Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপনে মেহেরপুরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া




জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপনে মেহেরপুরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া X

জামায়াত-শিবিরের লোগো। ছবি : সংগৃহীত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা থেকে একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জামায়াত-ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মেহেরপুরের রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে জামায়াত ও বিএনপিপন্থি রাজনীতিবিদরা বলছেন, সরকার ছাত্র আন্দোলনে সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের ইস্যু ঢাকতে এই কাজ করেছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগপন্থিরা বলছেন, এটি আরও অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ধর্মভিত্তিক কোনো রাজনৈতিক দল থাকতে পারে না। উচ্চ আদালত থেকেও অনেক আগেই জামায়াত ও শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপনে মেহেরপুরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া একনেকের অনুমোদনে পাল্টে যাচ্ছে কাটাখালী নদী প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ এর ধারা ১৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ সংস্থা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হলো। বিষয়টি নিয়ে মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তাজ উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, জামায়াত ও শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন একটি রাজনৈতিক ভাওতাবাজি। সরকারি প্রজ্ঞাপন আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। হঠাৎ করে আমাদের জানানো হচ্ছে ১৯৭১ সালের ঘটনার জন্য আমাদের নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। কিন্তু এখন ছাত্রলীগ যে রামদা হকিস্টিকসহ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সাধারণ ও নিরাপরাধ ছাত্রছাত্রীদের হত্যা করছে। সেটা কী তারা দেখছে না। কই ছাত্রলীগের রাজনীতি তো নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না। আমরা আমাদের অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে মাঠে থাকব। বিষয়টি নিয়ে মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণ কালবেলাকে বলেন, এখন রাজপথে ছাত্র জনতার যে গণআন্দোলন চলছে, সেটির তীব্রতা প্রতিনিয়তই বেগবান হচ্ছে এবং প্রকৃত অর্থে এই আন্দোলন এখন সরকার পতনের এক দফা দাবির আন্দোলনের দিকেই ধাবিত হচ্ছে। এই ঘটনাটাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করছে। জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের ঘটনা এ ধরনের অপচেষ্টারই একটি অংশ। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মান্নান কালবেলাকে বলেন, এটি আরও আগে হওয়া উচিত ছিল। ১৯৭২ এর সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক কোনো দলের রাজনীতি করার সুযোগ নেই। যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারের সময় উচ্চ আদালত থেকেও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের আদেশ ছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একটি সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পরও অনেক দেরিতে এটি কার্যকর হলো।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply