ইরানের হামলার হুমকিতে ‘সর্বোচ্চ সতর্কতায়’ ইসরাইল
হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ফুয়াদ সুখর ও হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের জেরে উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। শীর্ষ কমান্ডার হত্যার জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে হিজবুল্লাহ। অন্যদিকে হানিয়াকে হত্যার জেরে ইসরাইলকে ‘কঠোর শাস্তি’ দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
ইরানের হামলার হুমকিতে ইসরাইলকে সুরক্ষা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: রয়টার্স
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইলের জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে ইরান ও তাদের মিত্রবাহিনীর সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে দখলদার ইসরাইল।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা ‘সর্বোচ্চ সতর্কতা অবস্থায় রয়েছে। তবে সামরিক বাহিনী সবদিক থেকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত বলে জানান তিনি।
সতর্কাবস্থায় থাকার ব্যাপারে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিমিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য আক্রমণ ও প্রতিরক্ষার দিক দিয়ে ইসরাইল উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। আমাদের ওপর যেকোনো দিক দিয়ে যে কোনো আগ্রাসনের উচ্চ মূল্য নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কাতারে হামাস নেতা হানিয়ার মরদেহ, দোহায় দ্বিতীয় জানাজা
এদিকে ইরান ও তাদের প্রক্সিবাহিনীর হুমকির প্রেক্ষিতে ইসরাইলকে সুরক্ষা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
টাইমস অব ইসরাইল বলছে, চলমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস বলছে, বাইডেন নেতানিয়াহুকে জানিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র 'ইরানের কাছ থেকে আসা সব ধরনের হুমকি' থেকে ইসরাইলকে সুরক্ষা দেবে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের 'অঙ্গীকার' থেকে বিচ্যুত হবে না।
আরও পড়ুন: ইসরাইলে হামলা হবেই, হুঁশিয়ারি হিজবুল্লাহ নেতার
দুই নেতা ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা ঠেকাতে প্রয়োজনে ইসরাইলে মার্কিন সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনা ও প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলাপ করেছেন।
দুই নেতা এমন সময় কথা বলেছেন যখন ইসরাইলি টেলিভিশন নিশ্চিত করেছে, দেশটি একটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক জোটের মাধ্যমে ইরান ও হিজবুল্লাহর কাছ থেকে আসা সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক হামলা ঠেকানোর কাজ প্রায় চূড়ান্ত করে এনেছে।
বুধবার ( ৩১ জুলাই) ভোরে তেহরানে একটি ভবনে হানিয়ার অবস্থান লক্ষ্য করে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া। এ সময় তার এক দেহরক্ষীও নিহত হন। হানিয়ার হত্যার জবাবে সরাসরি ইসরাইলে হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
আরও পড়ুন:ইসরাইলে সরাসরি ‘হামলার নির্দেশ’ খামেনির
তিনজন ইরানি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, হানিয়া হত্যাকাণ্ডের পর ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, হামাস প্রধান হানিয়া নিহত হয়েছেন বলে ইরান ঘোষণা দেয়ার পরপরই খামেনি বুধবার সকালে ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে এ আদেশ দেন। রেভল্যুশনারি গার্ডের দুই সদস্যসহ ইরানি তিন কর্মকর্তা তাদের নাম প্রকাশ করতে চাননি। কারণ এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলার অনুমতি নেই তাদের
No comments: