ইসরাইলি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ম্যাক্রোঁর
ইসরাইলের এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফ্রান্সের সাম্প্রতিক নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করে এ বিষয়ে নালিশ জানিয়েছেন তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আরটি।
ফ্
ফ্রান্সে চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রথম ধাপের পার্লামেন্ট নির্বাচনের চার দিন আগে স্থানীয় বেতার সংবাদমাধ্যম কান ব্রডকাস্টারকে একটি সাক্ষাৎকার দেন ইসরাইলের ডায়াসপোরা বিষয়ক মন্ত্রী অ্যামিচাই চিকলি।
সাক্ষাৎকারে তিনি ফ্রান্সের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, চমৎকার হবে, যদি মেরিন লে পেন (উগ্র ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র্যালির নেত্রী) ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হন।
তিনি আরও বলেন, এর পক্ষে অন্তত ১০টি যুক্তি দেয়া যায়। যদি তিনি প্রেসিডেন্ট হন, সেটা ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্য ভালো হবে। আমার মনে হয়, এ ব্যাপারে নেতানিয়াহু ও আমার মত একই।
আরও পড়ুন: ফ্রান্সে বামপন্থিদের উত্থান, সরকার গঠনে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন ম্যাক্রোঁ
গত ৩০ জুন ফ্রান্সে পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ করা হয়। প্রথম দফায় জয় পায় মেরিন লে পেনের কট্টর ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র্যালি। দ্বিতীয় দফার ভোট হয় ৭ জুলাই।
দ্বিতীয় দফা ভোটে জয় পায় বামপন্থি জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনএফপি)। কিন্তু দ্বিতীয় দফা ভোটেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনো দলই। ফলে গঠিত হতে যাচ্ছে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট।
গত মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এক্সিওস জানায়, ইসরাইলি মন্ত্রী অ্যামিচাই চিকলির ওই সাক্ষাৎকারের পরদিনই নেতানিয়াহুকে ফোন করেন ম্যাক্রোঁ। ফোন করে তিনি বলেন,
অ্যামিচাই চিকলির বক্তব্য পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য এবং এটি নির্বাচনে হস্তক্ষেপের শামিল।
প্রতিবেদন মতে, নেতানিয়াহু ম্যাক্রোঁকে আশ্বস্ত করেন, তিনি তার সব মন্ত্রীকে ফরাসি নির্বাচনের বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বুথফেরত জরিপ / ফ্রান্সে উগ্র ডানপন্থিদের থামাল বাম জোট
মেরিন লে পেন ফ্রান্সের কট্টর ডানপন্থি রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত। তার দল ন্যাশনাল র্যালি বরাবরই মুসলিমদের অভিবাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার। ন্যাশনাল র্যালির বর্তমান প্রধান জরদান বারদেলা লে পেনের বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন।
গত মাসে এক সাক্ষাৎকারে বারদেলা বলেন, তার দল একেবারেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার পক্ষে নয়। ন্যাশনাল র্যালি মনে করে, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি প্রদান আর সন্ত্রাসবাদকে স্বীকৃতি দেয়া একই ব্যাপার।
No comments: