারের মধ্যে হাইনানে অন্তত ৪ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৭ জন বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়।
ঘূর্ণিঝড়টি এখন হাইনান প্রদেশের ওপর দিয়ে গুয়াংডং প্রদেশের দিকে এগোবে বলে মনে করা হচ্ছে। এটি বেইবু উপসাগরের দিকে সরে যাবে।
আরও পড়ুন: রাতে যেসব অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা
এদিকে হংকংয়ে ইয়াগির প্রভাবে রাতভর ভারি বৃষ্টিপাতের পর দুপুরের পরপরই টাইফুন সতর্কতা কমিয়ে আনা হয়। ঝড়টি হংকং শহর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূর দিয়ে অতিক্রম করেছে।
এছাড়া শুক্রবার হংকংয়ের স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন স্থগিত এবং স্কুল বন্ধ ছিল। আবহাওয়ার কারণে শহরে পাঁচজন আহত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি সীমিত ছিল।
No comments: