Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ জেলার শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ হিসেবে মনোনীত




চারিদিকে বৃক্ষরাজীর সারি সারি সমাহার। সাদা পোশাকে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা। এ জেনো এক নতুন পরিবেশ। পরিবেশটা নতুন মনে হলেও প্রতিষ্ঠানটি অনেক পুরাতন এবং ঐতিহ্যবাহী। আর সেটি হলো মেহেরপুর সরকারি কলেজ। ঐতিহ্যবাহী সরকারি কলেজটির আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। কি লেখাপড়াই, কি মনোরম পরিবেশ, যা স্বচক্ষে না দেখলে বুঝে ওঠার কোন উপায় নেই। আর এসব সম্ভব হয়েছে মেহেরপুর সরকারি কলেজের নতুন অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এ কে এম নজরুল কবীরের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা। যার ফলশ্রুতিতে প্রফেসর ড.এ কে এম নজরুল কবীর কলেজ পর্যায়ে মেহেরপুর জেলার শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ হিসে

বে মনোনীত হয়েছেন। মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের শিক্ষক মরহুম গোলাম কিবরিয়ার চতুর্থ সন্তান প্রফেসর ড. এ কে এম নজরুল কবীর ১৯৮৪ সালে মেহেরপুর সদর উপজেলার জাদুখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৮৬ সালে মেহেরপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি, ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে অনার্স এবং ১৯৯০ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। সুমিষ্টভাষী, অমায়িক ব্যবহারের অধিকারী প্রফেসর ড. এ কে এম নজরুল কবীর শিক্ষা জীবন শেষ করে ১৯৯৬ সালে ঝিনাইদার শৈলকূপা সরকারি কলেজে প্রভাষক হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেন। তিনি ২০০৫ সালে সহকারী অধ্যাপক এবং ২০১৫ সালে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। এর আগে ২০১২ সালে প্রাণিবিদ্যায় পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। চাকুরী জীবন শুরু করার পর তিনি খুলনার বিএল কলেজ, বাগেরহাটের পিসি কলেজ, রংপুরের কারমাইকেল কলেজ, মাগুরার হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে অত্যন্ত সুনামের সাথে শিক্ষকতা করেছেন। ২০২৩ সালে ড.একেএম নজরুল কবীর প্রফেসর হিসেবে পদোন্নতি লাভ করার পর ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর মেহেরপুর সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। এক পুত্র দুই কন্যা সন্তানের জনক প্রফেসর ড.এ কে এম নজরুল কবীর মেহেরপুর সরকারি কলেজে যোগদান করার পর কলেজে এনেছেন আমূল পরিবর্তন।মেহেরপুর সরকারি কলেজের ইতিহাসে এই প্রথম শিক্ষার্থীদের একই ধরনের পোশাক পরে ক্লাস করার নিয়ম চালু করেছেন। পাশাপাশি সঠিক সময়ে ক্লাস করা, ক্লাসের বাইরে অযথা শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ঘোরাফেরা না করা, মনোরম পরিবেশ তৈরি করা, তিনি নিজে নিয়মিতভাবে মনিটরিং করা সহ নিয়ম কানুনের আমুল পরিবর্তন এনে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মেহেরপুর জেলা পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান মনোনীত হওয়ার পর তিনি বলেন, আমার পিতা যেহেতু শিক্ষক ছিলেন, আমার পিতার শিক্ষকতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে আমি শিক্ষকতার মত মহান পেশাকে বেছে নিয়েছি। তিনি বলেন, যেহেতু আমি মেহেরপুরের সন্তান এবং এই কলেজেরই ছাত্র ছিলাম, সেহেতু মেহেরপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে এগিয়ে নিতে আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করে যাব। তিনি বলেন, যেকোন পুরস্কার সম্মান এবং গৌরবের। এক্ষেত্রে আমার এই প্রাপ্তি আমার চাকুরী জীবনে পাথেয় হয়ে থাকবে। তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply