মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ইসরাইল-ফিলিস্তিন বিষয়ক কর্মকর্তার পদত্যাগ

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের সিনিয়র কর্মকর্তা ও ইসরাইল-ফিলিস্তিন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এন্ড্রু মিলার পদত্যাগ করেছেন। পারিবারিক কারণ দেখালেও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের বিতর্কিত গাজা নীতির প্রতিবাদেই তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ইসরাইল-ফিলিস্তিন বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এন্ড্রু মিলার। ছবি: সংগৃহীত আট মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নজিরবিহীন সামরিক আগ্রাসন ও হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরাইলি দখলদার বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজারের বেশি নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর এই হত্যাযজ্ঞে শুরু থেকেই সব ধরনের সহায়তা ও সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের এই বিতর্কিত নীতির কারণে গত কয়েক মাসে মার্কিন প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। সবশেষ পদত্যাগ করলেন ইসরাইল-ফিলিস্তিন বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এন্ড্রু মিলার। আরও পড়ুন: ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ / কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১ বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার মিলারের পদত্যাগের বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আনে ওয়াশিংটন পোস্ট। মার্কিন এই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। প্রতিবেদনে বলা হয়, মিলার তার সহকর্মীদের বলেছিলেন, হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ ভয়ানক হয়ে উঠেছে। পরিবারের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটাতে চান। মিলারের পদত্যাগের ব্যাপারে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আল জাজিরার রিপোর্টার কিম্বার্লি হ্যালকেট বলেছেন, গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনের প্রতি প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও তার প্রশাসনের অব্যাহত সমর্থনের কারণে তার মধ্যে যে ক্রমশ হতাশা বাড়ছিল এই পদত্যাগ তারই প্রমাণ। গাজা হত্যাকাণ্ডের মধ্যে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার কারণে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইসরাইলি সেটেলার তথা ইসরাইলের অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বাইডেন সরকার একটি নির্বাহী আদেশ জারি করে। ওই নির্বাহী আদেশ জারির ব্যাপারে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন মিলার। আরও পড়ুন: লেবাননে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা ইসরাইলের, যা বলল হিজবুল্লাহ মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের আগে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সিনিয়র উপদেষ্টা ছিলেন মিলার। এছাড়া ওবামা প্রশাসনে হোয়াইট হাউজ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে মিশর ও ইসরাইলের সামরিক বিষয়ক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।