Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » ফ্রান্সে বামপন্থিদের উত্থান, সরকার গঠনে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন ম্যাক্রোঁ




ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটে অবিশ্বাস্যভাবে জয় পেয়েছে বামপন্থি জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনএফপি)। প্রথম দফায় জয় পাওয়া কট্টর ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র‌্যালিকে ভালোভাবেই ঠেকিয়েছেন তারা। কিন্তু দ্বিতীয় দফা ভোটেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনো দলই। এ অবস্থায় ফ্রান্সে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের আশংকাই বাড়ছে। এরইমধ্যে আভাস পাওয়া গেছে যে, ম্যাক্রোঁ নিউ পপুলার ফ্রন্টকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানাবেন। ফ্রান্সের লে তোকেট-প্যারিস-প্লেজে একটি ভোট কেন্দ্রে সংসদীয় নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডে একজন ভোটার ভোট দিচ্ছেন। ছবি: রয়টার্স ফ্ আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণায় দেখা গেছে, বামপন্থি এনএফপি জোট ৫৭৭ আসনের পার্লামেন্টে ১৮২টি আসন দখল করেছে। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থি জোট এনসেম্বল পেয়েছে ১৬৮টি। আর উগ্র ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র‌্যালি (আরএন) ১৪৩টি আসন পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কিন্তু দেশটির ৫৭৭ আসনের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৮৯ আসন পায়নি কোনো দলই। ফলে ফ্রান্সে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আরও পড়ুন:ফ্রান্সের নির্বাচনে বামপন্থিদের জয়, হচ্ছে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গত রোববার (৩০ জুন) প্রথম দফার ভোটে মেরিন লে পেনের ন্যাশনাল র‌্যালি জয় পাওয়ার পর, দ্বিতীয় দফার ভোটে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার আশায় ছিলেন। কিন্তু তা হয়নি। বরং দুই ধাপ নেমে তৃতীয় অবস্থানে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয় দফার ভোটে কী ঘটেছিল প্রথম দফার পর ন্যাশনাল র‌্যালির (আরএন) সংখ্যাগরিষ্ঠতা আটকানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। পরে ম্যাক্রোঁ ও বামপন্থি এনএফপি জোটের মধ্যে আপস হয় ‘টুগেদার ব্লক’ হয়ে কাজ করার। আরএনের বিপক্ষে পড়া ভোটগুলো যেন সবার মধ্যে ভাগ হয়ে না যায় সেজন্য দ্বিতীয় দফার নির্বাচন থেকে দুই শতাধিক প্রার্থী নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন। বামজোট ও ম্যাক্রোঁর দলের এই কৌশলেই তৃতীয় স্থানে ছিটকে পড়ে আরএন। তবে ফ্রান্সের বর্তমান বাস্তবতায় তিনটি দলের কেউই এককভাবে সরকার গঠন করতে পারবে না এবং এজন্য তাদের অন্যদের সমর্থনের প্রয়োজন হবে। বামপন্থি জোট গঠন হবে? নির্বাচন-পরবর্তী জোট গঠনে ফ্রান্স সাধারণত অভ্যস্ত নয়। যা জার্মানি বা নেদারল্যান্ডসের মতো উত্তর ইউরোপীয় সংসদীয় গণতন্ত্রে হয়ে থাকে। আরও পড়ুন:বুথফেরত জরিপ / ফ্রান্সে উগ্র ডানপন্থিদের থামাল বাম জোট এদিকে ম্যাক্রোঁর দলের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন সেজার্ন বলেছেন, তিনি মূলধারার দলগুলোর সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। কিন্তু জিন-লুক মেলেনচনের কট্টর-বাম ফ্রান্স আনবোড (এলএফআই) দলের সঙ্গে তিনি কোনও চুক্তি করতে চান না। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এডুয়ার্ড ফিলিপও কট্টর-বাম দলের সঙ্গে কোনো চুক্তি করতে রাজি নন। যদি কোন চুক্তি না হয় তাহলে কী হবে? সংবিধান বলছে, ম্যাক্রোঁ নতুন সংসদীয় নির্বাচন ডাকতে পারবেন না। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল সোমবার সকালে ম্যাক্রোঁর কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেবেন কথা রয়েছে। সংবিধান অনুসারে ম্যাক্রোঁ কোন দলকে সরকার গঠন করতে আমন্ত্রণ জানাতে পারবেন। তবে তিনি যাকেই বাছাই করেন না কেন, তাকে জাতীয় পরিষদে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ আইন প্রণেতাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। ম্যাক্রোঁ সম্ভবত বামপন্থি জোট থেকে সোশ্যালিস্ট এবং গ্রিনস দলকে বাদ দিতে পারেন। ফ্রান্স আনবোড দলকেও হয়ত রাখবেন না। তিনি নিজেদের মধ্যপন্থি এনসেম্বল দলের সঙ্গে বামপন্থিদের নিয়ে জোট গঠন করতে পারেন। আরেকটি সম্ভাবনা হলো টেকনোক্র্যাট সরকার। যা দৈনন্দিন বিষয়গুলো পরিচালনা করবে; কিন্তু কাঠামোগত পরিবর্তনগুলো তত্ত্বাবধান করবে না। তবে বামজোট কী ভাবছে সেটাই এখন গুরুত্ব পাবে ফ্রান্সের রাজনীতিতে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply